আটকের পর জঙ্গি বলা ও গুলি চালানো বর্বরতা : ড. মিজান
আটকের পর যে কাউকে জঙ্গি বলা বা গুলি করা চরম পৈশাচিকতা ও বর্বরতা বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান ড. মিজানুর রহমান। শনিবার দুপুরে রাজধানীর বিচার প্রশাসন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট ভবনের সেমিনার কক্ষে এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, আটকের পর বিচারিক প্রক্রিয়ার মাধ্যমে প্রমাণ না হওয়া পর্যন্ত কাউকে জঙ্গি হিসেবে আখ্যা দেয়া ঠিক নয়। জঙ্গি বলে যে কাউকে আটক করার পর তার পায়ে গুলি করা হলে তা চরম পৈশাচিকতা ও বর্বরতা।
মানবাধিকার কমিশনার চেয়ারম্যান বলেন, কাউকে জঙ্গি তখনই বলা সম্ভব যখন বিচার প্রক্রিয়ার মাধ্যমে সেটি প্রমাণিত হয়। কিন্তু তার আগে কাউকে আটক করে জঙ্গি উপাধি দেওয়া ঠিক না। এসব বক্তব্য বিচ্যুতভাবে উপস্থাপন করবেন না। মানুষকে মানুষ হিসেবেই দেখতে হবে।
প্রয়াত কথা সাহিত্যিক হুমায়ুন আহমেদের `হলুদ হিমু কালো র্যাব` বইয়ের প্রসঙ্গ তুলে ড. মিজানুর রহমান বলেন, মানুষকে বুঝতে হবে। রাষ্ট্রের উচিত মানুষকে মানুষ হিসেবেই মূল্যায়ন করা।
ড. মিজানুর রহমান বলেন, মানবাধিকার কমিশন থেকে কোনো বিষয় নিয়ে কথা বলার পর যদি তা বিকৃতভাবে উপস্থাপন করা হয়, তাহলে কি আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা হবে?
মিজানুর রহমান বলেন, বিশেষ ক্ষমতা আইন একটি কালো আইন। এ আইন বাতিলের দাবি দীর্ঘদিনের। খাদ্যে ভেজাল রোধের জন্য বিশেষ ক্ষমতা আইন প্রয়োগের কথা অনেকেই বলছেন, এটা ঠিক নয়।
`বিষমুক্ত খাদ্য নিশ্চিতকরণ: গৃহীত ব্যবস্থা ও করণীয়` শীর্ষক ওই আলোচনা সভার আয়োজন করে পরিবেশ বাঁচাও আন্দোলন (পবা)। এতে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন পবার নির্বাহী সাধারণ সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার আব্দুস সোবহান।
পবার চেয়ারম্যান আবু নাসের খানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন- আইন কমিনের জ্যেষ্ঠ সদস্য বিচারপতি এটিএম ফজলে কবির, ইউজিসিরি সদস্য প্রফেসর রশিদ-ই মাহবুব, পবার সদস্য সচিব ডা. লেনিন চৌধুরী, পবার আহ্বায়ক প্রফেসর মাহফুজা খানম প্রমুখ।