ভিডিও EN
  1. Home/
  2. জাতীয়

স্বাস্থ্যবিধি মেনেই শারদীয় দুর্গোৎসব

বিশেষ সংবাদদাতা | প্রকাশিত: ০৪:৩৪ পিএম, ১০ অক্টোবর ২০২০

পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন বলেছেন, ‘সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির বাংলাদেশে আবহমানকাল থেকেই শান্তিপূর্ণভাবে শারদীয় দুর্গোৎসব পালিত হয়ে আসছে। করোনাকালে সরকারি নির্দেশনা ও জাতীয় পূজা উদযাপন পরিষদের ২৬ দফা নির্দেশনা মেনে দুর্গোৎসব উদযাপন করতে হবে’।

তিনি বলেন, সবার আগে জীবন। জীবন রক্ষা করেই আমাদের সকল প্রকার কার্যক্রম বাস্তবায়ন করতে হবে।

শনিবার (১০ অক্টোবর) শারদীয় দুর্গোৎসব উপলক্ষে মৌলভীবাজার জেলার জুড়ী উপজেলা প্রশাসন আয়োজিত উপজেলায় ৬৭টি পূজা মণ্ডপে ৫০০ কেজি করে মোট ৩৩ দশমিক ৫ মে.টন. জিআর চালের জিও, ননএমপিও শিক্ষকদের অনুদান, গৃহহীনদের ঘরের চাবি বিতরণ উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব বলেন।

জুড়ী উপজেলা নির্বাহী অফিসার আল ইমরান রুহুল ইসলামের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জুড়ী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এম এ মোঈদ ফারুক, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান রিংকু রঞ্জন দাশ ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান রঞ্জিতা শর্মা প্রমুখ।

পরিবেশ মন্ত্রী বলেন, আওয়ামী সরকারের আমলেই মানুষের জীবনমান উন্নয়ন হয়। বিশ্বব্যাপী প্রশংসিত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পরিকল্পনা বাস্তবায়িত হলে দেশে কোনো কর্মহীন, গৃহহীন, খাদ্যহীন মানুষ থাকবে না।

তিনি বলেন, সরকারের সুব্যবস্থাপনার ফলে মহামারিকালেও দেশের বৈদেশিক মূদ্রার রিজার্ভ সর্বোচ্চ ৪০ বিলিয়ন ডলার হয়েছে।

চলমান সামাজিক সমস্যা বিষয়ে তিনি বলেন, কুলাঙ্গার ধর্ষকদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করার জন্য প্রধানমন্ত্রী নির্দেশ দিয়েছেন। মৌলভীবাজারবাসীও ধর্ষকদের সর্বোচ্চ শাস্তি দাবি করছে।

উপজেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেঝে, অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ ও কল্যাণ তহবিল থেকে প্রদত্ত ননএমপিও কারিগরি মাদরাসা ও স্বতন্ত্র এবতেদায়ী মাদরাসার ৩৯ জন শিক্ষক-কর্মচারীর অনুকূলে মোট ১ লাখ ৯০ হাজার টাকার অনুদানের চেক বিতরণ করা হয়েছে।

এছাড়াও প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন ১১ জন শিক্ষার্থীদের জন্য ৭৫ হাজার টাকা ব্যয়ে হুইল চেয়ার, চশমা ও শ্রবণযন্ত্রসহ এসিসটিভ ডিভাইস এবং মোট ৩০০ জন দুঃস্থ ব্যক্তিকে প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণের শুকনো খাবার বিতরণ করা হয়।

প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়সহ বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে বাস্তবায়িত ৪টি প্রকল্পের মাধ্যমে ৯৮ লাখ টাকা ব্যয়ে ৩৩টি পরিবারের মাঝে ঘরের চাবি হস্তান্তর করা হয়।

এমইউ/এমআরএম/পিআর