সুবর্ণজয়ন্তীতে হচ্ছে না লেজার-ড্রোন শো
করোনাভাইরাসের প্রকোপ বৃদ্ধির কারণে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে ড্রোন শো, লেজার শো অনুষ্ঠান হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। তিনি বলেন, ‘আজকে (বুধবার) ক্রয়-সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা বৈঠকে টেবিলে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে বর্ণাঢ্য ও যথাযোগ্য মর্যাদায় উদযাপন উপলক্ষে ড্রোন শো, এরিয়াল শো ও ফায়ারওয়ার্কস শো সংক্রান্ত একটি প্রস্তাব উত্থাপিত হলে সেটি বাদ দেয়া হয়।’
বুধবার (১০ মার্চ) দুপুরে অনুষ্ঠিত সরকারি ক্রয়-সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠক শেষে এ কথা জানান তিনি।
অর্থমন্ত্রী বলেন, আমরা স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে ঠিক করেছিলাম একটি বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানের, যা এদেশের মানুষ কোনো দিন দেখেনি। এজন্য ড্রোন শো, লেজার শোর আয়োজন করার চিন্তা ছিল। কিন্তু করোনার সংক্রমণ আবার বেড়ে যাচ্ছে। এ সময়ে এ ধরনের শোর আয়োজন করলে আমাদের অনেক ছেলেমেয়েসহ পুরো ফ্যামিলি চলে আসবে। এতে কোনো সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা যাবে না। এ ভয়ে আমরা এই অংশগুলো বাদ দিয়ে বাকি অংশগুলো উদযাপন করার জন্য অনুমতি দিয়েছি। সেটাও সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে ও সামাজিক নিরাপত্তা বলয়ে যা যা পড়ে ও নিজেদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করে যা প্রয়োজন করে প্রস্তাবটি অনুমোদন দিয়েছি। সে অনুযায়ী তারা প্রজেক্টটি রান করবেন।’
এর আগে গত ১০ ফেব্রুয়ারি অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটিতে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয় কর্তৃক স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী বর্ণাঢ্য ও যথাযোগ্য মর্যাদার সাথে উদযাপন উপলক্ষে ড্রোন শো, এরিয়াল শো ও ফায়ারওয়ার্কস শো অনুষ্ঠান বাস্তবায়নের জন্য সরাসরি ক্রয় পদ্ধতি অনুসরণের নীতিগত অনুমোদন দেয়া হয়।
জানা গেছে, আগামী ২৬ মার্চ স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী রাষ্ট্রীয়ভাবে মহাসমারোহে উদযাপন করার পরিকল্পনা নিয়েছে সরকার।
অনুষ্ঠানের আয়োজক মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়। এজেন্সি সার্ভিস ফি, ভ্যাট ও ট্যাক্সসহ অনুষ্ঠান আয়োজনে মোট ব্যয় হবে প্রায় ৪৬ কোটি ১০ লাখ টাকা। এর মধ্যে সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন সংক্রান্ত বাজেট থেকে ১০ কোটি টাকা দেবে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়। অবশিষ্ট অর্থ স্পন্সরের মাধ্যমে জোগাড় করা হবে।
আইএইচআর/এসএস/এএসএম