নেগেটিভ সনদ ছাড়া পাঁচ শতাধিক যাত্রী আনল সাউদিয়া, জরিমানা ২ লাখ
করোনা নেগেটিভ সনদ ছাড়া গত ২৪ ঘণ্টায় (১৫ ডিসেম্বর সকাল ৮টা থেকে ১৬ ডিসেম্বর সকাল ৮টা) সৌদি এয়ারলাইন্স (সাউদিয়া) আরও ২৬০ জন যাত্রী নিয়ে এসেছে। এ নিয়ে গত দুই দিনে হযরত শাহজালাল আন্তজার্তিক বিমানবন্দরে মোট পাঁচ শতাধিক যাত্রী নিয়ে আসল বিমান সংস্থাটি।
বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে করোনা নেগেটিভ সনদ ছাড়া যাত্রী পরিবহন করার দায়ে সৌদি এয়ারলাইন্সকে দুই লাখ টাকা জরিমানা করেছেন বিমানবন্দরে কর্তব্যরত নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট।
বিমানবন্দরে কর্তব্যরত স্বাস্থ্য অধিদফতর সূত্র জানায়, মঙ্গলবার (১৫ ডিসেম্বর) তিনটি ফ্লাইটে মোট ২৬০ জন যাত্রী করোনা নেগেটিভ সনদ ছাড়া পরিবহন করে সৌদি এয়ারলাইন্স। সৌদি এয়ারলাইন্সের (এসবি ৩৫৮৮) ফ্লাইটে ২৫৪জন, (এসবি ৩৫৮০) ফ্লাইটে পাঁচজন এবং (এসবি ৩৮৮২) ফ্লাইটে কজন যাত্রী করোনা নেগেটিভ সনদ ছাড়া আসেন। তাদের সবাইকে কোয়ারেন্টাইন সেন্টারে পাঠানো হয়। এছাড়া জাতিসংঘ মিশন কঙ্গো থেকে ১৫৬ জন করোনা সনদ ছাড়া আসেন। তাদের সেনবাহিনীর তত্ত্বাবধানে কোয়ারেন্টাইন/আইসোলেশনে পাঠানো হয়ছে।
এর আগের দিন সৌদি এয়ারলাইন্স করোনা নেগেটিভ সনদ ছাড়াই ২৫৯ জন যাত্রী নিয়ে শাহজালাল বিমানবন্দরে আসে। সেদিন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নির্দেশ অমান্যের কারণ জানতে চাইলে তারা প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট জমা দেব বলে সময় চায়। পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় কাগজপত্র দাখিল না করে আরও ২৬০ জন যাত্রীকে নিয়ে আসে। এ কারণে বিমান সংস্থাটিকে দুই লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে বলে জানান নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আহমেদ জামিল ।
বুধবার (১৬ ডিসেম্বর) সকালে তিনি জাগো নিউজকে বলেন, গত ১৪ ডিসেম্বর ২৫৯ জন যাত্রী নিয়ে সৌদি এয়ারলাইন্সের একটি বিশেষ ফ্লাইট ঢাকায় পৌঁছে। যাত্রীদের কারও সাথে করোনা পরীক্ষার কোনো কাগজ ছিল না। তা সবাই কারাবন্দি ছিলেন। তাদের করোনা পরীক্ষা না করিয়েই ঢাকায় আনার অনুমতি ছিল কি-না জানতে চাওয়া হয়। সৌদি এয়ারলাইন্স অনুমতিপত্র দেখাতে সময় নেয়। কিন্তু প্রায় ২৪ ঘণ্টা পর ১৫ ডিসেম্বর অল্প সময়ের ব্যবধানে ঢাকায় অবতরণ করা সৌদি এয়ারলাইন্সের আরও তিনটি ফ্লাইটে করোনা পরীক্ষার সনদ ছাড়াই আবার যাত্রী নিয়ে আসে। এসব যাত্রীর সবাই কারাবন্দি ছিলেণ। আগের দিনের মত এদিনও সৌদি এয়ারলাইন্সের প্রতিনিধিদের কাছে অনুমতিপত্র দেখতে চাওয়া হয়।
বর্তমান নীতিমালা অনুযায়ী বাংলাদেশে আসা সব যাত্রীর সাথে করোনা শনাক্তকরণের জন্য নির্ধারিত পিসিআর পরীক্ষার সনদ থাকতে হবে। এ নিয়মের ব্যতিক্রম ঘটিয়ে বাংলাদেশে যাত্রী আনতে হলে বিশেষ ছাড়পত্র থাকতে হবে। কিন্তু এয়ারলাইন্স প্রতিনিধিরা এবারও এরকম কোনো অনুমতিপত্র বা ছাড়পত্র দেখাতে পারেননি।
তিনি আরও জানান, তিনটি ফ্লাইটের করোনার সনদবিহীন পাঁচ শতাধিক যাত্রী প্রায় এক কাপড়ে ঢাকায় এসেছেন। তাদের কেউ কেউ খালি পায়ে এসেছেন। অনেকের শীতের কাপড়ও ছিল না। সাথে লাগেজ বলতেও তেমন কিছু ছিল না।
এমইউ/এমএসএইচ/এমকেএইচ