২৪ ঘণ্টায় মৃতদের ৫০ শতাংশ ভুগছিলেন দীর্ঘমেয়াদি রোগে
দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃত ৩০ জনের মধ্যে ১৫ জন অর্থাৎ ৫০ শতাংশ রোগীই দীর্ঘমেয়াদি বিভিন্ন জটিল রোগে ভুগছিলেন। এদের মধ্যে একজন হাইপারটেশন (উচ্চরক্তচাপ), দু’জন হাইপারটেশন ও ডায়াবেটিস, দু’জন ডায়াবেটিস ও অ্যাজমা, দু’জন ডায়াবেটিস ও হাইপারটেশন এবং হাইপোথাইরয়েড, চারজন ডায়াবেটিস ও হাইপারটেনশন এবং কিডনি, একজন ক্যানসার, একজন ক্যানসার ও হার্ট, একজন ক্যানসার ও কিডনি, একজন ডায়াবেটিস ও হাইপারটেনশন এবং হার্টের রোগে ভুগছিলেন।
মঙ্গলবার (২৯ ডিসেম্বর) স্বাস্থ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।
দেশে গত ৮ মার্চ প্রথম করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়। এর ১০ দিন পর গত ১৮ মার্চ প্রথম করোনা রোগীর মৃত্যু হয়। এখন পর্যন্ত করোনায় সর্বমোট সাত হাজার ৫০৯ জনের মৃত্যু হয়। এদের মধ্যে পুরুষ পাঁচ হাজার ৭১৭ জন (৭৬ দশমিক ১৩ শতাংশ) ও নারী এক হাজার ৭৯২ জন (২৩ দশমিক শূন্য ৮৭ শতাংশ)।
বয়স বিবেচনায় করোনায় মৃত মোট সাত হাজার ৫০৯ জনের মধ্যে চার হাজার ৯৭ জনের বয়স ষাটোর্ধ্ব (৫৪ দশমিক ৫৬ শতাংশ)। এছাড়া পঞ্চাশোর্ধ্ব এক হাজার ৯০৫ জন (২৫ দশমিক ৩৭ শতাংশ), চল্লিশোর্ধ্ব ৮৮১ জন (১১ দশমিক ৭৩ শতাংশ), ত্রিশোর্ধ্ব ৩৭৫ জন (চার দশমিক ৯৯ শতাংশ), বিশোর্ধ্ব ১৫৯ জন (দুই দশমিক ১২ শতাংশ), দশোর্ধ্ব ৫৭ জন (শূন্য দশমিক ৭৬ শতাংশ) এবং দশ বছরের নিচে ৩৫ জন (শূন্য দশমিক ৪৭ শতাংশ)।
সর্বশেষ গত ২৪ ঘণ্টায় মৃত ৩০ জনের মধ্যে সর্বোচ্চ সংখ্যক ২১ জন ষাটোর্ধ্ব বয়সী। এছাড়া পঞ্চাশোর্ধ্ব পাঁচজন এবং চল্লিশোর্ধ্ব তিনজন রয়েছেন।
এমইউ/এসজে/এমকেএইচ