সব বিভাগেই করোনায় মৃত্যু বাড়ছে
দেশের আটটি বিভাগের প্রায় সব বিভাগেই সম্প্রতি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর সংখ্যা বাড়ছে। সর্বশেষ গত ২৪ ঘণ্টায় ২৮ জনসহ এ পর্যন্ত ৬ হাজার ৩৫০ জন মারা গেছেন। তাদের মধ্যে পুরুষ ৪ হাজার ৮৮১ (৭৬ দশমিক ৮৭ শতাংশ) এবং নারী এক হাজার ৪৬৯ জন (২৩ দশমিক ১৩ শতাংশ)।
করোনাভাইরাসে গত ২৪ ঘণ্টায় আটটি বিভাগের মধ্যে সাত বিভাগ- ঢাকায় ১৬ জন, চট্টগ্রামে তিনজন, রাজশাহীতে তিনজন, খুলনায় দুজন, বরিশালে দুজন, সিলেটে একজন ও রংপুরে একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ সময়ে শুধু ময়মনসিংহ বিভাগে করোনায় কোনো রোগীর মৃত্যু হয়নি।
রোগতত্ত্ববিদরা বলছেন, কয়েকদিন আগেও ঢাকা-চট্টগ্রামসহ হাতেগোনা তিন-চারটি বিভাগে করোনায় মৃত্যু হতো। সম্প্রতি প্রায় সব বিভাগে সংখ্যায় কম হলেও করোনায় মৃত্যু বাড়ছে। সঙ্গে বেড়েছে শনাক্ত হওয়া রোগীর সংখ্যাও।
গত এক সপ্তাহের ব্যবধানে মৃত্যুহার বেড়েছে ৪২ দশমিক ৭৪ শতাংশ। ঘরের বাইরে বের হলে মাস্ক পরিধান, ঘন ঘন হাত সাবান কিংবা স্যানিটাইজার দিয়ে ধৌত করা এবং নির্দিষ্ট সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখাসহ প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্যবিধি মেনে না চললে করোনা আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে বলে মনে করেন রোগতত্ত্ববিদরা।
বিভাগীয় মৃত্যুর পরিসংখ্যানের দিক থেকে ঢাকা বিভাগে সর্বোচ্চসংখ্যক তিন হাজার ৩৪৯ জন (৫২ দশমিক ৭৪ শতাংশ) এবং সর্বনিম্ন ময়মনসিংহ বিভাগে ১৩০ জনের (২ দশমিক ০৫ শতাংশ) মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া চট্টগ্রাম বিভাগে এক হাজার ২৩১ জন (১৯ দশমিক ৩৯ শতাংশ), খুলনা বিভাগে ৪৮৬ জন (৭ দশমিক ৬৫ শতাংশ), রাজশাহী বিভাগে ৩৮৮ জন (৬ দশমিক ১১ শতাংশ), রংপুর বিভাগে ২৯০ জন (৪ দশমিক ৫৭ শতাংশ), সিলেট বিভাগে ২৬২ জন (৪ দশমিক ১৩ শতাংশ) এবং বরিশাল বিভাগে ২১৪ জনের (৩ দশমিক ৩৭ শতাংশ) মৃত্যু হয়েছে।
এদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় ১১৭টি ল্যাবরেটরিতে ১২ হাজার ৪৫৮টি নমুনা সংগ্রহ ও ১২ হাজার ৬৪৩টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এ নিয়ে মোট নমুনা পরীক্ষার সংখ্যা দাঁড়াল ২৬ লাখ ৩৫ হাজার ২০২টি। একই সময় নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছে এক হাজার ৮৪৭ জন। এ নিয়ে মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়াল ৪ লাখ ৪৫ হাজার ২৮১ জন।
গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন এক হাজার ৯২১ জন। এ নিয়ে সুস্থ রোগীর সংখ্যা দাঁড়াল তিন লাখ ৬০ হাজার ৩৫২ জনে।
গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষার তুলনায় রোগী শনাক্তের হার ১৪ দশমিক ৬১ শতাংশ এবং এ পর্যন্ত মোট নমুনা পরীক্ষার তুলনায় রোগী শনাক্তের হার ১৬ দশমিক ৯০ শতাংশ। মোট রোগী শনাক্তের তুলনায় সুস্থতার হার ৮০ দশমিক ৯৩ এবং মৃত্যুহার ১ দশমিক ৪৩ শতাংশ।
এমইউ/এআরএ/জেআইএম