বাংলাদেশকে ১০০ ভেন্টিলেটর দিল যুক্তরাষ্ট্র, কেনা হচ্ছে আরও ৩০০
স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, ‘স্বাধীনতার পর থেকে আমেরিকা বাংলাদেশের অকৃত্রিম বন্ধুরাষ্ট্র। দেশের উন্নয়নমূলক কাজে আমেরিকা সরকার সবসময় বন্ধুর মতোই এগিয়ে এসেছে। এই করোনা দুর্যোগে বর্তমানে বিশ্বের সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত ও মৃত্যুর দেশ আমেরিকা। নিজ দেশের এতবড় বিপর্যয়ের পরও বাংলাদেশকে ১০০টি অত্যাধুনিক ভেন্টিলেটর উপহার দিলো আমেরিকা। দেশের উপজেলা পর্যায়ে যেখানে এখনও আইসিইউ সেবা পৌঁছানো সম্ভব হয়নি সেসব এলাকায় এ ১০০ সহ আরও নতুন ৩০০ ভেন্টিলেটর কিনে খুব দ্রুতই পাঠানো হবে।’
রোববার (১৫ নভেম্বর) দুপুরে রাজধানীর কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে যুক্তরাষ্ট্রের দেয়া ১০০ ভেন্টিলেটর মেশিন হস্তান্তর অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
বাংলাদেশে নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত আর্ল রবার্ট মিলার জাহিদ মালেকের কাছে ভেন্টিলেটরগুলো হস্তান্তর করেন। অনুষ্ঠান শেষে স্বাস্থ্যমন্ত্রী উপস্থিত মিডিয়া কর্মীদের নানা প্রশ্নের উত্তর দেন।
বেসরকারি হাসপাতালের লাইসেন্স নবায়নের প্রসঙ্গে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘দেশের সকল প্রাইভেট ক্লিনিক, হাসপাতালকে সরকারের দেয়া নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যেই লাইসেন্স গ্রহণের মাধ্যমে তালিকাভুক্ত হতে হবে। লাইসেন্স ছাড়া কোনো প্রাইভেট ক্লিনিক বা হাসপাতাল চালানো যাবে না।’
বিদেশফেরত যাত্রীদের কোভিড নেগেটিভ সার্টিফিকেট সঙ্গে আনা প্রসঙ্গে তিনি জানান, বিদেশফেরত যাত্রীদের অবশ্যই নেগেটিভ সার্টিফিকেট সঙ্গে করে আনতে হবে। তা না হলে দেশে এলেই বাধ্যতামূলক ১৪ দিনের হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকতে হবে।
করোনাকালে যুক্তরাষ্ট্রে প্রচুর পরিমাণে পিপিই সরবরাহ করেছে বলে বাংলাদেশ সরকার। এজন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন আর্ল রবার্ট মিলার। তিনি ভবিষ্যতে দুদেশের সম্পর্ক আরও মজবুত হবে বলেও জানান।
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন- ইউএসএইডের ডেপুটি মিশন ডিরেক্টর জন এলিও, স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক আবুল বাশার মোহাম্মদ খুরশিদ আলম, কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল জামিল, স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ পাঠ করেন বাংলাদেশ মেডিসিন সোসাইটির মহাসচিব প্রফেসর আহমেদুল কবীর।
এমইউ/এফআর/এমকেএইচ