ভিডিও EN
  1. Home/
  2. জাতীয়

করোনায় প্রবীণদের মৃত্যু নিয়ন্ত্রণহীন

বিশেষ সংবাদদাতা | প্রকাশিত: ০৭:৫৩ পিএম, ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২০

দেশে করোনাভাইরাসে (কোভিড-১৯) প্রবীণদের মৃত্যুর মিছিল থামছেই না। গত ১৮ মার্চ দেশে প্রথম করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীর মৃত্যু হয়। সর্বশেষ গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ৩২ জনের প্রাণ কেড়ে নিয়েছে এ ভাইরাস। ফলে ভাইরাসটিতে মৃতের সংখ্যা বেড়ে পাঁচ হাজার ২৫১ জনে দাঁড়িয়েছে।

স্বাস্থ্য অধিদফতরের তথ্য বলছে, করোনায় মোট মৃতদের মধ্যে ৫১ শতাংশই প্রবীণ অর্থাৎ ৬০ বছরের বেশি বয়সী মানুষ।

তবে রোগতত্ত্ব ও স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, প্রবীণরা শুধু করোনাভাইরাসে (কোভিড-১৯) আক্রান্ত হওয়ার কারণে মারা যাচ্ছেন এমন নয়। তারা আগে থেকেই বার্ধক্যজনিতসহ নানা অসংক্রামক রোগে (ক্যানসার, কিডনি সমস্যা, লিভার, উচ্চরক্তচাপ, ডায়াবেটিস ইত্যাদি) আক্রান্ত থাকায় তাদের মৃত্যু বেশি হচ্ছে।

স্বাস্থ্য অধিদফতর থেকে পাওয়া এ পর্যন্ত করোনায় মৃত পাঁচ হাজার ২৫১ জনের মধ্যে বয়সওয়ারি পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, শূন্য থেকে ১০ বছর বয়সী ২৪ জন (শূন্য দশমিক ৪৬ শতাংশ), ১১ থেকে ২০ বছর বয়সী ৪২ জন (শূন্য দশমিক ৮০ শতাংশ), ২১ থেকে ৩০ বছর বয়সী ১১৯ জন (দুই দশমিক ২৭ শতাংশ), ৩১ থেকে ৪০ বছর বয়সী ২৯৯ জন(পাঁচ দশমিক ৬৯ শতাংশ), ৪১ থেকে ৫০ বছর বয়সী ৬৭৮ জন (১২ দশমিক ৯১ শতাংশ), ৫১ থেকে ৬০ বছর বয়সী এক হাজার ৪১২ জন (২৬ দশমিক ৮৯ শতাংশ) এবং ৬০ বছরের বেশি বয়সী দুই হাজার ৬৭৭ জনের (৫০ দশমিক ৯৮ শতাংশ) মৃত্যু হয়েছে।

গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণকারী ৩২ জনের মধ্যে ত্রিশোর্ধ্ব দুইজন, চল্লিশোর্ধ্ব তিনজন, পঞ্চাশোর্ধ্ব তিনজন এবং ষাটোর্ধ্ব ছিলেন ২৪ জন।

করোনাভাইরাস শনাক্তে গত ২৪ ঘণ্টায় ১০৮টি পরীক্ষাগারে ১৩ হাজার ১৫৫টি নমুনা সংগ্রহ হয় এবং ১৩ হাজার ৪০৪টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এতে মোট নমুনা পরীক্ষার সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৯ লাখ ৪৭ হাজার ৪৫৫টি।

এমইউ/এসআর/এমএস