রমজান সামনে রেখে টিসিবির পণ্যের চাহিদা বাড়ছে
আসন্ন রমজান সামনে রেখে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) পণ্যের চাহিদা বাড়ছে। কিছুদিন আগেও টিসিবির বিক্রেতারা ক্রেতার খোঁজে রাজধানীর বিভিন্ন স্পটে ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করেও হাতেগোনা কয়েকজন ক্রেতা ছাড়া কাউকে পাওয়া যেত না।
কিন্তু বর্তমানে টিসিবির ট্রাকের সামনে অসংখ্য ক্রেতার ভিড় দেখা যায়। গত কয়েক দিন থেকে রাজধানীজুড়ে মৃদু তাপপ্রবাহ চলছে। গরমে ঘরে-বাইরে থাকা কঠিন হয়ে পড়েছে। এর মধ্যেও ক্রেতারা টিসিবির পণ্য কিনতে লাইনে দাঁড়াচ্ছেন।
বুধবার (২৪ মার্চ) সরেজমিনে রাজধানীর নিউমার্কেট, সচিবালয় ও প্রেস ক্লাব এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, টিসিবির চিনি, তেল ও মসুরের ডাল কিনতে অসংখ্য ক্রেতার ভিড়। প্রচণ্ড রোদের মধ্যে দীর্ঘক্ষণ লাইনে দাঁড়িয়ে ক্রেতারা তেল, চিনি ও মসুরের ডালসহ বিভিন্ন দ্রব্য কিনছেন। কেউ কেউ রোদ থেকে নিজেকে বাঁচাতে সঙ্গে করে ছাতা নিয়ে এসেছেন। করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধি পাওয়ায় ক্রেতাদের অধিকাংশ মুখে মাস্ক পরলেও সেভাবে সামাজিক দূরত্ব মানতে দেখা যায়নি। প্রায়ই শরীরের সঙ্গে শরীর লাগিয়ে দাঁড়িয়ে পণ্য কেনার অপেক্ষায়।
ক্রেতাদের সঙ্গে আলাপকালে জানা যায়, টিসিবির ট্রাকে ৩৯০ টাকা প্যাকেজ পণ্য বিক্রি হচ্ছে। প্যাকেজ পণ্যের মধ্যে ১১০ টাকার দুই কেজি ডাল, চিনি ১০০ টাকা ও দুই লিটার তেল ১৮০ টাকা। প্যাকেজ ছাড়া আলাদাভাবে ডাল, চিনি কিংবা তেল বিক্রি হয় না।
আজিমপুর কবরস্থানের উত্তর গেটের অদূরে টিসিবির ট্রাকের পণ্য কেনার জন্য অপেক্ষমাণ গৃহবধূ সালমা বলেন, সামনে রমজান। ইফতার ও শরবত বানাতে মসুরের ডাল, তেল ও চিনি লাগেই। মার্কেটের চেয়ে অপেক্ষাকৃত কম দামে পেয়েছেন বলে কিনে নিচ্ছেন।
লাইনে দাঁড়ানো একজন ক্রেতার অভিযোগ, রমজান সামনে রেখে টিসিবির পণ্য কেনার লাইনে পুরুষ ও নারী যারা দাঁড়িয়েছেন, তারা সবাই প্রকৃত ক্রেতা নন। অনেকেই সাধারণ পাড়া-মহল্লার ছোটখাটো দোকানির জন্য পণ্য কিনে নিয়ে যাচ্ছেন। দোকানির কাছ থেকে কিছু টাকা লাভ পেয়ে বিক্রি করে দিচ্ছেন। ফলে অপেক্ষাকৃত দরিদ্ররা বঞ্চিত হচ্ছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে সংশ্লিষ্ট ট্রাকের বিক্রেতা সাইদুল ইসলাম বলেন, কে প্রকৃত ক্রেতা আর কে কার পক্ষে নিয়ে যাচ্ছেন তা তারা যাচাই করেন না বা করতে পারবেনও না। লাইনে দাঁড়িয়ে যিনি প্যাকেজের ৩৯০ টাকা দেবেন তাকেই তারা পণ্য দেবেন বলে জানান।
এমইউ/এআরএ/এএসএম