পিএসসি পরীক্ষা তদারকিতে মাঠে নামছেন কর্মকর্তারা
প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী (পিএসসি) পরীক্ষা তদারকি করতে এবার মাঠে নামছেন মন্ত্রণালয়ের ২৯ কর্মকর্তা। ৬৪টি জেলাকে ২৯ ভাগে ভাগ করে তারা পরীক্ষা তত্ত্বাবধান করবেন। প্রশ্ন ফাঁস ঠেকাতে সংশ্লিষ্ট এলাকার কোচিং সেন্টার এবং ফটোস্ট্যাটের দোকানে কড়া নজরদারি করবেন তারা।
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় বুধবার এ সংক্রান্ত একটি অফিস আদেশ জারি করে দায়িত্ব বণ্টন করে দিয়েছে।
আদেশ সূত্রে জানা গেছে, মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ড. জ্ঞানেন্দ্র নাথ বিশ্বাসকে ঢাকা দক্ষিণ সিটি। ডা. মো. আব্দুল জলিলকে ঢাকা উত্তর সিটি, গাজীপুর ও নরসিংদী। নজরুল ইসলাম খানকে সিলেট, সুনামগঞ্জ। গিয়াস উদ্দিন আহমেদকে চট্টগ্রাম। ড. মুজিবুর রহমান হাওলাদারকে বরিশাল দেয়া হয়েছে।
এছাড়া যুগ্ম-সচিব আলম আরা বেগমকে ফরিদপুর, রাজবাড়ী। ফাইজুল কবীরকে কক্সবাজার। জোতির্ময় বর্মণকে রংপুর। উপসচিব নূজহাত ইয়াসমিনকে হবিগঞ্জ ও মৌলভীবাজার। নেসার আহমেদকে রাঙ্গামাটি। গোপাল চন্দ্র দাসকে ঝালকাঠি ও পিরোজপুর। তানভীর আহমেদকে খুলনা ও বাগেরহাটে দেয়া হয়।
সিনিয়র সহকারী সচিব রেবেকা সুলতানাকে শেরপুর ও জামালপুর। সত্যকাম সেনকে কুমিল্লা ও ব্রাহ্মবাড়িয়া। সহকারী সচিব ইউসুফ ভূঁইয়াকে লক্ষ্মীপুর ও চাঁদপুর। কাজী আলি রেজাকে কুষ্টিয়া ও মেহেরপুর। রেজাউল করিমকে রাজশাহী ও চাঁপাইনবাবগঞ্জ। মিজানুর রহমানকে নাটোর ও বগুড়া। ড. মো. ইমতিয়াজ মাহমুদকে যশোর ও নড়াইল। কাজী মোখলেসুর রহমানকে লালমনিরহাট।
সহকারী প্রধান মো. আরিফুল হককে নারায়ণগঞ্জ ও মুন্সীগঞ্জ। জালাল হাবিবুর রহমানকে নীলফামারী ও ঠাকুরগাঁও। প্রোগ্রামার সিরাজুল ইসলামকে খাগড়াছড়ি ও ফেনী। সহকারী প্রোগ্রামার প্রকৌশলী মু. শহীদুল ইসলামকে নেত্রকোনা ও কিশোরগঞ্জ। শহীদুল ইসলামকে কুড়িগ্রাম।
পরিসংখ্যান কর্মকর্তা নাসির উদ্দিন খানকে বান্দরবান। হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা জাকির হোসেনকে পটুয়াখালী ও বরগুনা। মেইনটেন্যান্স প্রকৌশলী মো. হাবিবুল্লাহকে সিরাজগঞ্জ ও পাবনা। লাইব্রেরিয়ান খোদেজা আক্তারকে পঞ্চগড় জেলার দায়িত্ব দেয়া হয়েছে।
আগামী রোববার থেকে সমাপনী পরীক্ষা শুরু হবে। চলবে ২৯ নভেম্বর পর্যন্ত। এবার মোট পরীক্ষার্থী ৩২ লাখ ৫৪ হাজার ৫১৪। সারাদেশে ৭ হাজার ৫২টি কেন্দ্রে প্রতিদিন সকাল ১১টা থেকে দেড়টা পর্যন্ত পরীক্ষা হবে। দেশের বাইরেও ১১টি কেন্দ্রে এ পরীক্ষা নেয়া হবে।
প্রসঙ্গত, ২০০৯ সাল থেকে চালু হওয়ার পর থেকেই পিএসসি পরীক্ষার প্রশ্ন ফাঁসের অভিযোগ ওঠে। গত বছর তা মারাত্মক আকার ধারণ করে। পরীক্ষার আগের রাতে ফেসবুকসহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সাজেশন আকারে প্রশ্ন ছড়িয়ে দেয় দুর্বৃত্তরা।
অনেক শিক্ষক, অভিভাবক ও কোচিং সেন্টারের মালিকরা তা সংগ্রহ করে শিক্ষার্থীদের হাতে তুলে দেন। পরীক্ষা শেষে প্রকাশিত সাজেশনের সঙ্গে প্রায় ৭০ থেকে ৮০ ভাগ মিলে যায়। এ নিয়ে সারা দেশে ব্যাপক সমালোচনার ঝড় ওঠে।
বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ অধ্যাপক মো. জাফর ইকবাল একাধিক কলাম লেখেন। পিএসসি পরীক্ষা তুলে দেয়ারও দাবি জানান অনেকে। বিতর্কের মুখে পড়ে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। যে কারণে এবার তারা নিজেরাই মাঠে নামছেন পরীক্ষা তদারকিতে।
এনএম/এসকেডি/পিআর