বন্দর উন্নয়নে দায়মুক্তি আইনের সুপারিশে টিআইবির উদ্বেগ
দেশের তিনটি বন্দরের যন্ত্রপাতি ক্রয়ে বিদ্যমান সরকারি ক্রয় আইনের ব্যত্যয়ের সুযোগ সৃষ্টির জন্য মন্ত্রণালয় ও বন্দর কর্তৃপক্ষকে দায়মুক্তি দিয়ে আইন করার জন্য নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সুপারিশে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)।
মঙ্গলবার সংবাদ মাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, “গণমাধ্যম ও অন্যান্য নির্ভরযোগ্য সূত্রে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী চট্টগ্রাম, মংলা ও পায়রা বন্দর উন্নয়নে যন্ত্রপাতি ক্রয়ে সম্প্রতি নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটি দায়মুক্তির যে সুপারিশ করেছে তাতে টিআইবি উদ্বিগ্ন। কারণ এর ফলে মন্ত্রণালয় ও বন্দর কর্তৃপক্ষের ক্রয় খাতে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা গুরুতর প্রশ্নের সম্মুখীন হবে।
তিনি বলেন, ‘বিদ্যমান আইনে কাজ করতে গেলে নানা প্রতিবন্ধকতা তৈরি হয়’ বা ‘কাজ দ্রুত সম্পাদনে দায়মুক্তি আইন প্রণয়ন করা প্রয়োজন’ এ ধরনের বিভিন্ন যুক্তি সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত আইন ২০০৯ এবং সংশ্লিষ্ট বিধি লঙ্ঘনকে বৈধতা প্রদানের নামান্তর। এতে সরকারি ক্রয়ে স্বচ্ছতা, সুস্থ প্রতিযোগিতা, গুণগত মান ও জবাবদিহিতা নিশ্চিতের পরিবর্তে যোগসাজশ, দলীয় প্রভাব, অনিয়ম ও দুর্নীতির ঝুঁকি প্রকট আকার ধারণ করতে পারে। অতএব প্রস্তাবিত দায়মুক্তি আইন প্রণয়ন থেকে বিরত থাকতে জাতীয় সংসদ ও সরকারের প্রতি আহ্বান জানাই।”
উল্লেখ্য, নৌ-পরিবহন মন্ত্রীর নেতৃত্বে ১৬ সদস্যের একটি দল বিশ্বের ৬টি উন্নতমানের বন্দর পরিদর্শনের লক্ষ্যে তিনটি দেশ সফর করবেন মর্মে একটি সরকারি প্রজ্ঞাপন গত মাসে জারি করা হয়েছে। এ প্রেক্ষিতে যেসব দেশে উন্নতমানের বন্দর রয়েছে সেখানে বন্দর উন্নয়নে ক্রয় সংক্রান্ত কোন দায়মুক্তি আইনের অস্তিত্ব আছে কি না; থাকলে সেক্ষেত্রে কী পদ্ধতিতে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা হয় তা যাচাই করার জন্য টিআইবি আহ্বান জানায়।
এইচএস/এসকেডি/আরআইপি