স্বাধীনতার ৫০ বছরে নারীশিক্ষায় ব্যাপক অগ্রগতি হয়েছে : স্পিকার
স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেছেন, অনেক প্রতিবন্ধকতা, বাধা-বিপত্তি অতিক্রম করে নারীরা আজকের অবস্থান নিশ্চিত করেছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নারীদের উন্নয়নের মূল ধারায় সম্পৃক্ত করতে অনুকূল ক্ষেত্র সৃষ্টি করেছেন। স্বাধীনতার ৫০ বছরে নারীশিক্ষায় ব্যাপক অগ্রগতি সাধিত হয়েছে। প্রত্যন্ত অঞ্চলের বিদ্যালয়গুলোতে এবং উচ্চশিক্ষাক্ষেত্রেও মেয়েদের অংশগ্রহণ বৃদ্ধি পেয়েছে।
আন্তর্জাতিক নারী দিবস উপলক্ষে বৃহস্পতিবার (১১ মার্চ) চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (চুয়েট) আয়োজিত ওয়েবিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে এসব কথা বলেন।
স্পিকার বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান নারী-পুরুষ সমানাধিকারের মৌলিক আইনি কাঠামো প্রণয়ন করে গেছেন। তারই সুযোগ্য কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১৯৯৭ সালের জাতীয় নারী উন্নয়ন নীতি, পাসপোর্টে সন্তানের মায়ের নাম অন্তর্ভুক্তিকরণ, মায়ের মাধ্যমে সন্তানের নিকট নাগরিকত্ব প্রদান ইত্যাদি পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন যা নারীর অর্থনৈতিক-সামাজিক-সার্বিক উন্নয়নের রূপরেখা। ইউনিয়ন পর্যায়েও নারীরা যেন নির্বাচনে আসতে পারেন সেজন্য প্রয়োজনীয় আইনি কাঠামো প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রণয়ন করেছেন। কোভিডকালীন সময়ে অসাধারণ নেতৃত্ব প্রদানের জন্য সম্প্রতি কমনওয়েলথ কর্তৃক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ইন্সপাইরেশনাল লিডারশিপ সম্মাননা প্রদান করা হয়েছে যা সমগ্র জাতির জন্য গৌরবের।
ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, বর্তমানে সংসদে পঞ্চাশ জন সংরক্ষিত নারী সংসদ সদস্য ছাড়াও ২৩ জন নারী সংসদ সদস্য সরাসরি নির্বাচিত। ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তা হিসেবে নারীরা সফলভাবে কাজ করে যাচ্ছে। তৈরি পোশাক কারখানায় ৮০শতাংশ শ্রমিক নারী। প্রতিটি ক্ষেত্রে নারীর অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে আইনি পরিবর্তন আনয়ন জরুরি। নারীর সুষ্ঠু কর্মপরিবেশ, সমতাভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠা ও শ্রমবাজারে তাদের অধিকতর অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে উদ্ভাবনী প্রক্রিয়ার মাধ্যমে সকলকে সহযোগিতা করার আহ্বান জানান স্পিকার।
চুয়েটের পুরকৌশল বিভাগের অধ্যাপক ড. আয়শা আখতারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে রেলপথ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি এ.বি.এম. ফজলে করিম চৌধুরী এবং চুয়েটের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ রফিকুল আলম বক্তব্য রাখেন। অনুষ্ঠানে বিভিন্ন গণ্যমান্য ব্যক্তি ও গণমাধ্যমকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
এইচএস/এসএস/জিকেএস