নতুন সড়ক পরিবহন আইন পূর্ণাঙ্গ বাস্তবায়নের দাবি
জনগণের প্রত্যাশিত সড়ক পরিবহন আইন-২০১৮ এর পূর্ণাঙ্গ বাস্তবায়নের দাবি জানিয়েছে নিরাপদ সড়ক চাই নামের সংগঠন।
রোববার (১ নভেম্বর) জাতীয় প্রেস ক্লাবের তৃতীয় তলায় নিরাপদ সড়ক চাই আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানানো হয়।
বক্তারা বলেন, ২০১৮ সালের ২৯ জুলাই রাজধানীর বিমানবন্দর সড়কে বেপরোয়া বাসের চাপায় শহীদ রমিজ উদ্দিন ক্যান্টনমেন্ট কলেজের কয়েকজন শিক্ষার্থীসহ বাসচাপায় বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী আবরার আহমেদ এবং দুই বাসের রেষারেষিতে হাত হারানো রাজীবের মর্মান্তিক মৃত্যুসহ বেশ কয়েকটি মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে নিরাপদ সড়কের দাবিতে গড়ে ওঠা ছাত্র আন্দোলন এ আইনটি পাসের প্রক্রিয়াকে ত্বরান্বিত করে। অবশেষে কোনো চাপের মুখে নতি স্বীকার না করে সরকার এ আইনটি জাতীয় সংসদে পাস করে ২০১৮ সালে।
তারা বলেন, প্রায় ১৫ মাস পর ২০১৯ সালের ১ নভেম্বর থেকে আইনটি কার্যকর শুরু করে সরকার। প্রথম ১৪ দিন সহনীয় মাত্রায় এর প্রয়োগ ছিল। পরে পরিবহন মালিক-শ্রমিকদের দাবিতে আইনের কয়েকটি বিষয় পরবর্তী ছয় মাস পর্যন্ত কনসিডারের সিদ্ধান্ত নেয় সরকার। করোনার কারণে এ আইন যথাযথ প্রয়োগ সময়সীমা বৃদ্ধি করে চলতি বছরের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত নির্ধারণ করা হয়।
নিরাপদ সড়ক চাই আন্দোলনের চেয়ারম্যান ইলিয়াস কাঞ্চন বলেন, সরকার নতুন সড়ক পরিবহন আইন-২০১৮ প্রয়োগে যখনই উদ্যোগ নেয় তখনই পরিবহন সেক্টরের বিভিন্ন চক্র নানাভাবে বাধা সৃষ্টি করে। তারা নতুন করে নানা ধরনের দাবি-দাওয়া তুলে ধরেন। শুধু তাই নয়, গণপরিবহন চলাচল বন্ধ করে জনগণকে ভোগান্তিতে ফেলে দেয়। এমনকি আমাকে তাদের প্রতিপক্ষ হিসেবে দাঁড় করানো হয়। আমাকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করা হয়, যা সত্যিই দুঃখজনক।
তিনি বলেন, আমি বলব, নতুন আইনের বিষয়ে তারা কোনো প্রস্তুতি ইচ্ছে করেই নেয়নি এবং নিচ্ছে না। তারা শুধু দোষারোপ করে গেছে তাদের দুর্বলতা ঢাকার জন্য। সময় থাকতে গাড়ির লাইসেন্স, ফিটনেস এবং গাড়ির আকৃতি পরিবর্তনজনিত অনিয়ম ও ত্রুটিগুলো সংশোধনে তারা মনোযোগ দেয়নি। এসব ত্রুটি-বিচ্যুতি যদি তারা নতুন আইন প্রয়োগের আগেই সমাধান করতেন তাহলে নতুন করে আইনের কয়েকটি বিষয় ছাড়ের সময়সীমা আর বাড়ানোর প্রয়োজন হতো না।
ইলিয়াস কাঞ্চন আরও বলেন, এ আইনের পরিপূর্ণ বাস্তবায়নে পরিবহন সংশ্লিষ্টদের দায়িত্ব যেমন আছে তেমনি সরকারের সেসব মহলেরও নানা পদক্ষেপ নেয়া খুবই জরুরি। বিশেষ করে এই আইনটি প্রয়োগে মাঠে সক্রিয় থাকবে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। তাদের পূর্ণ প্রস্তুত করতে প্রথমেই আসে যে মেশিনের মাধ্যমে তারা জরিমানা করে সেটার আপডেট করা (বর্তমান আইন অনুযায়ী)।
সংবাদ সম্মেলনে নিরাপদ সড়ক চাই আন্দোলনের অন্য সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
এএস/এফআর/জেআইএম