শাহবাগ মোড়ে সরকারদলীয় নেতাকর্মীরা, দেখা নেই হরতাল সমর্থকদের
রোববার মধ্যদুপুর। রাজধানীর শাহবাগের ট্রাফিক কন্ট্রোল বক্স ও এর পশ্চিমে বাসস্ট্যান্ডের পাশে আয়েশি ভঙ্গিতে দাঁড়িয়ে ও বসে আছেন কয়েকজন পুলিশ সদস্য। হেফাজতের ডাকা হরতালে বিশৃঙ্খলা ও নাশকতা ঠেকাতে তারা সকাল থেকেই এ এলাকায় দায়িত্ব পালন করছেন। কিন্তু হরতালকারীদের কাউকে মাঠে দেখতে না পেয়ে তাদের কেউ কেউ হেলমেট, জ্যাকেট ও লাঠি পাশে রেখে মোবাইল ফোনে কিংবা চায়ের দোকানের সামনে দাঁড়িয়ে চা পান করছিলেন।
এ সময় রাস্তায় গণপরিবহনসহ অন্যান্য যানবাহনও চলাচল করতে দেখা যায়। তবে অন্যান্য দিনের চেয়ে যাত্রী সংখ্যা তুলনামূলক কম দেখা যায়। হরতাল ডাকার সংবাদে অনেকে ভয়ে বাসা থেকে বের হননি। তবে যারা বের হয়েছেন তারা অল্পসময়েই নিজ নিজ গন্তব্যে পৌঁছে যান।
শাহবাগ মোড়ে হেফাজতের নেতাকর্মীদের দেখা না মিললেও কিছুক্ষণ পর পর সরকারদলীয় ছাত্রসংগঠন ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস থেকে ও অন্যান্য সংগঠনের নেতাকর্মীদের জয়বাংলা শ্লোগান দিয়ে মিছিল ও মোটরসাইকেল শোভাযাত্রা নিয়ে টহল দিতে দেখা যায়। একাধিক দলে বিভক্ত হয়ে তাদের কেউ কেউ আবার চায়ের দোকান কিংবা ফুলের দোকানের সামনে সড়ক বিভাজনে চেয়ার পেতে বসে খোশগল্প করছিলেন।
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সফর ঘিরে সংঘর্ষে নেতাকর্মী নিহতের প্রতিবাদে শনিবার (২৭ মার্চ) বিক্ষোভ কর্মসূচি ও রোববার (২৮ মার্চ) হরতাল ডাকে হেফাজতে ইসলাম।
শুক্রবার (২৬ মার্চ) রাতে রাজধানীর পুরানা পল্টনে এক সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনের কেন্দ্রীয় নায়েবে আমির আবদুর রব ইউসুফী রোববার সকাল-সন্ধ্যা হরতালের ঘোষণা দেন।
আবদুর রব বলেন, ‘হেফাজতে ইসলামের আমির জুনায়েদ বাবুনগরীর পক্ষে আমি এ কর্মসূচি ঘোষণা করছি। ঢাকার বায়তুল মোকাররম, চট্টগ্রামের হাটহাজারী, ব্রাহ্মণবাড়িয়াসহ বিভিন্ন স্থানে প্রতিবাদী মুসল্লিদের ওপর পুলিশ ও সরকারদলীয় ক্যাডার বাহিনী হামলা করে পাঁচজনকে শহীদ করেছে। অসংখ্য মুসল্লিকে আহত করেছে ও গ্রেফতার করেছে। এর প্রতিবাদে এ কর্মসূচি দেয়া হয়েছে।’
এমইউ/ইএ/এমকেএইচ