হাত ধোয়া অভ্যাসে পরিণত করেছেন বস্তিবাসীরা
কাঠ, বাঁশ আর টিনের ছোট ছোট খুপরি। পাশে দু-একটা ইটের দেয়ালও আছে। সারি সারি খুপরি ঘর। আঁকাবাঁকা সরু রাস্তার পাশেই মা ভাত রান্না করছেন, সন্তান বসে আছে পাশে। অপেক্ষা, কখন রান্না শেষ হয়।
অলিগলিতে ছড়ানো-ছিটানো ময়লা। পাশেই টয়লেট। এক ঘরেই জবুথবু বসবাস। জনসংখ্যার উচ্চ ঘনত্ব ছাড়াও একই রান্নাঘর, টয়লেট, পানির উৎস অনেকে মিলে ব্যবহার, ঠাসাঠাসি করে এক ঘরে পরিবারের সবাইকে নিয়ে থাকা, খোলা নর্দমা, নাজুক বর্জ্য নিষ্কাশন ব্যবস্থা। সব মিলিয়ে এমন পরিবেশেই রাজধানীর বস্তিগুলোর একেকটি খুপরিতে গাদাগাদি করে বসবাস করে নিম্ন আয়ের মানুষ। বস্তিবাসী বলতেই শহরে বসবাসরত নিম্নবিত্ত মানুষ, দরিদ্র বা হতদরিদ্র মানুষের কথা চোখের সামনে ভেসে ওঠে।
রাজধানীর অভিযাত এলাকা গুলশান-বনানীর ঠিক মাঝখানে গড়ে উঠেছে কড়াইল বস্তি। আয়তন-জনসংখ্যায় ঢাকার সবচেয়ে বড় বস্তি এটি। কম-বেশি ২০ হাজার খুপরি ঘরে লাখ তিনেক মানুষের বসবাস। ছোট একটা জায়গায় এত মানুষের বসবাস, ঠাসাঠাসি করে এক ঘরে পরিবারের সবাইকে নিয়ে থাকা, একে অপরের সঙ্গে নিয়মিত সংস্পর্শে আসার বিষয়টি এখানে অতি-স্বাভাবিক বিষয়।
কয়েক দিন আগেও যখন করোনার প্রাদুর্ভাবে দিশেহারা মানুষ, ঠিক তখন কড়াইল বস্তিসহ রাজধানীর সব বস্তিতে বসবাসরত মানুষের মধ্যে করোনা সংক্রমণ দ্রুত বৃদ্ধির আশঙ্কা দেখা দেয়। কিন্তু শুধু সচেতনতার বার্তা এবং নিজেদের অভ্যাস পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে সেই ভয়াবহতা থেকে রক্ষা পেয়েছে বস্তিতে বসবাসরত অসহায় ও নিম্ন আয়ের মানুষ। যদিও সেই বিপদের আশঙ্কা এখনও ফুরিয়ে যায়নি। এখানে এখন আরও সচেতনতা প্রয়োজন এবং নিজেদের হাত ধোয়াসহ অন্যান্য স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার অভ্যাস আরও কার্যকর করতে হবে।
করোনাকালীন পানি ও সাবান দিয়ে বারবার হাত ধোয়া এবং সেই সঙ্গে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা করোনা প্রতিরোধে খুবই গুরুত্বপূর্ণ বলে উল্লেখ করা হয়। কিন্তু এমন কার্যক্রমে প্রথমদিকে সচেতন ছিলেন না সাধারণ বস্তিবাসী। ওই সময় তাদের পাশে দাঁড়ায় ‘ওয়াটার এইড, বাংলাদেশ’ নামক সংগঠন। তারাই মূলত বস্তিবাসীদের হাত ধোয়াসহ অন্যান্য স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করে।
