ওমরাহ পালনে দ্বিগুণ খরচ, সময় তিন ঘণ্টা!
মহামারি করোনাভাইরাসের কারণে সীমিত আকারে ওমরাহ হজ পালনের অনুমতি দিয়েছে সৌদি সরকার। বিভিন্ন দেশের যাত্রীরা ইতিমধ্যেই ওমরাহ হজ পালনের জন্য সৌদিআরব গেলেও বাংলাদেশ থেকে এখনও ওমরাহ হজের কার্যক্রম শুরু হয়নি।
ধর্ম মন্ত্রণালয় ওমরাহ কার্যক্রম শুরু করতে বৈধ এজেন্সির তালিকা করার জন্য আগামী ১৫ নভেম্বর পর্যন্ত সময়সীমা বেধে দিয়েছে। এর মধ্যে আগ্রহী এজেন্সিগুলোকে আবেদন করতে বলা হয়েছে। মন্ত্রণালয়ের তালিকা প্রকাশের পর আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে এজেন্সিগুলো ওমরাহ কার্যক্রম শুরু করতে পারবেন বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন এজেন্সি মালিকরা।
হজ এজেন্সিস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (হাব) সভাপতি এম শাহাদাত হোসেন তসলিম এ প্রতিবেদকের সঙ্গে আলাপকালে বলেন, ‘ওমরাহ হজ পালনে এবার খরচের পরিমাণ প্রায় দ্বিগুন বাড়বে। ওমরাহ পালনের জন্য সৌদিআরব গিয়ে প্রত্যেক দেশের মুসল্লিদের তিনদিনের বাধ্যতামূলক কোয়ারেন্টাইনে থাকতে হবে। সেখানে প্রত্যেক মুসল্লি শুধুমাত্র একবার তিন ঘন্টার জন্য কাবা (হেরেম) শরীফে প্রবেশের সুযোগ পাবেন।’
তিনি আরও বলেন, করোনা সংক্রমণরোধে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার অংশ হিসেবে সৌদি সরকার সতর্কতামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। এজেন্সিগুলো ওমরাহ যাত্রী পাঠানোর জন্য প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে। আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে ওমরাহ যাত্রী পাঠানো শুরু করা সম্ভব হবে বলে মনে করেন তিনি।
একাধিক ওমরাহ এজেন্সির মালিক ও প্রতিনিধি জানান, সীমিত আকারে ওমরাহ কার্যক্রম শুরু হলেও বাংলাদেশ থেকে এখনও যাত্রী প্রেরণ শুরু হয়নি। তবে করোনার এই বিশেষ পরিস্থিতির কারণে এবার ওমরাহ পালন নানা শর্তের জালে বন্দি।
তারা বলেন, বাংলাদেশ থেকে যেসকল মুসল্লি ওমরাহ করতে যান তারা সৌদিআরবে পৌঁছেই ওমরাহ পালন করেন। তাছাড়া যতদিন মক্কায় অবস্থান করেন ততদিনই পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ কাবা শরীফে গিয়ে পড়ার সর্বোচ্চ চেষ্টা করেন। কিন্তু শর্তের কারণে এবার তা করতে পারবেন না।
সৌদি সরকারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী করোনাকালিন বিশেষ পরিস্থিতিতে সকল বয়সের মানুষ এখন ওমরাহ পালন করতে যেতে পারবেন না। এবার শুধুমাত্র ২৫ থেকে ৫০ বছর বয়সীরাই ওমরাহ পালনে যেতে পারবেন। একসঙ্গে ৫০ জনের গ্রুপ করে যেতে হবে। সৌদি আরবে গিয়েই তাদেরকে তিনদিন অর্থাৎ ৭২ ঘণ্টা কোয়ারেন্টাইনে থাকতে হবে।
নির্দিষ্ট অ্যাপসের মাধ্যমে তাদের গতিবিধি পর্যবেক্ষণ ও শারীরিক অবস্থা পর্যালোচনা করে ওমরাহ পালনে অনুমতি প্রদান করা হবে। হোটেলের একটি কক্ষে দুজনের বেশি যাত্রী রাখা যাবে না। ওমরাহ প্যাকেজের আওতায় খাবারের বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত থাকতে হবে। এয়ারলাইন্সের ভাড়া বৃদ্ধিসহ বিভিন্ন শর্তের কারণে খরচ প্রায় দ্বিগুণ হতে পারে বলে জানান হাব সভাপতি এম শাহাদাত হোসেন তসলিম।
এআরএ/এমএস