ভিডিও EN
  1. Home/
  2. জাতীয়

প্রভিডেন্ট ফান্ডে সর্বোচ্চ ২৫ শতাংশ জমা রাখা যাবে

প্রকাশিত: ০৮:০৪ এএম, ১০ নভেম্বর ২০১৫

সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীরা আগে নিজেদের মূল বেতনের পুরোটাই জমাতেন জেনারেল প্রভিডেন্ট ফান্ডে (জিপিএফ)। ১৯৭৯ সাল থেকে চলে আসা এমন সঞ্চয়ে এবার নিয়ম বেধে দিলো সরকার। এখন থেকে সরকারি চাকরিজীবীরা তাদের মূল বেতনের ২৫ শতাংশের বেশি প্রভিডেন্ট ফান্ডে রাখতে পারবেন না। প্রভিডেন্ট ফান্ডে রাখার সর্বনিম্ন সীমা নির্ধারণ করা হয়েছে মূল বেতনের ৫ শতাংশ।  

অর্থ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ড. মোহাম্মদ আলী খান স্বাক্ষরিত সাম্প্রতিক এক গেজেটে ‘জেনারেল প্রভিডেন্ট ফান্ড রুলস, ১৯৭৯’ -এর ৯(১) (বি) সংশোধিত ধারায় এই সীমা নির্ধারণ করা হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, সরকারি চাকরিজীবী তার মূল বেতনের সর্বনিম্ন ৫ শতাংশ থেকে সর্বোচ্চ ২৫ শতাংশ পর্যন্ত অর্থ প্রভিডেন্ট ফান্ডে জমা রাখতে পারবেন। ড. ফরাসউদ্দিনের নেতৃত্বাধীন জাতীয় বেতন ও চাকরি কমিশনেরও একই ধরনের সুপারিশ ছিল।

অর্থ মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা জানান, ১৯৭৯ সালে প্রভিডেন্ট ফান্ডের বিধিমালা প্রণয়নের সময় সরকারি চাকরিজীবীদের বেতন ছিল খুবই কম। সে কারণেই তখন প্রভিডেন্ট ফান্ডে সর্বোচ্চ কী পরিমাণ অর্থ জমা রাখা যাবে তা নির্ধারণ করা হয়নি। কিন্তু এখন বেতন অনেক বেড়েছে। এ ছাড়া উচ্চ সুদহারের কারণে অনেক কর্মকর্তা-কর্মচারী মূল বেতনের পুরোটাই প্রভিডেন্ট ফান্ডে জমাচ্ছেন। বিপুল অর্থ জমার কারণে সরকারের সুদ ব্যয়ও বাড়ছে।

সার্বিক বিবেচনায় ড. ফরাসউদ্দিনের নেতৃত্বাধীন জাতীয় বেতন ও চাকরি কমিশন এ তহবিলে অর্থ রাখার সর্বোচ্চ সীমা নির্ধারণের সুপারিশ করে। সেই সুপারিশের আলোকেই মূল বেতনের সর্বোচ্চ ২৫ শতাংশ পর্যন্ত জমা রাখার বিধান করে গেজেট জারি করেছে অর্থ মন্ত্রণালয়ের প্রবিধি অনুবিভাগ।

জেডএইচ/এআরএস/এমএস

আরও পড়ুন