বাংলাদেশের অগ্রগতির প্রশংসা করলেন জর্ডানের বাদশা
বাংলাদেশের উন্নয়ন ও অগ্রগতির প্রশংসা করেছেন জর্ডানের বাদশা আব্দুল্লাহ। তিনি বলেন, গত পাঁচ দশকে বাংলাদেশ সর্বক্ষেত্রে অসাধারণ অগ্রগতি অর্জন করেছে। যার মাধ্যমে দেশের জনগণের সহনশীলতা ও নেতৃত্বের প্রজ্ঞা প্রতিফলিত হয়েছে। আমি আত্মবিশ্বাসী, শান্তি বজায় রাখা, আরও উন্নয়ন এবং জনগণের সক্ষমতা কাজে লাগানোর মাধ্যমে ভবিষ্যতে আরও বেশি অগ্রগতি অর্জন করবে বাংলাদেশ।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানের ৫ম দিনে ভিডিও বার্তা দেন তিনি। বাদশার পক্ষে এই ভিডিওবার্তা প্রচার করা হয়।
এতে জর্ডানের বাদশা আব্দুল্লাহ বলেন, দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের পাশাপাশি ওআইসিসহ বহুপক্ষীয় ফোরামেও আমাদের (বাংলাদেশ-জর্ডান) একীভূত কার্যক্রম রয়েছে। সংঘাতমুক্ত, স্থিতিশীল ও শান্তিময় বিশ্ব গড়ার লক্ষে আমাদের এই তৎপরতা। দুই দেশের মানুষের সেবার জন্য আমরা পরস্পরের মধ্যে মঙ্গলজনক সম্পর্ক এগিয়ে নিতে চাই। শরণার্থী সঙ্কট ও সন্ত্রাসবাদের মতো আঞ্চলিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলাতেও আমরা একসঙ্গে কাজ করতে চাই।
দ্বি-রাষ্ট্র নীতির ভিত্তিতে ফিলিস্তিনি জনগণের জন্য ন্যায়বিচার এবং স্থায়ী শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্যও জর্ডান বাংলাদেশকে নিয়ে কাজ করতে চায় বলে বার্তায় জানানো হয়।
১০ দিনব্যাপী মুজিব চিরন্তনের পঞ্চম দিন বাদশা আব্দুল্লাহর পক্ষে ভিডিওবার্তায় কথা বলেন দেশটির উপ-প্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী আয়মান আল সাদাফি।
পঞ্চম দিনের (২১ মার্চ ২০২১) অনুষ্ঠানের থিম ছিল ‘ধ্বংসস্তূপে জীবনের গান’। এতে স্বাগত বক্তব্য দেন ও সঞ্চালনা করেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
থিমভিত্তিক আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এবং ইতিহাসবিদ ড. সৈয়দ আনোয়ার হোসেন।
সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পর্বে ছিল- বন্ধু রাষ্ট্র চীনের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, ‘মুজিব চিরন্তন’ প্রতিপাদ্যের ওপর টাইটেল অ্যানিমেশন ভিডিও, ক্যানভাসে বঙ্গবন্ধুর সাড়ে তিন বছর : শূন্য থেকে মহাশূন্যে (কাব্য, সুর ও ছন্দে কোরিওগ্রাফি), বঙ্গবন্ধুর নবজীবনের ডাক : ধূসর বাংলা থেকে সবুজ বাংলা (পালা, জারি ও গম্ভীরা পরিবেশনা), বিশ্বনেতা ও বিশ্বনাগরিকের সঙ্গে মেলবন্ধন (মিউজিক কোরিওগ্রাফি), নারী জাগরণ ও নারীর ক্ষমতায়নে বঙ্গবন্ধু (থিয়েট্রিক্যাল কোরিওগ্রাফি), শিশু বিকাশে বঙ্গবন্ধু : আলো আমার আলো (১০০ জন শিশু শিল্পীর পরিবেশনা), শিল্প-সাহিত্য ও সংস্কৃতির ক্ষেত্রে নবজাগরণ : শিল্পের সকল বাহনের উৎকর্ষ সাধন, বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে নাটক ‘২৮৮ দিন’ এবং ব্যান্ড সংগীত পরিবেশনা।
এসইউজে/জেডএইচ/জেআইএম