প্রাণভিক্ষাকে গণজাগরণ মঞ্চের সাধুবাদ
একাত্তরের মানবতাবিরোধী অপরাধের দায় স্বীকার করে বিএনপি নেতা সালাউদ্দিন কাদের (সাকা) চৌধুরী ও জামায়াত নেতা আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদের প্রাণভিক্ষা চেয়ে রাষ্ট্রপতির কাছে আবেদন করায় সাধুবাদ জানিয়েছে গণজাগরণ মঞ্চ। শনিবার বিকেলে রাজধানীর শাহবাগস্থ জাতীয় জাদুঘরের সামনে এক প্রতিক্রিয়ায় এ সাধুবাদ জানান মঞ্চের মুখপাত্র ডা. ইমরান এইচ সরকার।
ইমরান বলেন, সাকা ও মুজাহিদ রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষার যে আবেদন করেছে তাতে আমরা সাধুবাদ জানাই। কেননা রাষ্ট্রপতির কাছে ক্ষমা প্রার্থনার আগে তাদেরকে সকল অপরাধ স্বীকার করতে হয়েছে। আদালতের নামে তারা যে ‘বিষেদগার’ করেছিল সেটা রাষ্ট্রপতির কাছে ক্ষমা চাইবার মধ্যদিয়ে সেটাই প্রমাণ হয়ে গেল।
তিনি আরো বলেন, যুদ্ধাপরাধীরা যে আদর্শের কথা বলেছিল, আদর্শিক কারণে তারা মানুষ হত্যা করেছিল, কিন্তু আসলে আদর্শিক কোন বিষয় এখানে ছিল না। বরং সেসময় নব্য একটা ধনীক শ্রেণি অর্থাৎ মুসলিম লীগ, জামায়াত দেশকে শোষণ করবার জন্য স্বাধীনতার বিরোধিতা করেছিল। এই ক্ষমা চাওয়ার মধ্যদিয়ে সে আদর্শতো ভুলন্ঠিত হলোই এবং তাদের মধ্যে যে কোন আদর্শ নেই শুধুমাত্র অর্থনৈতিক কারণেই স্বাধীনতার বিরোধিতা করেছিল সেটা প্রমাণ হয়েছে।
তিনি বলেন, রাষ্ট্রপতির কাছে ক্ষমা চেয়ে যুদ্ধাপরাধীদের ক্ষমা পাবার কোন সুযোগ নেই। যুদ্ধাপরাধের বিচারের মামলায় অপরাধীরা একটি পক্ষ আরেকটি পক্ষ বাংলাদেশের জনগণ। সুতরাং বাংলাদেশের জনগণের আকাঙ্খার বিরুদ্ধে কিংবা বিপরীতে গিয়ে রাষ্ট্রপতির ক্ষমা করবার কোন সুযোগ নেই।
ফাঁসির রায় দ্রুত কার্যকরের আহ্বান জানিয়ে ইমরান বলেন, রিভিউ খারিজ হবার পর সকল প্রকার পর আইনি প্রক্রিয়া শেষ হয়েছে। এ অপরাধে মৃত্যুদণ্ড কার্যকরে আইনগত আর কোন বাধা নেই। আন্তর্জাতিক অপরাধ আইন ১৯৭৩ অনুযায়ী রিভিউ করবারই কোন সুযোগ ছিল না। আমাদের আপিল বিভাগ রায় দিয়ে রিভিউ করবার সুযোগ করে দিয়েছে। আমরা সেটা মেনেও নিয়েছি। আমরা প্রত্যাশা করছি যে, যেহেতু সকল আইনি প্রক্রিয়া শেষ হয়েছে তাই আর কোন কালক্ষেপন না অবিলম্বে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হোক।
রাষ্ট্রপতিকে বীরমুক্তিযোদ্ধা আখ্যা দিয়ে গণজাগরণ মঞ্চের মুখপাত্র বলেন, আমরা প্রত্যাশা করিনা আমাদের রাষ্ট্রপতি এই অপরাধীদেরকে ক্ষমা করবেন। যথাশিগগিরই সম্ভব রাষ্ট্রপতি তাদের প্রাণভিক্ষার আবেদন ফিরিয়ে দিবেন। শুধুমাত্রই এ দুই যুদ্ধাপরাধী না বাকি যেসব যুদ্ধাপরাধী আছে তাদেরকেও বিচারের আওতায় আনতে হবে।
এমএইচ/জেডএইচ/আরআইপি