চলতি মাসে শাহজালাল থেকে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনে ২২২১০ যাত্রী
হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর দিয়ে যুক্তরাজ্যসহ বিভিন্ন দেশ থেকে আগত ২২ হাজারেরও বেশি যাত্রীকে চলতি মাসে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনে পাঠানো হয়েছে।
গত ১ জানুয়ারি (শুক্রবার) থেকে ২৪ জানুয়ারি (রোববার) সকাল ৮টা পর্যন্ত ২২ হাজার ২১০ জনকে সরকারি কোয়ারেন্টাইন সেন্টার এবং যাত্রীদের নিজ খরচে সরকার নির্ধারিত আবাসিক হোটেলে কোয়ারেন্টাইনে পাঠানো হয়। এর মধ্যে যুক্তরাজ্য থেকে ফেরত আসা যাত্রীর সংখ্যা ৭৪৪ জন।
শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে স্বাস্থ্য অধিদফতরের কন্ট্রোল রুম সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
রোববার (২৪ জানুয়ারি) কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. হাসান ফেরদৌস জানান, সর্বশেষ গত ২৪ ঘণ্টায় শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ২৩টি ফ্লাইটে মোট তিন হাজার ৯৪৯ জন যাত্রী ফেরেন। তাদের মধ্যে সাতটি ফ্লাইটে যুক্তরাজ্য ফেরত ৩০ জন যাত্রীকে আবাসিক হোটেলে কোয়ারেন্টাইনে পাঠানো হয়।
এদিকে যুক্তরাজ্যফেরত যাত্রীদের কোয়ারেন্টাইন ব্যবস্থা পুনর্মূল্যায়ন করেছে স্বাস্থ্য অধিদফতরের রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখা। আজ (রোববার) থেকে আবাসিক হোটেলে চারদিনের বদলে তাদের সাতদিন বাধ্যতামূলকভাবে কোয়ারেন্টাইনে থাকতে হবে।
গত শনিবার স্বাস্থ্য অধিদফতরের রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখার লাইন ডাইরেক্টর অধ্যাপক ডা. নাজমুল হাসান স্বাক্ষরিত ‘যুক্তরাজ্যফেরত যাত্রীদের কোয়ারেন্টাইন ব্যবস্থা পুনর্মূল্যায়ন শীর্ষক’ এক চিঠিতে বলা হয়, যুক্তরাজ্যের নতুন ধরনের করোনাভাইরাসের সংক্রমণ দেখা দিয়েছে। বিশেষ সতর্কতাস্বরূপ যুক্তরাজ্য থেকে আগত সব যাত্রীকে বাধ্যতামূলক প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনে রাখা হচ্ছে। এ অবস্থায় যথাযথ কর্তৃপক্ষের নির্দেশক্রমে ২৪ জানুয়ারি থেকে যুক্তরাজ্য থেকে আগত সব যাত্রীকে সরকার নির্ধারিত হোটেলে কমপক্ষে সাতদিনের জন্য বাধ্যতামূলক প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
হোটেলের যাবতীয় খরচ যাত্রী নিজে বহন করবেন। কোনো যাত্রী হোটেলে থাকতে অপারগ হলে সরকারি ব্যবস্থাপনায় নির্ধারিত সেন্টারে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইন করা হবে।
সাতদিন পর করোনা পরীক্ষার জন্য নমুনা পাঠানো হবে। পিসিআর পরীক্ষার ফলাফল নেগেটিভ হলে মোট ১৪ দিন কোয়ারেন্টাইন সম্পন্ন করার জন্য প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইন থেকে হোম কোয়ারেন্টাইনে পাঠানো হবে। ফলাফল পজিটিভ হলে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইন থেকে সরকার নির্ধারিত হাসপাতালে আইসোলেশনে পাঠানো হবে। হাসপাতালে যাবতীয় খরচ যাত্রী নিজে বহন করবেন।
এমইউ/এসজে/এমকেএইচ