ভিডিও EN
  1. Home/
  2. জাতীয়

সায়রা মহসিন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত

প্রকাশিত: ০৮:৩১ এএম, ২৩ নভেম্বর ২০১৫

মৌলভীবাজার-৩ আসনের উপ-নির্বাচনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন প্রয়াত সমাজকল্যাণ মন্ত্রী সৈয়দ মহসিন আলীর স্ত্রী সৈয়দা সায়রা মহসিন। সোমবার বেলা ১১ টায় সৈয়দা সায়রা মহসিনকে আনুষ্ঠানিকভাবে নির্বাচিত ঘোষণা করে এক গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে জেলা নির্বাচন অফিস।

সহকারী রিটানিং অফিসার ও মৌলভীবাজার জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা কাজী ইস্তাফিজুল হক আকন্দ জানান, মনোনয়নপত্র বাছাইয়ের দিনে ৫ প্রার্থীর মধ্যে সৈয়দা সায়রা মহসিন ছাড়া অন্য ৪ প্রার্থীর মনোনয়ন নানা কারণে অবৈধ ঘোষণা করা হয়। কিন্তু গত রোববার (২২ নভেম্বর) প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ দিনেও ওই ৪ প্রার্থী তাদের মনোনয়ন বহালে নির্বাচন কমিশনে আপিল করেনি। তাই একমাত্র বৈধ প্রার্থী হিসেবে সৈয়দা সায়রা মহসিনকে আনুষ্ঠানিকভাবে নির্বাচিত ঘোষণা করে এ গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে।

কী কারণে ৪ প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বাতিল হলো এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, স্বতন্ত্র প্রার্থী মোহাম্মদ খুরশীদ ও সোহেল আহমদের সমর্থনে নির্বাচনী আইন মোতাবেক দেয়া নির্বাচনী এলাকার এক শতাংশ ভোটারের মধ্যে কমিশনের নির্ধারিত ১০ জনের স্বাক্ষর সঠিক ছিল না। এছাড়া জাতীয় পার্টি (এরশাদ) সমর্থিত প্রার্থীর মনোনয়নপত্রের সঙ্গে বিধান অনুযায়ী চেয়ারম্যান, মহাসচিব অথবা সমমর্যাদা সম্পন্ন ব্যক্তির স্বাক্ষরিত মনোনয়নের স্বপক্ষে লিখিত কাগজ পাওয়া যায়নি।

আর বাংলাদেশ ন্যাশন্যালিস্ট ফ্রন্ট (বিএনএফ) প্রার্থী নিজে ছিলেন অনুপস্থিত। এ সময় তার প্রস্তাবকারী ও সমর্থকরা উপস্থিত হয়ে হলফনামা দিয়ে বলেছেন তারা কোনো দল করেন না এবং কোনো প্রার্থীর পক্ষে প্রস্তাব বা সমর্থন করেননি। ফলে সরকারি কৌসুলীদের উপস্থিতিতে এবং লিখিত মতামতের ভিত্তিতে তার মনোনয়নপত্র বাতিল ঘোষণা করা হয়।

প্রসঙ্গত, ২০০৮ সালের নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এই আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে সাবেক অর্থ ও পরিকল্পনা মন্ত্রী এম সাইফুর রহমানকে বিপুল ভোটে পরাজিত করে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন সায়রা মহসিনের স্বামী সৈয়দ মহসিন আলী। আর ২০১৩ সালে অনুষ্ঠিত দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে একই আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছিলেন সমাজকল্যাণ মন্ত্রী সৈয়দ মহসিন আলী।

গত ১৪ সেপ্টেম্বর তিনি মারা যাওয়ায় আসনটি শূন্য হয়ে যায়। পরে ওই শূন্য আসনে উপ-নির্বাচনের ঘোষণা দেয় নির্বাচন কমিশন।

ছামির মাহমুদ/এসএস