চক্ষু ও শিশু বিশেষজ্ঞদের জোট গঠনের পরামর্শ
নবজাতকের রেটিনায় রক্তক্ষরণ রোগ মোকাবেলায় রোগ নির্ণয় ও এ সম্পর্কিত নীতি প্রনণয়নের লক্ষ্যে নবজাতক, চক্ষু ও শিশু বিশেষজ্ঞদের মধ্যে একটি কৌশলগত জোট গঠনের পরামর্শ দিয়েছেন চক্ষু বিশেষজ্ঞরা। সোমবার দুপুরে রাজধানীর ইস্পাহানী ইসলামিয়া চক্ষু ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালে ‘অপরিণত নবজাতকের রেটিনা রক্তনালীর অস্বাভাবিকতা’ বিষয়ক সেমিনারে তারা এই পরামর্শ দেন।
সেমিনারে এশিয়া প্যাসিফিক একাডেমি অব অফ্থালমোজির প্রেসিডেন্ট রাজবর্ধন আজাদ বলেন, সাধারণত ৩৮-৪১ সপ্তাহের মধ্যে শিশু জন্মগ্রহণ করে। গর্ভধারণের পর ৩৭ সপ্তাহের আগের যে সব শিশু জন্মগ্রহণ করে তাদের রেটিনোপ্যাথী অব প্রি-ম্যাচ্যুরিটি (আরওপি) সমস্যা হয়। ফলে তাদের রক্তনালী অস্বাভাবিকভাবে বাড়তে থাকে। রেটিনাতে রক্তক্ষরণ হয় এবং কখনও কখনও রেটিনা ছিড়ে যেতে পারে। সময়মত চিকিৎসা না নিলে ৬ মাসের মধ্যেই শিশু পুরোপুরি অন্ধ হয়ে যায়।
ইউনিভার্সিটি অব ইন্দোনেশিয়ার শিশুচক্ষু বিভাগের প্রধান অধ্যাপক রিটা এস. সিটোরাস বলেন, ৩৫ সপ্তাহের আগে জন্ম নেওয়া শিশু ও যাদের ওজন ২ কেজির কম তাদের রেটিনা পরীক্ষা করা জরুরি। আরওপি ধরা পড়লে লেজার চিকিৎসা করতে হবে।
বিশেষজ্ঞরা বলেন, আরওপি বা অপরিণত নবজাতকের রেটিনা রক্তনালীর অস্বাভাবিকতা একটি মারাত্বক রোগ। এই রোগের কারণে নবজাতক শিশুর রেটিনায় রক্তক্ষরণ ও ক্ষত সৃষ্টি হয়। ফলে শিশু অন্ধ হওয়ার ঝুঁকিতে থাকে।
তারা বলেন, নবজাতকের এই রোগ মোকাবেলায় সমন্বিত জনস্বাস্থ্য দৃষ্টিভঙ্গি, রোগ নির্ণয়ের উদ্যোগ গ্রহণ ও এ সম্পর্কিত নীতি প্রনণয়নসহ নবজাতক, চক্ষু ও শিশু বিশেষজ্ঞদের মধ্যে একটি কৌশলগত জোট গঠন জরুরি।
সেমিনারে আরও বক্তব্য রাখেন- অরবিস এশিয়ার রিজিওনাল প্রোগ্রাম ডিরেক্টর ডা. আবু রায়হান, অরবিস ইন্টারন্যাশনালের বাংলাদেশ কান্ট্রি ডিরেক্টর ডা. মুনীর আহমেদ, বাংলাদেশ নিওনেটাল ফোরামের প্রেসিডেন্ট অধ্যাপক হোসনে আরা বেগম, জাতীয় চক্ষু ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের পরিচালক অধ্যাপক জালাল আহমেদ এবং ইসলামিয়া চক্ষু ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ডা. মাইকেল হল।