ভিডিও EN
  1. Home/
  2. জাতীয়

র‌্যাব-১ কার্যালয়ে নূর হোসেন

প্রকাশিত: ০১:১১ এএম, ১৩ নভেম্বর ২০১৫

বহুল আলোচিত সাত খুন মামলার প্রধান আসামি নূর হোসেনকে উত্তরায় র‌্যাব-১ কার্যালয়ে নিয়ে আসা হয়েছে। শুক্রবার সকাল ৬টা ৫০ মিনিটে নূর হোসেনকে বহনকারী গাড়ি র‌্যাব-১ কার্যালয়ে প্রবশে করে। তাকে নিয়ে আসা গাড়িটির সঙ্গে ছিলো আরও চারটি গাড়ি। এর আগে বেনাপোল থেকে সড়ক পথে রাতেই নূর হোসেনকে নিয়ে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী ঢাকার উদ্দেশে রওনা হয়।

র‌্যাব-১ উপ-অধিনায়ক লেফট্যানেন্ট কমান্ডার কাজী মো. শোয়াইব জানান, নূর হোসেন আমাদের কাছে আসে। আমরা কিছুক্ষণের মধ্যে র‌্যাব-১১ এর কাছে হস্তান্তর করবো। র‌্যাব-১১ নারায়ণগঞ্জ পুলিশের কাছে হস্তান্তর করবে।

বৃহস্পতিবার রাত ১১টা ৩৫ মিনিটে বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে বাংলাদেশ পুলিশের কাছে তাকে হস্তান্তর করে বিএসএফ। এরপর কঠোর নিরাপত্তার মধ্যদিয়ে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা নূর হোসেনকে নিয়ে ঢাকার পথে রওনা হয়।

আটক নূর হোসেনকে বাংলাদেশে ফেরত পাঠানোর বিষয়ে আগেই নির্দেশনা ছিল পশ্চিমবঙ্গের একটি আদালতের। গত ১৬ অক্টোবর এ নির্দেশ দেন উত্তর চব্বিশ পরগণার ভারপ্রাপ্ত জেলা দায়রা বিচারক সন্দ্বীপ চক্রবর্তী। তবে ভারতের বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন ইউনাইটেড লিবারেশন ফ্রন্ট অব আসাম (উলফা)’র নেতা অনুপ চেটিয়াকে ভারতের কাছে হস্তান্তরের পর নূর হোসেনকে ফেরতের বিষয়ে এ সবুজ সংকেত পাওয়া যায় এবং অবশেষে তাকে দেশে ফেরত পাঠালো ভারত সরকার।

উল্লেখ্য, গত বছরের (২০১৪ সাল) ২৭ এপ্রিল নারায়ণগঞ্জ শহরের কাছ থেকে পৌর কাউন্সিলর নজরুল ইসলাম, আইনজীবী চন্দন সরকারসহ সাতজনকে অপহরণ করেন র‌্যাব-১১-এর কতিপয় সদস্য। এর তিনদিন পর শীতলক্ষ্যা নদীতে হাত-পা বাধা অবস্থায় সাত জনেরই মৃতদেহ পাওয়া যায়। এ ঘটনায় আরেক কাউন্সিলর নূর হোসেনকে প্রধান আসামি করে দুটি মামলা দায়ের করা হয়। মামলায় অভিযোগ করা হয়- নূর হোসেনের কাছ থেকে বিপুল পরিমাণ টাকা নিয়ে তার প্রতিপক্ষকে খুন করে র‌্যাব।

এর আগেই নূর হোসেন ভারতের কলকাতায় পালিয়ে যান এবং সেখানে স্থানীয় আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে আটক হয়। পরে অনুপ্রবেশের অভিযোগে বার বিরুদ্ধে বিচার শুরু করে দেশটি।

জেইউ/এআর/বিএ

আরও পড়ুন