ভিডিও EN
  1. Home/
  2. জাতীয়

নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ পেতে আরো অপেক্ষা করতে হবে : নসরুল হামিদ

প্রকাশিত: ১২:২০ পিএম, ১৫ নভেম্বর ২০১৫

সঠিক ব্যবস্থাপনার অভাবে বিদ্যুৎ সরবরাহ বাধাগ্রস্ত হওয়ায় নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ পেতে আরো কিছু দিন অপেক্ষা করতে হবে বলে জানিয়েছেন বিদ্যুৎ জ্বালানী ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ। রোববার বিকালে জাতীয় সংসদে প্রশ্নোত্তর পর্বে জিল্লুল হাকিমের এক সম্পূরক প্রশ্নের উত্তরে প্রতিমন্ত্রী এ তথ্য জানান।

নসরুল হামিদ বলেন, লোড শেডিং বলতে কোন শব্দ এখন দেশে নেই। লোড শেডিং হল- যদি আমাদের কাছে পর্যাপ্ত পরিমাণ বিদ্যুৎ না থাকে। কিন্তু দেশে বর্তমানে ৫ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎতের চাহিদা রয়েছে আর আমাদের হাতে আছে সাড়ে ৬ হাজার মেগাওয়াট।

তিনি আরো বলেন, সঠিক সরবরাহ (ডিস্ট্রিবিউশন) ব্যবস্থা না থাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহে সমস্যা হচ্ছে। ট্রান্সমিশন ও ব্যবস্থাপনার জন্য কাজ চলছে। তাই নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ পেতে আরো কিছু দিন অপেক্ষা করতে হবে।
 
বায়ু বিদ্যুৎ কেন্দ্র
চট্টগ্রাম-৪ আসনের সংসদ সদস্য দিদারুল আলমের এক প্রশ্নের উত্তরে প্রতিমন্ত্রী জানান, বায়ুশক্তি হতে বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য সরকার ইতোমধ্যে বায়ু চালিত ৭৫ মেগাওয়াট সম্পন্ন দুটি বায়ু বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপনের উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। কক্সবাজার জেলায় ৬০ মেগাওয়াট ও ফেনী জেলার মহুরী এলাকায় ১৫ মেগাওয়াট ক্ষমতা সম্পন্ন দুটি বায়ু বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপনের কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়েছে। বর্ণিতস্থানের বায়ু প্রবাহের পর্যাপ্ততা সংক্রান্ত উইন্ড ম্যাপিং স্ট্যাডি হতে প্রাপ্ত ডাটার ভিত্তিতে বাণিজ্যিক আকারে বায়ু বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ করার পরিকল্পনা রয়েছে।

এছাড়া উপকূলীয় অঞ্চলসহ দেশের ৯টি স্থানে বায়ু বিদ্যুতের সম্ভাবতা যাচাইয়ের উদ্দেশ্যে উইন্ড ম্যাপিং কার্যক্রমের মাধ্যমে ডাটা সংগ্রহের কাজ শুরু করা হয়েছে। প্রাপ্ত ডাটার ভিত্তিতে ২০১৭ সালের মধ্যে বৃহৎ ক্ষমতার নতুন আরো বায়ু বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপন করা সম্ভব হবে বলেও জানান তিনি।

মজুদ গ্যাসে আরো চলবে ১৬ বছর
দেশের মজুদকৃত গ্যাস আরো প্রায় ১৬ বছর অর্থ্যাৎ ২০৩১ সাল পর্যন্ত ব্যবহার করা যাবে বলে জানান প্রতিমন্ত্রী। পাবনা-১ আসনের সামশুল হক টুকুর এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, দেশে প্রাথমিকভাবে উত্তোলনযোগ্য গ্যাসের মজুদ ছিল ২৭১ দশমিক ১২ টিসিএফ। এ পর্যন্ত (জুন-২০১৫) ১৩ দশমিক ০৩২ টিসিএফ গ্যাস উত্তোলিত হয়েছে। বর্তমানে জুলাই-২০১৫ পর্যন্ত দেশে ১৪ দশমিক ০৮৮ টিসিএফ গ্যাস মজুদ রয়েছে। ২০১৪-১৫ অর্থ-বছরে ৮৯০ দশমিক ৬৫ বিসিএফ গ্যাস উত্তোলিত হয়েছে। সে হিসেবে গ্যাস উত্তোলনের হার অপরিবর্তিত থাকলে আরো প্রায় ১৬ বছর অর্থ্যাৎ ২০৩১ সাল পর্যন্ত মজুদকৃত গ্যাস ব্যবহার করা যেতে পারে।

তিনি বলেন, তবে বর্তমানে চাহিদা অনুযায়ী গ্যাস সরবরাহ করা সম্ভব হচ্ছে না। ভবিষ্যতে গ্যাসের চাহিদা আরো বৃদ্ধি পাবে। এর ফলে গ্যাসের মজুদ হ্রাস পেলে অপরিবর্তিত হারে উৎপাদন বজায় রাখা সম্ভব হবে না। সময়ের সাথে সাথে গ্যাসের প্রেসার হ্রাসের কারণে বিদ্যমান ফিল্ডসমূহের উৎপাদন ক্ষমতা হ্রাস পেতে থাকবে। বাপেক্স দেশের বিভিন্ন এলাকায় (অনশোর) গ্যাস অনুসন্ধানের লক্ষ্যে ২ডি ও ৩ডি সিসমিক সার্ভেসহ অনুসন্ধান কূপ খননের কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। আইওসি কোম্পানিসমূহও অফশোরে গ্যাস অনুসন্ধানের জন্য জোর চেষ্টা চালাচ্ছে।

উক্ত কার্যক্রমের ফলে ভবিষ্যতে নুতন গ্যাস পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলেও জানান প্রতিমন্ত্রী।

৬ বছরে ৭৩ বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপন
মানিকগঞ্জ-২ আসনের সংসদ সদস্য মমতাজ বেগমের এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি জানান, ২০০৯ সাল হতে ২০১৫ সালের অক্টোবর মাস পর্যন্ত ৬ হাজার ৩০৬ মেগাওয়াট ক্ষমতার ৭৩টি বিদ্যু কেন্দ্র স্থাপিত হয়েছে। এছাড়াও ভারত থেকে ৫০০ মেগাওয়াট বিদ্যু আমদানির মাধ্যমে জাতীয় গ্রীডে যুক্ত হয়েছে।

জ্বালানী খাতে ভর্তুকি নেই
সিলেট-৫ আসনের সেলিম উদ্দিনের অপর এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, জ্বালানী খাতের মধ্যে তরল জ্বালানি তেল বিক্রয়ে সরকার বর্তমানে কোন ভর্তুকি প্রদান করছে না।


এইচএস/আরএস/পিআর