ভিডিও EN
  1. Home/
  2. জাতীয়

টেলিটকের লোকসান ৪শ’ কোটি টাকা : তারানা হালিম

প্রকাশিত: ০১:২৫ পিএম, ১২ নভেম্বর ২০১৫

সরকারি মোবাইল ফোন কোম্পানি টেলিটকের লোকসান ৩৯৯ কোটি ৮৪ লাখ টাকা বলে সংসদকে জানিয়েছেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী অ্যাডভোকেট তারানা হালিম।

বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদের প্রশ্নোত্তর পর্বে জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য কাজী ফিরোজ রশিদের সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে সংসদকে এ তথ্য জানান তিনি।  

এ সময় তিনি প্রশ্ন রেখে বলেন, সব মোবাইল কোম্পানি যেখানে লাভ করছে, সেখানে টেলিটক কেন নিজের পায়ে দাঁড়াতে পারছে না তা আমার বোধগম্য নয়।

আশারবাণী শুনিয়ে তারানা হালিম বলেন, টেলিটককে লোকসানের হাত থেকে লাভজনক প্রতিষ্ঠানে দাঁড় করাতে ব্যাপক পরিকল্পনা হাতে নেয়া হয়েছে। এটিকে নতুনভাবে বাজারজাত করা হবে। এছাড়া দক্ষিণ কোরিয়াকে স্বল্প সুদে ঋণ দেওয়ার জন্য অনুরোধ করেছি। একই সঙ্গে দেশের প্রতিটি ডাকঘরে টেলিটকের একটি করে সার্ভিস সেন্টার খোলার সুপারিশ করা হয়েছে।

এ সময় তিনি বলেন, আমাদের মনে রাখতে হবে টেলিটক শুধু ব্যবসা করার জন্য আসেনি। এটি সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান। তারপরও আমাদের চেষ্টা আছে টেলিটককে নিজের পায়ে দাঁড় করানোর। আশা করি আমরা সেটি পারবো।

গাজী ম, ম, আমজাদ হোসেন মিলনের লিখিত প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী জানান, বর্তমানে দুইটি মোবাইল অপারেটর (প্যাসিফিক বাংলাদেশ টেলিকম লিমিটেড (সিটিসেল) এবং টেলিটক বাংলাদেশ লিমিটেডের নিকট থেকে সরকারি পাওনা এক হাজার ৮৬৫  দশমিক ৫৩ কোটি টাকা।

এর মধ্যে সিটিসেলের নিকট টু-জি লাইসেন্সের স্পেকট্রাম অ্যাসাইনমেন্ট ফি/নবায়ন ফি বাবদ ২২৯ দশমিক শূন্য কোটি টাকা, লাইসেন্স ফি বাবদ ৫ দশমিক শূন্য কোটি টাকা, স্পেকট্রাম চার্জ বাবদ ১৯ দশমিক ৭৫ কোটি টাকা, রেভিনিউ শেয়ারিং বাবদ ১৯ দশমিক ২০ কোটি টাকা ও এসওএফ’র চাঁদা বাবদ ৭ দশমিক ৪৫ কোটি টাকাসহ ২৮০ দশমিক ৪০ কোটি টাকা বকেয়া রয়েছে বলে জানান তিনি।
 
তারানা জানান, বকেয়া রাজস্ব আদায়ের জন্য সিটিসিলের বিরুদ্ধে ইতোমধ্যে বিটিআরসি’র লিগ্যাল ও লাইসেন্সিং (এল.এল) বিভাগ হতে পাবলিক ডিম্যান্ড রিকভারি (পিডিআর) অ্যাক্ট, ১৯১৩ এবং বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ আইন-২০০১ এর বিধান মোতাবেক মামলা দায়ের করার সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে।

পাশাপাশি অন্য অপারেটর টেলিটকের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা ব্যবস্থা গ্রহণের বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলেও সংসদকে জানান তারানা হালিম।

এইচএস/এসকেডি/পিআর

আরও পড়ুন