করোনায় ষাটোর্ধ্বদের মৃত্যুহার ৫১ শতাংশেরও বেশি
দেশে গত ৮ মার্চ প্রথম করোনা আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়। এর ঠিক ১০ দিন পর ১৮ মার্চ করোনা আক্রান্ত প্রথম কোনো রোগীর মৃত্যু হয়।
১ অক্টোবর পর্যন্ত করোনা আক্রান্ত হয়ে সর্বমোট পাঁচ হাজার ২৭২ জনের মৃত্যু হয়েছে। তাদের মধ্যে পুরুষ চার হাজার ৭৯ (৭৭ দশমিক ৩৮ শতাংশ) ও নারী এক হাজার ১৯৩ জন (২২ দশমিক ৬২ শতাংশ)।
গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় আক্রান্ত হয়ে আরও ২১ জন মারা গেছেন। তাদের মধ্যে পুরুষ ১৬ ও নারী পাঁচজন।
স্বাস্থ্য অধিদফতরের পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, করোনায় সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ ষাটোর্ধ্ব প্রবীণরা। করোনা মারা যাওয়াদের মধ্যে ৫১ শতাংশেরও বেশি ষাটোর্ধ্ব।
১ অক্টোবর পর্যন্ত করোনায় মোট মারা যাওয়া পাঁচ হাজার ২৭২ জনের মধ্যে শূন্য থেকে ১০ বছর বয়সী ২৪ (শূন্য দশমিক ৪৬ শতাংশ), ১১ থেকে ২০ বছর বয়সী ৪২ (শূন্য দশমিক ৮৯ শতাংশ), ২১ থেকে ৩০ বছর বয়সী ১১৯ (দুই দশমিক ২৬ শতাংশ), ৩১ থেকে ৪০ বছর বয়সী ২৯৯ (পাঁচ দশমিক ৬৭ শতাংশ), ৪১ থেকে ৫০বছর বয়সী ৬৭৯ (১২ দশমিক ৮৮ শতাংশ), ৫১ থেকে ৬০ বছর বয়সী এক হাজার ৪১৮ (২৬ দশমিক ৯০শতাংশ) এবং ষাটোর্ধ্ব দুই হাজার ৬৮১ (৫১ দশমিক ০৪ শতাংশ) রোগী রয়েছেন।
উল্লেখ্য, করোনা শনাক্তে গত ২৪ ঘণ্টায় ১০৮ পরীক্ষাগারে ১১ হাজার ৪১০ নমুনা সংগ্রহ করা হয়। পরীক্ষা করা হয়েছে ১১ হাজার ৪২০টি। একই সময়ে করোনা আক্রান্ত নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছে আরও এক হাজার ৫০৮ জন। ফলে দেশে মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়াল তিন লাখ ৬৪ হাজার ৯৮৭ জনে। এ পর্যন্ত মোট নমুনা পরীক্ষার সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৯ লাখ ৫৯ হাজার ৭৫।
এমইউ/এএইচ/এমএস