সোমবার পদ্মা সেতুর নদীশাসন চুক্তি
পদ্মা বহুমুখী সেতু নিয়ে চলছে বিশাল কর্মযজ্ঞ। সেতুর নির্মাণ কাজের জন্য প্রায় এক কিলোমিটার দীর্ঘ পাইল ফেব্রিকেশন ওয়ার্কশপ নির্মাণ করা হচ্ছে। এদিকে আগামীকাল সোমবার পদ্মা বহুমুখী সেতু প্রকল্পের নদীশাসন কাজের আনুষ্ঠানিক চুক্তি হচ্ছে। ঢাকায় বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে কোরিয়ার সিনো হাইড্রো কর্পোরেশনের সঙ্গে এ চুক্তি স্বাক্ষর হবে।
চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে দু’দেশের উচ্চ পর্যায়ের ব্যক্তিবর্গ এই অনুষ্ঠানে অংশ নেবেন। সন্ধ্যা সাতটায় বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাাতিক সম্মেলন কেন্দ্রের কার্নিভ্যাল হলে এই অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি থাকবেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
মূল পদ্মা সেতুর তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মোহাম্মদ কামরুজ্জামান বলেন, ৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার দীর্ঘ দেশের সর্ববৃহৎ এই সেতুতে থাকবে ৪২টি পিলার। প্রতিটি পিলারের দূরত্ব হবে ১৫০ মিটার। নদীর ২ দিকে দেড় কিলোমিটার করে ৩ কিলোমিটার সংযোগ সেতুর জন্য তৈরি করা হবে আরও ২৪টি পিলার। ৬৬ পিলারের জন্য ৬৬ পয়েন্টে মাটি পরীক্ষার প্রয়োজন। মূল সেতুর ৪২টি পিলারের মধ্যে ডিজাইন তৈরির সময় ১৩টি পয়েন্টে মাটি পরীক্ষা হয়েছে। অন্য ২৯ পয়েন্টে মাটি পরীক্ষা করতে হবে। মাটি পরীক্ষা শুরু হয়েছে।
সেতুর পাইল তৈরির জন্য মাওয়ার পাশে কুমারভোগে সেতুর কনস্ট্রাকশন ইয়ার্ডে ওয়ার্কশপ নির্মাণ কাজ চলছে। পাইলের স্টিলের প্লেট আনা হবে চীন থেকে। চীনে পরীক্ষামূলকভাবে শুরু হওয়া পাইল ফেব্রিকেশন ওয়ার্কশপটি কুমারভোগে স্থানান্তর হবে। বিভিন্ন মাল নিয়ে বড় বড় জাহাজ ওয়ার্কশপের পাশে আনার সুবিধার্থে জেটি নির্মাণ করা হচ্ছে।
কামরুজ্জামান বলেন, মূল সেতুর ৪০টি পিলারে ৬টি করে ২৪০টিসহ মোট ২৬৪টি পাইল তৈরি করতে হবে। চীনের নানটোংয়ের স্টিল কাটার ফেব্রিকেশন ওয়ার্কশপে ৯০ মিটার করে ১০টি পাইল পরীক্ষামূলকভাবে নির্মাণ করা হচ্ছে। শীঘ্রই এসব পাইল দেশে আনা হবে। পরীক্ষার পর প্রয়োজনীয় চাহিদামতো আরও পাইল নির্মাণ করা হবে।
চট্টগ্রাম বন্দর সূত্রে জানা গেছে, প্রি-ফ্রেকেটেট স্থাপনাবাহী ৪র্থ শিপমেন্টের জাহাজ চট্টগ্রাম বন্দরে পৌঁছার পর কাস্টমসের কার্যক্রম চলছে। শীঘ্রই মালামাল মাওয়া নেওয়া হবে। প্রি-ফ্রেকেটেট স্থাপনাগুলো চীনে তৈরি হয়েছে। এগুলো সেতুর ২ পাড়ে স্থাপন করা হবে। -বাসস