কুর্মিটোলা হাসপাতালে উদ্বোধন, প্রথম টিকা পাবেন সুশীল সমাজের ২৫ জন
রাজধানীর কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে অক্সফোর্ড–অ্যাস্ট্রাজেনেকার করোনা ভ্যাকসিন (টিকাদান) কর্মসূচির উদ্বোধন হবে। প্রথম দিনে সুশীল সমাজের প্রতিনিধি অর্থাৎ বিভিন্ন শ্রেণী ও পেশার ২০ থেকে ২৫ জন নাগরিককে টিকা দেয়া হবে।
তাদের মধ্যে ডাক্তার, নার্সসহ ফ্রন্ট লাইনে যারা কাজ করছেন তারা তো থাকবেনই, এছাড়া শিক্ষক, মুক্তিযোদ্ধা, সেনাবাহিনী, পুলিশ, সিভিল প্রশাসন ও গণমাধ্যম কর্মীদের প্রতিনিধি থাকবেন। উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে বক্তৃতা দেবেন।
বুধবার (২০ জানুয়ারি) প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিবের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এক সভায় করোনা ভ্যাকসিন সম্পর্কিত বিস্তারিত তথ্য-উপাত্ত তুলে ধরে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব মো. আবদুল মান্নান গণমাধ্যমকে এসব তথ্য জানান।
স্বাস্থ্যসচিব জানান, আপাতত কুর্মিটোলায় উদ্বোধন করার প্রাথমিক পরিকল্পনা থাকলেও চূড়ান্তভাবে যেকোনো হাসপাতালে তা হতে পারে। প্রধানমন্ত্রীর সম্মতি প্রদান সাপেক্ষে চূড়ান্ত দিনক্ষণ ও স্থান নির্ধারিত হবে।
সুশীল সমাজের প্রতিনিধিদের মাধ্যমে করোনার টিকাদান কর্মসূচির উদ্বোধনের পরবর্তী দিনে ড্রাই রান অর্থাৎ পরীক্ষামূলক হিসেবে চারটি হাসপাতাল ভ্যাকসিন দেয়ার জন্য নির্বাচিত করা হয়েছে। এগুলো হলো- ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতাল, মুগদা জেনারেল হাসপাতাল এবং বাংলাদেশ কুয়েত মৈত্রী হাসপাতাল। এ চারটি হাসপাতালে ৪০০ থেকে ৫০০ জনকে পরীক্ষামূলকভাবে টিকা দেয়ার টার্গেট হাতে নেয়া হয়েছে।
এরপর বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রটোকল অনুসারে ভ্যাকসিনের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া আছে কিনা তা এক সপ্তাহ পর্যবেক্ষণ করে দেখা হবে। এরই মধ্যে বেক্সিমেকো ফার্মাসিউটিক্যালসের মাধ্যমে চুক্তি অনুযায়ী জেলাগুলোতে পৌঁছে দেয়া হবে।
স্বাস্থ্যসচিব আরও জানান, সম্ভাব্য আগামী ৮ ফেব্রুয়ারি থেকে উপজেলা ও মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভ্যাকসিন দেয়া হবে। পরবর্তীতে সারাদেশে কার্যক্রম পরিচালিত হবে। ভ্যাকসিন প্রদানের জন্য প্রয়োজনীয় সামগ্রী ও প্রশিক্ষণ কর্মসূচি সম্পন্ন হয়েছে। টিকা সংরক্ষণের জন্য উপজেলা পর্যায় পর্যন্ত কোল্ড স্টোরেজ প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
এমইউ/এমআরআর/এমকেএইচ