ভিডিও EN
  1. Home/
  2. জাতীয়

পৌর নির্বাচন : দলীয় ও স্বতন্ত্র ছাড়া কোনো প্রার্থী নয়

প্রকাশিত: ১২:২২ পিএম, ০৭ নভেম্বর ২০১৫

দলীয়ভাবে স্থানীয় সরকার নির্বাচনের সিদ্ধান্ত হওয়ায় এখন থেকে কোনো বিদ্রোহী প্রার্থী নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না। এছাড়া নিবন্ধিত নয় এমন দলেরও কেউ নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না। ফলে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা কমে যাবে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।

সূত্র জানায়, জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মতোই দলের কাছে মনোনয়ন দেয়ার চূড়ান্ত ক্ষমতা নিয়ে  স্থানীয় সরকার নির্বাচন (পৌরসভার) বিধিমালা চূড়ান্ত করছে ইসি। এই বিধি ভেটিংয়ের জন্য ইতোমধ্যেই আইনমন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে।

জানা গেছে, প্রাথমিকভাবে দল একাধিক প্রার্থীর মনোনয়ন দিতে পারবে। আর মনোনয়পত্র বাছাইয়ের নির্দিষ্ট সময়ে দল থেকে একজনকে মনোনয়ন দিবে। ফলে অন্যদের মনোনয়ন বাতিল হয়ে যাবে। তাই স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করতে হলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে আগে থেকেই দলের বাইরে গিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতার ঘোষণা দিতে হবে।

এ বিষয়ে সুশাসনের জন্য নাগরিকের সম্পাদক (সুজন) ড. বদিউল আলম মজুমদার জাগো নিউজকে বলেন, দলীয়ভাবে নির্বাচন হওয়ায় অনেকে অংশ নিতে পারবেন না। নির্বাচনের আগে নতুন করে কোনো রাজনৈতিক দলের নিবন্ধন দিবে না ইসি। তাই নিবন্ধের বাইরে রয়েছে এমন দলের সদস্যরাও নির্বাচন করতে পারবে না। বিধিমালা অনুযায়ী বিদ্রোহী প্রার্থীও থাকবে না। তাই বিএনপি অংশ না নিলে মাঠে কোনো প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে না।
 
এদিকে, পূর্বে নির্বাচিত হওয়া প্রার্থীরা স্বতন্ত্র প্রার্থী হলে কিছু সুবিধা পাচ্ছেন। এক্ষেত্রে বিধিমালার সংশোধনী প্রস্তাবে বলা হয়েছে- মেয়র বা সংরক্ষিত আসনের কাউন্সিলর বা সাধারণ আসনের কাউন্সিলর পদে ইতোপূর্বে নির্বাচিত হয়ে থাকলে তার জন্য মনোনয়নপত্রের সঙ্গে ভোটারের স্বাক্ষর তালিকা সংযুক্ত করার প্রয়োজন হবে না।

স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়ার জন্য বিদ্যমান বিধিমালা অনুযায়ী কোনো প্রার্থীকে তার নির্বাচিত এলাকার এক শতাংশ ভোটারের স্বাক্ষরযুক্ত তালিকা মনোনয়নপত্রের সঙ্গে দিতে হয়। তবে সংশোধনীতে মেয়রের জন্য চারশ এবং কাউন্সিলরদের জন্য ৫০ জন ভোটারের স্বাক্ষরযুক্ত তালিকা জুড়ে দেয়ার বিধান করা হচ্ছে।

এ ছাড়া প্রার্থীদের নির্বাচনী ব্যয়ে কোনো পরিবর্তন আনা হচ্ছে না। আসনপ্রতি দলের ব্যয়সীমা রাখা হচ্ছে এক লাখ টাকা। তবে কোনো দল একটি মাত্র পৌরসভায় প্রার্থী দিলে সর্বোচ্চ ব্যয় দেখাতে পারবে এক লাখ টাকা। এক্ষেত্রে বিধি লঙ্ঘন করলে দলকে ৫ লাখ টাকা জরিমানা গুণতে হবে।

ডিসেম্বরের শেষের দিকে ২৪৫ পৌরসভায় দলীয়ভাবে ভোটগ্রহণের পরিকল্পনা করছে নির্বাচন কমিশন। এক্ষেত্রে সংশোধিত আইন অনুযায়ী নির্বাচনী বিধিমালা ও প্রার্থীর আচরণ বিধিমালা সংশোধনের কাজও করছে ইসি।

সোমবার (২ নভেম্বর) রাষ্ট্রপতি পৌরসভা আইনের সংশোধনের অধ্যাদেশ জারি করলে মঙ্গলবার (৩ নভেম্বর) এর গেজেট প্রকাশিত হয়। এরপরই নির্বাচন কমিশন সংশোধনের আলোকে বিধিমালাও সংশোধন করছে।

ইসি সূত্র জানিয়েছে, স্বতন্ত্র প্রার্থীদের ক্ষেত্রে ভোটারের সমর্থন নেয়ার বিধানটি কর্মকর্তারা চান না। কেননা, সংসদ নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী অনেক কম থাকে। তবুও রিটার্নিং কর্মকর্তা তাদের মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাইয়ে হিমশিম খান। ২৪৫ পৌরসভায় মোট আসন সংখ্যা হবে ৩ হাজার ৪শটি। প্রতিটি পদের জন্য দুইজন করে স্বতন্ত্র প্রার্থী দাঁড়ালেও মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই করা অসাধ্য হয়ে যাবে।

তাই স্বতন্ত্র প্রার্থীদের ক্ষেত্রে সমর্থকের বাধ্যবাধকতা চান না তারা। কেননা, এতজন সমর্থকের সঠিকতা যাচাই করা সম্ভব হবে না। তাদের মতে, আগে স্থানীয় নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থীদের মনোনয়নপত্রের সঙ্গে নির্দিষ্ট ভোটারের সমর্থন নেয়ার বিধান ছিল না। তখন সমস্যা হয়নি। কাজেই এখনো না থাকলে কোনো সমস্যা হবে না।

ইসির যুগ্ম সচিব জেসমিন টুলী বলেন, আমরা সংশোধনের একটা প্রস্তাবনা আইন মন্ত্রণালয়ে ভেটিংয়ের জন্য গত বুধবারই পাঠানো হয়েছে।

এইচএস/এসকেডি/এএইচ/আরআইপি