চট্টগ্রামে করোনা সংক্রমণ ৩১ হাজার ছাড়াল
গত ২৪ ঘণ্টায় চট্টগ্রামে নতুন করে ১১৪ জনের দেহে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে। এর মধ্য দিয়ে এ জেলায় করোনা সংক্রমণ ৩১ হাজার ছাড়িয়ে গেছে।
বৃহস্পতিবার (৭ জানুয়ারি) সকালে জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয় থেকে প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, নগরের সাতটি ও কক্সবাজার মেডিকেল কলেজ ল্যাবে গত ২৪ ঘণ্টায় চট্টগ্রামে এক হাজার ৬২০ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এতে নতুন ১১৪ জনের দেহে করোনা শনাক্ত হয়েছে। যার মধ্যে শহরের বাসিন্দা ৯৯ জন এবং আট উপজেলার ১৫ জন। উপজেলায় আক্রান্তদের মধ্যে হাটহাজারীতে পাঁচজন, সীতাকুণ্ডে চারজন, রাউজান, ফটিকছড়ি, লোহাগাড়া, সাতকানিয়া, বাঁশখালী ও পটিয়ায় একজন করে রয়েছেন।
জেলায় এ পর্যন্ত মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৩১ হাজার ৯৪ জন। সংক্রমিতদের মধ্যে শহরের বাসিন্দা ২৪ হাজার ১০৬ জন ও গ্রামের ৬ হাজার ৯৮৮ জন। সাতদিন মৃত্যু শূন্য থাকার পর গতকাল করোনায় এক জনের মৃত্যু হয়েছে। জেলায় এখন মোট মৃতের সংখ্যা এখন ৩৬০ জন। এর মধ্যে শহরের ২৫৭ জন ও গ্রামের ১০৩ জন।
গত ২৪ ঘণ্টায় জেলায় করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন ৪৪ জন। সব মিলিয়ে জেলায় মোট সুস্থতা লাভকারীর সংখ্যা ২৯ হাজার ৬৯০ জন। এদের ৩ হাজার ৯৫২ জন হাসপাতালে ও ২৫ হাজার ৭৩৮ জন বাসায় চিকিৎসা নিয়ে সুস্থ হয়েছেন। বর্তমানে জেলায় কোয়ারেন্টাইনে আছেন ১ হাজার ৩৯১ জন।
ল্যাবভিত্তিক প্রতিবেদনে দেখা যায়, ফৌজদারহাটস্থ বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ট্রপিক্যাল অ্যান্ড ইনফেকশাস ডিজিজেস (বিআইটিআইডি) ল্যাবে সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় সবচেয়ে বেশি ৬৯৬টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এতে ১৩টির রেজাল্ট পজিটিভ আসে। চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) ল্যাবে ৫২৬ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ৩৯ জনের শরীরে করোনাভাইরাস পাওয়া যায়। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) ল্যাবে ১২৮ জনের নমুনায় ২২ জন করোনা আক্রান্ত হিসেবে চিহ্নিত হন। চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি অ্যান্ড এনিম্যাল সায়েন্সেস বিশ্ববিদ্যালয় (সিভাসু) ল্যাবে ৬৮টি নমুনার সাতটিতে করোনার জীবাণু মেলে।
বেসরকারি ক্লিনিক্যাল ল্যাবরেটরি ইম্পেরিয়াল হাসপাতালে ৬৮, শেভরনে ২৫ এবং মা ও শিশু হাসপাতালে ২৭ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এতে যথাক্রমে ১৫, ১২ ও ৫ জনের শরীরে করোনার উপস্থিতি মেলে। চট্টগ্রামের ৮২টি নমুনা পরীক্ষার জন্য কক্সবাজার মেডিকেল কলেজ ল্যাবে পাঠানো হয়। এতে একটি ছাড়া সবগুলোরই ফলাফল নেগেটিভ আসে।
ল্যাবভিত্তিক প্রতিবেদন বিশ্লেষণে বিআইটিআইডি’তে ১ দশমিক ৮৭ শতাংশ, চমেকে ৭ দশমিক শূন্য ৪১, চবিতে ১৭ দশমিক ১৯, সিভাসুতে ১০ দশমিক ২৯, ইম্পেরিয়াল হাসপাতালে ২২ দশমিক ৬, শেভরনে ৪৮, মা ও শিশু হাসপাতালে ১৮ দশমিক ৫২ এবং কক্সবাজার মেডিকেলে ১ দশমিক ২২ শতাংশ সংক্রমণ হার নির্ণীত হয়।
এসজে/জেআইএম