ভিডিও EN
  1. Home/
  2. জাতীয়

কর্ণফুলী নদীতে টানেল নির্মাণ করবে সরকার

প্রকাশিত: ০৬:৪৮ এএম, ২৪ নভেম্বর ২০১৫

কর্ণফুলী নদীর নীচে টানেল করবে সরকার। এটি হবে দেশের প্রথম কোনো টানেল। চীনের সাংহাইয়ের আদলে কর্ণফুলী নদীর তলদেশ দিয়ে টানেল সড়কটি নির্মাণ হবে। এতে করে এ নদীর তলদেশ দিয়ে প্রায় সাড়ে তিন কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়ে চলবে যানবাহন।

মঙ্গলবার জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক) সভায় এ সংক্রান্ত প্রস্তাব অনুমোদন করা হয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এতে সভাপতিত্ব করেন। বৈঠক শেষে পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল সাংবাদিকদের কাছে বিস্তারিত তুলে ধরেন।
 
তিনি বলেন, আজকের দিনটি বাংলাদেশের জন্য বড় গুরুত্ব বহন করে। এটি ইতিহাস হয়ে থাকবে। প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে ঢাকা থেকে কক্সবাজার যেতে চট্টগ্রাম শহরের যানজটে আটকা পড়তে হবে না। একইভাবে কক্সবাজার থেকে চট্টগ্রাম শহরের যানজট এড়িয়ে ঢাকায় আসা যাবে।

এতে সরকারের ব্যয় হবে ৮ হাজার ৪৪৬ কোটি ৬৪ লাখ টাকা। এর মধ্যে সরকার বহন করবে ৩ হাজার ৬৪৭ কোটি টাকা। আর প্রকল্প সহায়তা আসবে ৪ হাজার ৭৯৯ কোটি ৪৪ লাখ টাকা।  

কামাল বলেন, ২০২০ সাল পর্যন্ত প্রকল্প বাস্তবায়নের সময়কাল ধরা হয়েছে। তবে তার আগেই আমরা কাজটি শেষ করতে পারবো। অভিজ্ঞতা না থাকলেও কোনো দুর্নীতি এখানে হবে না বলে জানান মুস্তফা কামাল।

এছাড়া এ টানেল নির্মাণের মাধ্যমে কর্ণফুলী নদীতে বর্তমানে চালু দু’টি ব্রিজের উপর দিয়ে যানবাহন চলাচলের চাপ কমবে। এর মাধ্যমে শুধু সেতু নয়, সুরঙ্গের মধ্য দিয়ে চলাচল করবে যানবাহন।

জানা যায়, প্রস্তাবিত প্রকল্পের আওতায় টানেলের দৈর্ঘ্য হবে ৩ দশমিক ৪৩ কিলোমিটার। এছাড়া ৫ দশমিক ৬৩ কিলোমিটার অ্যাপ্রোচ রোড নির্মাণ করা হবে।
 
এছাড়া ৭ হাজার ২০০ বর্গমিটার সার্ভিস সুবিধা ও ২৮ দশমিক ৯৬ হেক্টর ভূমি অধিগ্রহণ ও পুনর্বাসন করা হবে। এছাড়া ৭টি জিপ, ২২টি মোটরসাইকেল, ৩৩টি ডেক্সটপ, ১৭টি ল্যাপটপ, ৫টি ফটোকপি, দু’টি ফ্যাক্স এবং একটি প্রজেক্টর কেনা হবে। পাশাপাশি পরিবেশ ব্যবস্থাপনার জন্য নানা ধরনের কার্যক্রম হাতে নেওয়া হবে।

পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, চট্টগ্রাম শহর কর্ণফুলী নদীর মাধ্যমে দুই ভাগে বিভক্ত। মূল শহর এবং বন্দর এলাকা কর্ণফুলী নদীর পশ্চিম পাশে অবস্থিত। অন্যদিকে ভারি শিল্প এলাকা পূর্ব পাশে অবস্থিত। বর্তমানে সচল দু’টি ব্রিজের মাধ্যমে ক্রমবর্ধমান যানবাহনের চাপ সামাল দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না।

এসএ/আরএস/এসএইচএস/এমএস