সুইডিশ ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট কোঅপারেশন এজেন্সির অর্থায়নে এবং ওয়াটার এইড, বাংলাদেশের সার্বিক সহযোগিতায় পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠী তথা বস্তিবাসীদের জন্য প্রাথমিকভাবে ছয় মাসব্যাপী (এপ্রিল-সেপ্টেম্বর, ২০২০) একটি প্রকল্প বাস্তবায়ন হচ্ছে। এ প্রকল্পের আওতায় ইতোমধ্যে রাজধানীর বেশকিছু বস্তির প্রবেশমুখে হাত ধোয়ার স্টেশন স্থাপন করে তারা।
হাত ধোয়ার স্টেশনগুলো একটু ব্যতিক্রমী। এখানে হাতের কোনো স্পর্শ লাগে না। পা দিয়ে প্যাডেলের মাধ্যমে এটা ব্যবহার করা যায়। হাত ধোয়ার জন্য পানি এবং তরল সাবান বের হয় প্যাডেল করার মাধ্যমে। এখানে প্রতিবন্ধী ও শিশুদের জন্য বিশেষ সুবিধা রয়েছে। ডিভাইসগুলো হাতের কোনো স্পর্শ ছাড়াই প্যাডেলের মাধ্যমে ব্যবহার করা যায়। এগুলোর সার্বিক তদারকি এবং হাত ধোয়ার উপকরণ নিশ্চিত করতে বস্তিতে রয়েছেন ওয়াটার এইডের ভলান্টিয়াররা। তারা সার্বক্ষণিক বিষয়গুলো তদারকি করছেন।
আগে যেখানে বস্তিবাসী হাত ধোয়ার বিষয়ে সচেতনই ছিলেন না, সেখানে আজ তারা তাদের বস্তিতে ঢোকার মুখেই পেয়ে যাচ্ছেন হাত ধোয়ার উপকরণ। ওয়াটার এইড, বাংলাদেশের এমন উদ্যোগের কারণে বস্তিবাসীদের হাত ধোয়া এখন অভ্যাসে পরিণত হয়েছে। সঙ্গে সঙ্গে তাদের স্বাস্থ্যগত সুরক্ষা দিতে ঘরে ঘরে বিতরণ করা হচ্ছে মাস্ক, সাবান। শুধু তাই নয়, বস্তিজুড়ে লাগানো হয়েছে নানা ধরনের স্টিকার, ব্যানার, ফেস্টুন ও লিফলেট। যেগুলোতে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার নানা দিকনির্দেশনা আছে। এছাড়া প্রতিটি ঘরের দরজায় এসব স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার স্টিকার লাগানো হয়েছে। প্রতিটি অলিগলি ও টয়লেট নিয়মিত জীবাণুনাশক স্প্রে করা হচ্ছে ওয়াটার এইডসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে।
যদিও অসংখ্য বস্তিবাসীর জন্য এমন উদ্যোগ পর্যাপ্ত নয়, তাই তাদের জন্য ওয়াটার এইডের মতো আরও যেসব সংস্থা-প্রতিষ্ঠান রয়েছে তাদেরও এগিয়ে আসা জরুরি বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
ওয়াটার এইড ও ডিএসকের পক্ষে বস্তিগুলোতে এসব কার্যক্রমের মনিটরিংয়ে কাজ করেন রেজাউল করিম। তিনি বলেন, আমরা বস্তিগুলোতে হ্যান্ড ওয়াশিংয়ের প্যাডেল ডিভাইস বসিয়েছি। যেখানে হাতের কোনো স্পর্শ লাগে না। এছাড়া অলিগলি, টয়লেটে নিয়মিত জীবাণুনাশক স্প্রে করা হচ্ছে। বস্তিতে ৭০ হাজার পরিবার আছে। প্রতিটি ঘরে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার জনসচেতনতামূলক স্টিকার লাগানো হয়েছে। এসব কার্যক্রমে সাড়া দিচ্ছেন বস্তিবাসীও। তারা নিয়মিত এখন হাত ধুচ্ছেন, আগের চেয়ে অনেক সচেতন হয়েছেন।
