কুমিল্লায় পুলিশের গুলিতে ২ যুবক নিহত
কুমিল্লার সদর উপজেলার আলেখারচরে কোকাকোলা কারখানার সামনে পুলিশের গুলিতে রাব্বী ইসলাম (২৫) ও মো. জনি (২২) নামের দুই যুবক নিহত হয়েছেন। রোববার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে এ ঘটনা ঘটে। তবে দুই যুবক নিহত ঘটনাকে বন্দুকযুদ্ধ বলে দাবি করেছে পুলিশ। -খবর প্রথম আলো অনলাইন
নিহত রাব্বী নগরের অশোকতলা খানবাড়ি এলাকার বাসিন্দা এবং জনি একই এলাকার সর্দার বাড়ির ছেলে।
পুলিশের ভাষ্যমতে, রোববার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা জেলার আদর্শ সদর উপজেলার আলেখারচরে কোকাকোলা কারখানার সামনে ওই বন্দুকযুদ্ধ হয়। এ সময় তারা নিহত হয়।
পুলিশ আরও জানায়, নিহত দুজন গত বৃহস্পতিবার কুমিল্লা জেলা গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) উপপরিদর্শক (এসআই) ফিরোজ হোসেনের পিস্তল কেড়ে নিয়ে তাঁর ওপর হামলার মূল হোতা জিরা সুমনের ‘সন্ত্রাসী বাহিনীর’ সদস্য।
গোয়েন্দা পুলিশ বলেছে, বন্দুকযুদ্ধের এ ঘটনায় ডিবির এসআই সহিদুল ইসলাম ও সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) নজরুল ইসলামের বাঁ হাতে গুলি লাগে। তাঁদের কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনায় একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
ডিবি পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মনিরুল ইসলাম বলেন, বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টার দিকে নগরের ঝাউতলা এলাকায় ফিরোজ হোসেনের ওপর হামলা করে তাঁর পিস্তল নিয়ে যান শহরতলির দৌলতপুর এলাকার জিরা সুমন ও তাঁর বাহিনীর সদস্যরা।
ওসি বলেন, রোববার সকালে পুলিশ খবর পায়, জিরা সুমন বাহিনীর সদস্যরা এসআই ফিরোজের ছিনতাই হওয়া পিস্তল নিয়ে পদুয়ার বাজার এলাকা থেকে দুটি মোটরসাইকেলে করে কুমিল্লা সেনানিবাস এলাকায় যাচ্ছিল। এর ভিত্তিতে পুলিশ পদুয়ার বাজার থেকে তাদের ধাওয়া করে। একপর্যায়ে আলেখারচর কোকাকোলা কারখানার সামনে পুলিশ তাদের ব্যারিকেড দেয়। এ সময় জিরা সুমন বাহিনীর সদস্যরা পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়েন। পুলিশও শটগানের ১৬টি গুলি ও পিস্তলের ১০টি গুলি ছোড়ে। এতে ঘটনাস্থলেই মারা যান রাব্বী ইসলাম। গুরুতর আহত হন জনি। বিকেল চারটায় কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।
এদিকে পুলিশ এসআই ফিরোজ হোসেনের কাছ থেকে ছিনতাই হওয়া পিস্তল ছাড়াও বিদেশি দুটি পিস্তল ও চারটি গুলি এবং একটি মোটরসাইকেল উদ্ধার করেছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।