বিমান বন্ধের সিদ্ধান্ত হয়নি, পর্যবেক্ষণ করছি
করোনাভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবালিয়া অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশের বিমান পরিচালনা বন্ধের বিষয়ে এখনও কোনো সিদ্ধান্ত নেয়া হয়নি, পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন বেসামরিক বিমান ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. মহিবুল হক।
তিনি বলেছেন, সরকারিভাবে আমরা খুব দ্রুত কী করব, সে সিদ্ধান্তটা জানাব।
মঙ্গলবার (২২ ডিসেম্বর) সচিবালয়ে নিজ দফতরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।
মধ্যপ্রাচ্যের দুটি দেশের সঙ্গে বিমান যোগাযোগ বন্ধের বিষয়ে সিনিয়র সচিব বলেন, আমরা কোনো দেশের সঙ্গে ফ্লাইট পরিচালনা বন্ধ করিনি। তারা যেহেতু আমাদের এক্সেস দিচ্ছে না সে কারণে আমাদের বিমান যেতে পারছে না।
এ ছাড়া করোনায় বিমানের ক্ষতি প্রায় তিন হাজার কোটি টাকা ও পর্যটন খাতের ক্ষতি ২ হাজার কোটি টাকা বলে জানান তিনি।
করোনার কারণে বিমানে নতুন করে সমস্যার সৃষ্টি হচ্ছে, সে বিষয়ে সরকার কী সিদ্ধান্ত নিতে যাচ্ছে এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, সারা পৃথিবীর মতো বাংলাদেশেও করোনার পরিস্থিতির জন্য অনেক খাতে বিপর্যয়ের সম্মুখীন হয়েছে। একক মন্ত্রণালয় হিসেবে সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়েছে আমাদের বেসামরিক বিমান ও পর্যটন মন্ত্রণালয়। আমাদের বিমান, এয়ারপোর্ট, পর্যটন, হোটেল, মোটেল ও রিসোর্টসহ সব কিছু মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
এ ছাড়া করোনায় বিমানের প্রায় তিন হাজার কোটি টাকা ও পর্যটন খাতে প্রায় ২ হাজার কোটি টাকা ক্ষতি হয়েছে বলেও জানান তিনি।
মহিবুল হক আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রীর সময়োপযোগী সিদ্ধান্তের কারণে আমরা ধীরে ধীরে একটা পর্যায়ে চলে আসছিলাম। আমাদের বিমানবন্দর, হোটেল, মোটেল ও রিসোর্টগুলো খুলে দিয়েছি। গতকাল পর্যন্ত বাংলাদেশে ২৯টি এয়ারলাইন্স ফ্লাইট পরিচালনা করতো। সব ফ্লাইটের মধ্যে যাত্রীবাহী ফ্লাইটের সংখ্যা ছিল ১৯৮টি, আর কার্গোবাহী ফ্লাইটের সংখ্যা ছিল ৭৪টি।
আইএইচআর/এসজে/এমকেএইচ