সমুদ্রসৈকতে ব্র্যাক কর্মীদের অন্যরকম বসন্ত উৎসব
বসন্তের চিরাচরিত আগমনী গান, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আর পিঠা উৎসবের মধ্য দিয়ে ‘বসন্ত উৎসব’ উদযাপন করেছে ব্র্যাকের হিউম্যানিট্যারিয়ান অ্যান্ড ক্রাইসিস ম্যানেজমেন্ট প্রোগ্রামে (এইচসিএমপি) কর্মরত কর্মীরা। ব্র্যাকের কক্সবাজারের আঞ্চলিক অফিসে সোমবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) সকালে রবীন্দ্র সংগীত ‘ফাগুন হাওয়ায় হাওয়ায় করেছি যে দান’ গানের মধ্য দিয়ে বসন্ত উৎসব শুরু হয়।
অনুষ্ঠানে সংগীত পরিবেশন করেন ব্র্যাকের এইচসিএমপির আওতাধীন জেন্ডার বেইজড ভায়োলেন্সের (জিবিভি) টেকনিক্যাল হেড হাসনে আরা বেগম, অ্যাডমিন অফিসার কীর্তি বিজয়া, একই কর্মসূচির কমিউনিটি বেইজড প্রটেকশনের ডেপুটি প্রজেক্ট ম্যানেজার বোরহান মাহামুদসহ বিভিন্ন প্রকল্প থেকে আগত কর্মীরা।
এরপর বিকাল ৪টায় সমুদ্র সৈকতে শুরু হয় জমজমাট পিঠা উৎসব। পিঠা উৎসব আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করেন এইচসিএমপির এরিয়া হেড হাসিনা আকতার হক। এখানে বাহারি ধরনের পিঠার মধ্যে উল্লেখযোগ্য ছিল- নকশি, পুলি, পাটি সাপটা, মোডা, নাডু, গুড়ের জিলাপী, তেলের পিঠা ইত্যাদি।
সন্ধ্যায় ব্র্যাক কর্মীদের মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে শেষ হয় বসন্ত উৎসব। পিঠা উৎসব ও সংগীত অনুষ্ঠান উপভোগ করেন কর্মসূচি সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
এতে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ব্র্যাকের এইচসিএমপি-এর কর্মসূচি প্রধান নুরুল আলম রাজু, একই কর্মসূচির হোস্ট কমিউনিটি প্রধান আব্দুল মতিন সর্দার প্রমুখ। তাদের অনুষ্ঠানে কক্সবাজারের স্থানীয় জনগোষ্ঠীর মাঝেও এই উৎসব বেশ দৃষ্টি কাড়ে।
এ সম্পর্কে ব্র্যাকের হিউম্যানিট্যারিয়ান অ্যান্ড ক্রাইসিস ম্যানেজমেন্ট প্রোগ্রামের (এইচসিএমপি) এরিয়া হেড হাসিনা আকতার হক বলেন, ব্র্যাকের এইচসিএমপি কর্মসূচি মানবিক আবেদনে সাড়া দিয়ে যেমনি মিয়ানমার থেকে ফিরে আসা বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গা কমিউনিটি, স্থানীয় দরিদ্র জনগোষ্ঠীর মাঝে কাজ করছে; তেমনি বছরের এই একটি দিনকে (বসন্ত দিবস) অন্যভাবে বরণ করছে। ব্র্যাক কর্মীরা কাজের পাশাপাশি যাতে নিজেদের মধ্যে আনন্দ ভাগাভাগি করে নেয়, সেজন্য এই আয়োজন। আনন্দের মধ্য দিয়ে কাজ করলে কাজের মধ্যেও উদ্দীপনা আসে। বাঙালির আবহমান বসন্ত উৎসব আমাদের মধ্যে আনন্দের পূর্ণতা বয়ে আনল।
এমইউ/এআরএ/এমএস