ভিডিও EN
  1. Home/
  2. জাতীয়

নারায়ণগঞ্জের পথে নূর হোসেন

প্রকাশিত: ০১:৪১ এএম, ১৩ নভেম্বর ২০১৫

বহুল আলোচিত সাত খুন মামলার প্রধান আসামি নূর হোসেনকে উত্তরার র‌্যাব-১ কার্যালয় থেকে নারায়ণগঞ্জে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। শুক্রবার সকাল ৭টা ২০ মিনিটের দিকে নূর হোসেনকে বহনকারী গাড়ি র‌্যাব-১ কার্যালয় থেকে নারায়ণগঞ্জের উদ্দেশে রওনা হয়।

এর আগে বেনাপোলে হস্তান্তরের পর নূর হোসেনকে সরাসরি নিয়ে আসা হয় উত্তরার র‌্যাব-১ কার্যালয়ে। সকাল ৬টা ৫০ মিনিটে নূর হোসেনকে বহনকারী গাড়ি র‌্যাব-১ কার্যালয়ে প্রবশে করে। তাকে নিয়ে আসা গাড়িটির সঙ্গে ছিলো আরও চারটি গাড়ি। এসময় কিছুক্ষণের জন্য সাংবাদিকদের ব্রিফ করে র‌্যাব।

র‌্যাব-১ এর উপ-অধিনায়ক (লেফট্যানেন্ট কমান্ডার) কাজী মো. শোয়াইব জানান, নূর হোসেনকে উত্তরায় র‌্যাব-১ কার্যালয়ে নিয়ে আসা হয়েছিল। আমরা তাকে র‌্যাব-১১ এর কাছে হস্তান্তর করেছি। র‌্যাব-১১ নূর হোসেনকে নারায়ণগঞ্জ পুলিশের কাছে হস্তান্তর করবে।

এর আগে, সব জল্পনা কল্পনার অবসান ঘটিয়ে বৃহস্পতিবার রাত ১১টা ৩২ মিনিটে বেনাপোল চেকপোস্ট দিয়ে নূর হোসেনকে বাংলাদেশে হস্তান্তর করে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)। হস্তান্তরের সঙ্গে সঙ্গে ঢাকা মেট্রো-চ-৫১-৮৯২৮ নম্বরের একটি নেভি ব্ল মাইক্রোবাসে করে তাকে কড়া নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে ঢাকার উদ্দেশে নিয়ে আসা হয়।

এ সময় স্থানীয় কোনো সাংবাদিকের সঙ্গে তাকে কোনো কথা বলতে দেয়া হয়নি। প্রশাসনেরও কোনো কর্মকর্তা কোনো কথা বলেননি। নূর হোসেনকে হস্তান্তর করা হয় বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) কাছে। এর আগে ভারতের দমদম জেল থেকে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় তাকে নিয়ে পুলিশের একটি দল কলকাতা-যশোর রোড ধরে বেনাপোলের বিপরীতে পেট্রাপোল সীমান্তে রওনা দেন। রাত ৯টার দিকে তাকে নিয়ে পুলিশের দলটি ভারতীয় চেকপোস্ট আসে। এর পর বিজিবি-বিএসএফ বেনাপোল চেকপোস্ট বিজিবি ও পেট্রাপোল বিএসএফ ক্যাম্পে দফায় দফায় বৈঠক করতে দেখা যায়।

আটক নূর হোসেনকে বাংলাদেশে ফেরত পাঠানোর বিষয়ে আগেই নির্দেশনা ছিল পশ্চিমবঙ্গের একটি আদালতের। গত ১৬ অক্টোবর এ নির্দেশ দেন উত্তর চব্বিশ পরগণার ভারপ্রাপ্ত জেলা দায়রা বিচারক সন্দ্বীপ চক্রবর্তী। তবে ভারতের বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন ইউনাইটেড লিবারেশন ফ্রন্ট অব আসাম (উলফা)’র নেতা অনুপ চেটিয়াকে ভারতের কাছে হস্তান্তরের পর নূর হোসেনকে ফেরতের বিষয়ে এ সবুজ সংকেত পাওয়া যায় এবং অবশেষে তাকে দেশে ফেরত পাঠালো ভারত সরকার।

উল্লেখ্য, গত বছরের (২০১৪ সাল) ২৭ এপ্রিল নারায়ণগঞ্জ শহরের কাছ থেকে পৌর কাউন্সিলর নজরুল ইসলাম, আইনজীবী চন্দন সরকারসহ সাতজনকে অপহরণ করেন র‌্যাব-১১-এর কতিপয় সদস্য। এর তিনদিন পর শীতলক্ষ্যা নদীতে হাত-পা বাধা অবস্থায় সাত জনেরই মৃতদেহ পাওয়া যায়। এ ঘটনায় আরেক কাউন্সিলর নূর হোসেনকে প্রধান আসামি করে দুটি মামলা দায়ের করা হয়।

মামলায় অভিযোগ করা হয়- নূর হোসেনের কাছ থেকে বিপুল পরিমাণ টাকা নিয়ে তার প্রতিপক্ষকে খুন করে র‌্যাব। এর আগেই নূর হোসেন ভারতের কলকাতায় পালিয়ে যান এবং সেখানে স্থানীয় আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে আটক হয়। পরে অনুপ্রবেশের অভিযোগে বার বিরুদ্ধে বিচার শুরু করে দেশটি।

জেইউ/এআর/এআরএ/বিএ

আরও পড়ুন