স্যাটেলাইট পরিচালনায় উত্তম সহযোগী পেলাম : মোস্তাফা জব্বার
ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেছেন, বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ এর মাধ্যমে প্রত্যন্ত দ্বীপ, চর ও হাওরসহ দুর্গম অঞ্চলের সঙ্গে ডিজিটাল বৈষম্য দূর করার কাজ শুরু হয়েছে। স্যাটেলাইট যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন, সম্প্রসারণ এবং ব্যবস্থাপনায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনী এবং বাংলাদেশ স্যাটেলাইট কোম্পানি (বিএসসিএল) উভয় সংগঠনই যথাযথ অবদানের মাধ্যমে ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’ বিনির্মাণের অগ্রযাত্রায় উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখতে সক্ষম হবে বলেও আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।
মন্ত্রী বলেন, এর মধ্য দিয়ে স্যাটেলাইট পরিচালনায় আমরা এক উত্তম সহযোগীকে সঙ্গে পেলাম।
রোববার (১১ অক্টোবর) ওয়েবিনারে সেনাসদর সিগন্যালস পরিদফতর ও আইটি পরিদফতর, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ও বাংলাদেশ স্যাটেলাইট কোম্পানি লিমিটেডেরর মধ্যে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন। মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের সচিব মো. আফজাল হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর চিফ অব জেনারেল স্টাফ লে. জে. মো. সফিকুর রহমান, ওএসপি (বার), এসপিপি, এএফডব্লিউসি, পিএসসি, বাংলাদেশ স্যাটেলাইট কোম্পানি লিমিটেডের চেয়ারম্যান ড. শাহজাহান মাহমুদ বক্তৃতা করেন।
অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সিগন্যাল পরিদফতর এবং আইটি পরিদফতরের পদস্থ কর্মকর্তা এবং ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের অধীন সংস্থাসমূহের প্রধানরা সংযু্ক্ত ছিলেন।
ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী সেনাসদর, সিগন্যালস পরিদফতর ও আইটি পরিদফতরের সঙ্গে বাংলাদেশ স্যাটেলাইট কোম্পানির মধ্যে স্বাক্ষরিত সমঝোতা স্মারককে ঐতিহাসিক মাইল ফলক আখ্যায়িত করে বলেন, এটি আমাদের জন্য স্মরণীয় হয়ে থাকবে।
মোস্তাফা জব্বার বলেন, বঙ্গবন্ধু যুদ্ধবিধ্বস্ত বাংলাদেশকে সোনার বাংলা হিসেবে গড়ার পরিকল্পনার অংশ হিসেবে ১৯৭৫ সালের ১৪ জুন বেতবুনিয়ায় ভূ-উপগ্রহ কেন্দ্র প্রতিষ্ঠা করেন। ১৯৯৯ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মহাকাশে স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণের পরিকল্পনা গ্রহণ করেন। ২০০৯ সালে ক্ষমতায় আসার পর বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ মহাকাশে উৎক্ষেপণের পরিকল্পনা বাস্তবায়নের উদ্যোগ গ্রহণ করেন। এরই ধারাবাহিকতায় পৃথিবীর ৫৭তম স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণকারি হিসেবে বিশ্বসভায় বাংলাদেশকে তুলে ধরেছেন। শুধু তাই নয় দেশের মেধাবী ছেলেরাই দক্ষতার সঙ্গে স্যাটেলাইট পরিচালনা করছে। উৎক্ষেপণের পর একবারের জন্যও সমস্যা হয়নি, সম্প্রচার বিঘ্নিত হয়নি বলে উল্লেখ করেন টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী।
এর আগে বিটিসিএলের সঙ্গে সেনাসদরের সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরের কথা উল্লেখ করে মোস্তাফা জব্বার বলেন, বিটিসিএল ডিজিটাল বাংলাদেশের জন্য ডিজিটাল মহাসড়ক তৈরি করতে, ওয়ারল্যাস নেটওয়ার্ক তৈরিতে টেলিটক, দূর্গম এলাকায় নেটওয়ার্ক তৈরির জন্য স্যাটেলাইট এবং ব্যান্ডউডথ সরবরাহের জন্য সাবমেরিন ক্যাবল সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে কাজ করছে। এরই ধারাবাহিকতায় করোনা ক্রান্তিকালে আমরা ঘরে বসে কাজ করতে পারছি। চিকিৎসাসেবা ডিজিটাল কানেকটিভিটির মাধ্যমে হচ্ছে। এক মুহূর্তের জন্যও সার্ভিস বিঘ্নিত হয়নি।
প্রধানমন্ত্রীর গতিশীল নেতৃত্বে প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি উপদেষ্টা সজীব আহমেদ ওয়াজেদ জয়ের দিক নির্দেশনায় ডিজিটাল প্রযুক্তি বিকাশে বাংলাদেশ বিশ্বে অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে।
এমইউএইচ/এএইচ/পিআর