২৪ ঘণ্টায় ৩৬ জনের প্রাণ কাড়ল করোনা
দেশে করোনাভাইরাসে (কোভিড-১৯) আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ৩৬ জন মারা গেছেন। তাদের মধ্যে পুরুষ ২৪ জন এবং নারী ১২ জন। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয়েছে ৩২ জনের এবং বাড়িতে মারা গেছেন চারজন। এ নিয়ে ভাইরাসটিতে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ছয় হাজার ৮৭৪ জনে।
একই সময়ে করোনা আক্রান্ত নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছেন আরও দুই হাজার ১৯৮ জন। ফলে দেশে মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়াল চার লাখ ৭৯ হাজার ৭৪৩ জনে। বিভিন্ন হাসপাতালে ও বাড়িতে উপসর্গবিহীন রোগীসহ গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন দুই হাজার ৬৬৩ জন। ফলে মোট সুস্থ রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে তিন লাখ ৯৮হাজার ৬২৩ জনে।
সোমবার (৭ ডিসেম্বর) বিকেলে স্বাস্থ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এতে আরও বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় ১৩৭টি ল্যাবরেটরিতে ১৪ হাজার ৯৮৩টি নমুনা সংগ্রহ এবং ১৪ হাজার ৩৬৯টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এ নিয়ে মোট নমুনা পরীক্ষার সংখ্যা দাঁড়াল ২৮ লাখ ৭৭হাজার ৫৩৮টি।
গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষার তুলনায় রোগী শনাক্তের হার ১৫ দশমিক শূন্য ৩০ শতাংশ। এ পর্যন্ত মোট নমুনা পরীক্ষা বিবেচনায় রোগী শনাক্তের হার ১৬ দশমিক ৬৭ শতাংশ। এছাড়া মোট রোগী শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৮৩ দশমিক ০৯ শতাংশ এবং মৃত্যুর হার এক দশমিক ৪৩ শতাংশ।
গত ২৪ ঘণ্টায় মৃতদের মধ্যে ২০ বছরের কম বয়সী একজন, ত্রিশোর্ধ্ব দুইজন, চল্লিশোর্ধ্ব তিনজন, পঞ্চাশোর্ধ্ব নয়জন এবং ষাটোর্ধ্ব ২১ জন ছিলেন। এদের মধ্যে ঢাকা বিভাগের ২৫ জন, চট্টগ্রামের সাতজন, রাজশাহীর একজন, খুলনার একজন, বরিশালের একজন এবং ময়মনসিংহ বিভাগের একজন ছিলেন।
দেশে করোনাভাইরাসে সংক্রমিত প্রথম রোগী শনাক্ত হয় গত ৮ মার্চ। এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে প্রথম মৃত্যুর ঘটনা ঘটে ১৮ মার্চ। এ পর্যন্ত যাদের মৃত্যু হয়েছে তাদের পুরুষ পাঁচ হাজার ২৫৫ জন (৭৬ দশমিক ৪৫ শতাংশ) এবং নারী এক হাজার ৬১৯ জন (২৩ দশমিক শূন্য ৫৫ শতাংশ)।
এমইউ/এইচএ/পিআর