ভিডিও EN
  1. Home/
  2. জাতীয়

বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণে চুক্তি সই

প্রকাশিত: ০৭:০১ এএম, ১১ নভেম্বর ২০১৫

বাংলাদেশের প্রথম কৃত্রিম উপগ্রহ ‘বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট’ উৎক্ষেপণে প্রায় ২ হাজার কোটি টাকায় স্যাটেলাইট সিস্টেম কেনার চুক্তি সই করেছে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিটিআরসি। এর মধ্য দিয়ে ২০১৭ সালের ১৬ ডিসেম্বরের মধ্যে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণের যে লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে তা চূড়ান্তের দিকে এগিয়ে গেল।

অনুষ্ঠানে বিটিআরসি চেয়ারম্যান শাহজাহান মাহমুদ এবং থ্যালেস এলিনিয়া স্পেস এর চেয়ারম্যান এবং প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা জঁ লইক গ্যাল  নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের পক্ষে চুক্তিতে সই করেন।

উল্লেখ্য, গত ২১ অক্টোবর সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির সভায় ‘বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট’ উৎক্ষেপণে স্যাটেলাইট সিস্টেম কেনার প্রস্তাব অনুমোদন দেয় সরকার।

SATTELITE

জানা গেছে, বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণের প্রকল্প বাস্তবায়নে মোট ব্যয় নির্ধারণ করা হয়েছে দুই হাজার নয়শ’ ৬৭ কোটি টাকা। সরকারের নিজস্ব তহবিল থেকে জোগান দেয়া হবে এক হাজার তিনশ’ ১৫ কোটি টাকা। বাকি এক হাজার ছয়শ’ ৫২ কোটি টাকা বিডার্স ফিন্যান্সিং এর মাধ্যমে সংকুলান করা হবে।

চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম, বিশেষ অতিথি ছিলেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ এবং আইটি মন্ত্রণালয় বিষয়ক সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ইমরান আহমেদসহ বিটিআরসির, থ্যালেস এলেনিয়া স্পেসের উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম বলেন, বাংলাদেশ নিজস্ব স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণের মধ্যে একটি মর্যাদা সম্পন্ন রাষ্ট্রে পরিনত হবে। প্রতি বছর রাজস্ব আয় বাড়বে। বর্তমানে দেশের টেলিভিশন চ্যানেল, ইন্টারনেট সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান, ভি-স্যাটসহ বিভিন্ন সংস্থা বিদেশি স্যাটেলাইট ব্যবহার করছে। এসব ক্ষেত্রে প্রায় ১০০ কোটি টাকা বাংলাদেশের ব্যয় হয় । নিজস্ব  স্যাটেলাইট থাকলে এই টাকা দেশেই থাকবে। অন্যদিকে, স্যাটেলাইটের অব্যবহৃত তরঙ্গ ভাড়া দিয়ে আরো বৈদেশিক মুদ্রা আয় করা সম্ভব  হবে। এই  প্রকল্পে সরকারের যে টাকা খরচ হচ্ছে স্যাটেলাইট ভাড়া দিয়ে ৬-৭ বছরে তা উঠিয়ে নেয়া সম্ভব হবে।

বিটিআরসি চেয়ারম্যান ড. শাহজাহান মাহমুদ বলেন, এত দিন দেশের নিজস্ব স্যাটেলাইট না থাকায় অন্য দেশের স্যাটেলাইট ভাড়া করতে হত। দেশের স্যাটেলাইট টিভি চ্যানেলগুলো বিভিন্ন দেশের স্যাটেলাইট ভাড়া করে অনুষ্ঠান সম্প্রচার করে। নিজস্ব স্যাটেলাইট হলে ভাড়ার টাকা আর বিদেশে পাঠাতে হবে না।

স্যাটেলাইট প্রসঙ্গে তিনি বলেন, স্যাটালাইটে ৪০টি ট্রান্সপন্ডার ক্যাপাসিটি থাকবে। বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইটের জন্য দুটি গ্রাউন্ড স্টেশন স্থাপনের জন্য গাজীপুরের জয়দেবপুর এবং রাঙ্গামাটির বেতবুনিয়ায় স্থান নির্ধারণ করা হয়েছে।

থ্যালেস এলিনিয়া স্পেসের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা জ্যঁ লইক গ্যাল বলেন, বাংলাদেশের অর্থনীতি দ্রুত গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে। এক্ষেত্রে নিজস্ব স্যাটেলাইট উৎক্ষেপন সঠিক সিদ্ধান্ত। আমরা বাংলাদেশের এই উদ্যোগের সঙ্গে থাকতে পেরে আনন্দিত।

আরএম/জেডএইচ/পিআর