নমুনা পরীক্ষা ৪০ লাখ ছাড়াল
দেশে করোনা রোগী শনাক্তে নমুনা পরীক্ষা ৪০ লাখ ছাড়িয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় ১৫ হাজার ৫৬০টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এ নিয়ে মোট নমুনা পরীক্ষার সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৪০ লাখ ৩ হাজার ২৩৬টি।
বৃহস্পতিবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) স্বাস্থ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সরকারি ল্যাবরেটরিতে ৩০ লাখ ৮৯ হাজার ৬৮৩টি ও বেসরকারি ল্যাবরেটরিতে নয় লাখ ১৩ হাজার ৫৫৩টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। গত ২৪ ঘন্টায় ১৫ হাজার ৮৮৩টি নমুনা সংগ্রহ করা হয়। তবে পরীক্ষা করা হয় ১৫ হাজার ৫৬০টি নমুনা। এর মধ্যে পজিটিভ রিপোর্ট এসেছে ৪১০ জনের। এ নিয়ে মোট শনাক্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫ লাখ ৪৪ হাজার ৯৫৪ জন।
এদিকে ২৪ ঘণ্টায় করোনা আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন পাঁচজন। তাদের মধ্যে চারজন পুরুষ ও একজন নারী। তারা সবাই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। এনিয়ে দেশে মহামারিতে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ৮ হাজার ৩৮৪ জন। এসময়ে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে ও বাড়িতে উপসর্গবিহীন রোগীসহ গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন ৯৫৭ জন। এ পর্যন্ত মোট সুস্থ হয়েছেন ৪ লাখ ৯৪ হাজার ৭৫৫ জন।
প্রথম দিকে শুধুমাত্র সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউট (আইইডিসিআর) একমাত্র পরীক্ষাগারে নমুনা পরীক্ষা করা হলেও পরবর্তীতে পর্যায়ক্রমে সরকারি ও বেসরকারি পর্যায়ে নমুনা পরীক্ষার জন্য মোট ২১৪টি ল্যাব চালু হয়।
এর মধ্যে ১১৬টি আরটি পিসিআর ল্যাব, জিন এক্সপার্ট ল্যাব ২৯টি এবং র্যাপিড অ্যান্টিজেন ল্যাব ৬৩টি। এর মধ্যে সরকারি পর্যায়ে চলমান পরীক্ষাগার ১৪৩টি (৫১টি আরটি পিসিআর, ২৭টি জিন এক্সপার্ট ও র্যাপিড অ্যান্টিজেন ৬৫টি) এবং বেসরকারি পর্যায়ে রয়েছে ৬৭টি (৬৫টি আরটি পিসিআর ও জিন এক্সপার্ট ২টি)।
গত বছরের ৮ মার্চ দেশে প্রথম করোনা আক্রান্ত রোগী শনাক্ত ও ১৮ মার্চ প্রথম করোনা রোগীর মৃত্যু হয়। ২৫ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত মোট মৃত্যু ৮ হাজার ৩৮৪ জন। এদের মধ্যে পুরুষ ৬ হাজার ৩৪৩ জন (৭৫ দশমিক ৬৬ শতাংশ) ও নারী দুই হাজার ৪১ জন (২৪ শূন্য ৩৪ শতাংশ)।
এমইউ/এএএইচ/জিকেএস