ওষুধের অনিয়ম প্রতিরোধ সংক্রান্ত অ্যাকশন কমিটি পুনর্গঠন
জেলা প্রশাসককে সভাপতি এবং ওষুধ প্রশাসন জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক সদস্যসচিব করে ১১ সদস্যের জেলা ওষুধের অনিয়ম প্রতিরোধ সংক্রান্ত অ্যাকশন কমিটি পুনর্গঠন করা হয়েছে।
কমিটির রূপরেখা পরিবর্তন করে আরও সময়পোযোগী কার্যপরিধি সংযোজন করা হয়েছে। পুনর্গঠিত অন্যান্য সদস্যরা হলেন- সংশ্লিষ্ট জেলা পুলিশ সুপার, সিভিল সার্জন, জেলা পরিবার পরিকল্পনা কার্যালয়ের উপ-পরিচালক, জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কর্মকর্তা (ইউএইচএফপিও), ঊর্ধ্বতন স্বাস্থ্যশিক্ষা কর্মকর্তা/জুনিয়র স্বাস্থ্য কর্মকর্তা, জেলা কেমিস্ট অ্যান্ড ড্রাগিস্ট সমিতি প্রশাসনের জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরচালক।
রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের ওষুধ প্রশাসন শাখার সহকারী সচিব মো. মোস্তাফিজুর রহমান স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানানো হয়। জনস্বার্থে জারিকৃত এ আদেশ অবিলম্বে কার্যকর হবে।
কমিটির কার্যপরিধি :
১. কমিটি স্ব স্ব জেলার আওতাধীন এলাকায় লাইসেন্স ও ফার্মাসিস্টবিহীন ঔষধের দোকান, মেয়াদোত্তীর্ণ ঔষধ বিক্রয়কারী এবং নকল, ভেজাল ও আনরেজিস্টার্ড ঔষধ। ভ্যাকসিন প্রস্তুতকারী, বিক্রয়কারী ও সরবরাহকারীদের বিরুদ্ধে নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করার ব্যবস্থা করবে এবং ঔষধ আইন ১৯৪০, ঔষধ নিয়ন্ত্রণ অধ্যাদেশ ১৯৮২ এবং বিশেষ ক্ষমতা আইন ১৯৭৪ অনুযায়ী সংশ্লিষ্ট অপরাধীদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।
২. কমিটির সভাপতি প্রতিমাসে মোবাইল কোর্ট পরিচালনার তথ্য সন্নিবেশপূর্বক স্বাস্থ্য সেবা বিভাগ এবং ঔষধ প্রশাসন অধিদফতরে প্রেরণ করার বিষয়টি নিশ্চিত করবে।
৩. কমিটির সদস্য সচিব (সহকারী পরিচালক, ঔষধ প্রশাসন, জেলা কার্যালয়) প্রতিমাসে গৃহীত ব্যবস্থা সম্পর্কে আলাদাভাবে ঔষধ প্রশাসন অধিদফতরের মহাপরিচালক বরাবর একটি পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন দাখিল করবে।
৪. নকল, ভেজাল ও আনরেজিস্টার্ড, মেয়াদোত্তীর্ণ ঔষধ ভ্যাকসিন ক্রয়-বিক্রয় প্রতিরোধে ও অ্যান্টিবায়োটিকের যৌক্তিক ব্যবহার নিশ্চিত করার যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ করবে।
৫. সংক্রামক ব্যাধি বিশেষ করে কোভিড-১৯ রোগ প্রতিরোধে সরকার কর্তৃক ঘোষিত স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার প্রচারণার বিষয়টি নিশ্চিত করবে।
৬. কমিটি প্রতি দুই মাসে অন্তত একবার সভা করবে।
এমইউ/এএএইচ/এমএস