ভিডিও EN
  1. Home/
  2. জাতীয়

আবহাওয়ার আগাম সতর্কবার্তা পেতে প্রকল্প, খরচ ৫২০ কোটি

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ০৩:৫৯ পিএম, ০৬ জানুয়ারি ২০২১

আবহাওয়ার তথ্য সেবা ও আগাম সতর্কবার্তা পদ্ধতি জোরদারকরণ (কম্পোনেন্ট-এ) প্রকল্প’ এর প্রাক্কলিত ব্যয় ধরা হয়েছে ৫২০ কোটি ১৫ লাখ টাকা। এর মধ্যে বিশ্বব্যাংকের ঋণ সহায়তা ৪৬২ কোটি ৯৩ লাখ টাকা। বাকি ৫৭ কোটি ২২ লাখ টাকা সরকারি অর্থায়ন। ‘বাংলাদেশ আঞ্চলিক আবহাওয়া ও জলবায়ু সেবা‘ প্রকল্পের আওতায় এটি বাস্তবায়ন করা হচ্ছে।

বুধবার (৬ ডিসেম্বর) সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির বৈঠকে এ তথ্য জানানো হয়। কমিটির সভাপতি মোহাম্মদ সুবিদ আলী ভূঁইয়ার সভাপতিত্ব বৈঠকে কমিটির সদস্য মুহাম্মদ ফারুক খান, ইলিয়াস উদ্দিন মোল্লাহ্, মো. মোতাহার হোসেন, মো. নাসির উদ্দিন এবং নাহিদ ইজাহার খান অংশ নেন।

বৈঠকে জানানো হয়, ২০১৬ সালের জুলাই মাসে এ প্রকল্পের কাজ শুরু হয়েছে। শেষ হওয়ার কথা চলতি বছরের জুন মাসে। যদিও ২০১৭ সালের জুলাই মাসে একনেকে অনুমোদনের পর এ প্রকল্পের কাজ আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হয়।

প্রকল্পের মাধ্যমে ২০০টি উপজেলায় স্বয়ংক্রিয় কৃষি আবহাওয়া যন্ত্র স্থাপন, চারটি বিভাগীয় শহরের ওয়াসা অফিসে ৬৫টি স্বয়ংক্রিয় বৃষ্টি পরিমাপক যন্ত্র স্থাপন এবং ৩৫টি সনাতন পর্যবেক্ষণাগারে স্বয়ংক্রিয় বৃষ্টি পরিমাপক যন্ত্র স্থাপন করা হবে।

আবহাওয়া অধিদফতরের প্রকল্পে জনগণের কাজে ব্যবহৃত হবে এমন যন্ত্রপাতি যাতে কেনা হয়, সেদিকে খেয়াল রাখতে নির্দেশনা দিয়েছে সংসদীয় কমিটি। একই সঙ্গে বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদফতরে বিমানবাহিনীর একজন কর্মকর্তা প্রেষণে নিয়োজিত করার সুপারিশ করা হয়।

সংসদ সচিবালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, বৈঠকে দেশে জনসাধারণের কাজে ব্যবহৃত হবে এমন যন্ত্রপাতি যেন স্থাপন করা হয় এবং সেই সঙ্গে প্রকল্পের আধুনিকায়নের কাজ যথাযথাভাবে তদারকি করার সুপারিশ করা হয়।

ঢাকা, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিমানবন্দরে আবহাওয়া যন্ত্রপাতি স্থাপন করে নিরাপদ বিমান উড্ডয়ন ও অবতরণে বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষকে সাহায্য করা হবে। এছাড়া ঊর্ধ্বাকাশের আবহাওয়ার উপাত্ত সংগ্রহের জন্য ১১টি আন্তর্জাতিকমানের পোর্টেবল হাইড্রোজেন গ্যাস জেনারেটর স্থাপন করা হবে। গ্লোবাল টেলিকমিউনিকেশন সুইচিং সিস্টেম আধুনিকায়ন করা হবে।

এছাড়া ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে আবহাওয়া বিজ্ঞান বিভাগ স্থাপনে পরামর্শক সেবা ও যন্ত্রপাতি ক্রয়ের মাধ্যমে সহযোগিতা করা হবে।

এইচএস/এএএইচ/এমএস