ভিডিও EN
  1. Home/
  2. জাতীয়

বিলুপ্ত ছিটমহলবাসীর শেষ সম্বল ভূমি হারানোর শঙ্কা

প্রকাশিত: ০৮:৫৩ এএম, ০৮ নভেম্বর ২০১৫

সদ্য বিলুপ্ত ছিটমহলগুলোতে ভূমি নিয়ে বিদ্যমান সমস্যা ও বিরোধের প্রকৃতি নিরূপন অপেক্ষাকৃত জটিল রুপ ধারণ করেছে। এদের অধিকাংশরই জমির দলিলপত্র নেই। এমত অবস্থায় প্রচলিত রীতি অনুযায়ী ভূমি জরিপ সম্পন্ন হলে ছিটমহলবাসীর শেষ সম্বল ভূমি হারানোর শঙ্কা রয়েছে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

রোববার জাতীয় প্রেসক্লাবে আইন ও সালিশ কেন্দ্র (আসক), এলআরডি এবং টিআইবির যৌথ আয়োজনে সদ্য বিলুপ্ত ছিটমহলবাসীদের ভূমি বঞ্চনার আশঙ্কা ও করণীয় শীর্ষক এক সংবাদ সম্মেলনে এ শঙ্কা প্রকাশ করেন তারা। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন এলআরডি‘র নির্বাহী পরিচালক শামসুল হুদা।

আইন ও সালিশ কেন্দ্রের নির্বাহী পরিচালক সুলতানা কামাল বলেন, বর্তমান সরকার যেসব সুযোগ সুবিধা দিচ্ছে তাতে ছিটমহলবাসীদের ৬৮ বছরের দুঃখ দুর্দশার কিছুটা অবসান হবে। এজন্য সরকারকে ধন্যবাদ। তবে বিলুপ্ত এ ছিটমহলবাসী দুর্বল জনগোষ্ঠি হওয়ায় প্রথমবারের মত এ জরিপে তাদের ভূমি হারানোর শঙ্কা রয়েছে। ভূমি সঠিকভাবে বন্টণ হবে কি না বা ছিটমহলবাসী সঠিকভাবে জমি পাবে কি না তা এখন চিন্তার বিষয়। প্রভাবশালীরা ইতিমধ্যে জমি দখলের জন্য কূটকৌশল শুরু করে দিয়েছে।

তিনি  আরো বলেন, ভূমি জরিপের সময় ওয়ার্কিং গ্রুপ কী কী দায়িত্ব পালন করবে তা নির্ধারণ করা হলেও, কিভাবে এসব দায়িত্ব পালন করা হবে অথবা দায়িত্বে অবহেলা বা অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া গেলে তাদের বিরুদ্ধে কী ধরনের ব্যবস্থা নেয়া হবে তা কোথাও উল্লেখ নেই।

সুলতানা কামাল বলেন, সরকার আগামী বছরের ১৫ জানুয়ারির মধ্যে ভূমি জরিপ সম্পন্ন করার ঘোষণা দিলেও তা বাস্তবায়নে কোন কর্মপরিকল্পনা নেই। সরকারের কোন কর্তৃপক্ষ কিভাবে কাজ করবে তাও কোথাও উল্লেখ নেই। ফলে অনেককিছুই সাধারণ মানুষের কাছে অস্পষ্ট ও ধোঁয়াশা রয়ে গেছে।

টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, সরকারের ইতিবাচক উদ্যোগ গ্রহণের ফলে ছিটমহলবাসী দীর্ঘদিন পর বাংলাদেশের নাগরিকত্ব পাবে। আমি বিশ্বাস করি সরকার আন্তরিক হলে তারা আর অবহেলায় থাকবে না।

তিনি আরো বলেন, আজ সংসদ বসছে। ছিটমহলবাসীদের সুযোগ সুবিধা বৃদ্ধির জন্য সংসদের একটি আইন পাশ করা দরকার। তা না হলেও একটি অর্ডিনেন্স জারি করে তাদের সুযোগ-সুবিধা আরো বাড়ানো দরকার।

এলআরডির নির্বাহী পরিচালক শামসুল হুদা বলেন, জরিপ কাজে মাঠ পর্যায়ে তথ্যসংগ্রহের সময় দালাল ও প্রভাবশালীদের দৌরত্ব বাড়বে।এ জন্য আইন প্রয়োগকারী সংস্থার পর্যাপ্ত লোকবল মোতায়ন করতে হবে। পাশাপাশি কর্তব্যে অবহেলা, দুর্নীতি, অনিয়মের জন্য জবাবদিহির ব্যবস্থা করা প্রয়োজন।

এএস/জেডএইচ/এমএস