‘আমরা ২৮টি বস্তিতে কাজ করছি। ৮০ জন ভলান্টিয়ার নিয়মিত কাজ করছেন। কিন্তু এতগুলো বস্তি, লাখ লাখ মানুষের বসবাস- তাই আমাদের এ কার্যক্রম পর্যাপ্ত নয়। বস্তিবাসীর জন্য আরও অনেক কাজ করতে হবে।’
কড়াইল বস্তির পাশেই আরও বেশ কয়েকটি বড় বড় বস্তি। একটি বস্তির সিবিও সভাপতি আলেয়া বেগম। তিনি বলেন, আমাদের বস্তিবাসী করোনায় তেমন একটা আক্রান্ত হয়নি। তারা নিজেরাই সচেতন হয়েছে। ওয়াটার এইডের হ্যান্ড ওয়াশিং ডিভাইসের মাধ্যমে তারা নিয়মিত হাত ধুয়েছে, বিতরণ করা মাস্ক পরেছে। কিন্তু বর্তমানে অনেক নারী যারা বিভিন্ন বাসাবাড়ি, অফিসে কাজ করতেন, তাদের চাকরি চলে গেছে। তারা এখন বেকার অবস্থায় আছেন। তাদের জন্য কিছু উদ্যোগ গ্রহণ জরুরি। এছাড়া অনেকের ঘরে, বিভিন্ন স্থানে অনেক অবৈধ গ্যাস সংযোগ আছে, যা বড় ধরনের দুর্ঘটনার কারণ হতে পারে। বস্তির ছেলে-মেয়েদের জন্য বেশ কয়েকটি এনজিওর স্কুল ছিল, সেগুলোও বন্ধ। বড়লোকের সন্তানরা অনলাইনের মাধ্যমে ক্লাস করছে কিন্তু আমাদের বস্তির ছেলে-মেয়েরা সেই সুযোগ থেকে বঞ্চিত। ফলে তারা আরও পিছিয়ে পড়ছে।
কড়াইল বস্তির পাশেই টিঅ্যান্ডটি বস্তি। বস্তির গলিতে জীবণুনাশক স্প্রে করতে দেখা যায় ভলান্টিয়ার জহুরুল ইসলামকে। তিনি বলেন, আমরা নিয়মিত টয়লেট, বস্তির অলিগলি স্প্রে করি। বর্তমানে বস্তিবাসী খুবই সচেতন। তারা নিজেরাই এখন নিয়মিত হাত ধোন। এটি তাদের অভ্যাসে পরিণত হয়েছে।
কড়াইল বস্তির সিবিও প্রেসিডেন্ট সেলিনা আক্তার বলেন, রাজধানীর মধ্যে সবচেয়ে বড় বস্তি এটি। ওয়াটার এইডের সহযোগিতায় বস্তির প্রবেশমুখে হ্যান্ড ওয়াশিংয়ের প্যাডেল ডিভাইস বসানো হয়েছে। এই বস্তিতে আমরা ১৫ হাজার সাবান এবং ৪৫ হাজার মাস্ক বিতরণ করেছি। কিন্তু এগুলো পর্যাপ্ত নয়। আরও অনেক কিছু এখানে করার আছে। তবে বস্তির মানুষ এখন অনেক সচেতন। নিয়মিত হাত ধোয়া এবং স্বাস্থ্যবিধি তারা মেনে চলেন।
বস্তিবাসীর প্রতিনিধি মোহম্মাদ নাদিম। বলেন, ওয়াটার এইড নানাভাবে বস্তিবাসীর পাশে দাঁড়িয়েছে। কিন্তু বস্তিবাসীর সংখ্যা অনেক। এখানে বিশুদ্ধ পানি, বৈধ বিদ্যুৎ, বৈধ গ্যাস সংযোগ নিয়ে নানা সমস্যা আছে। এক টয়লেট অনেকজনকে ব্যবহার করতে হয়, সেগুলো অনেক সময় স্বাস্থ্যসম্মত থাকে না। ফলে পদে পদে এসব বস্তিবাসী তাদের অধিকার থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন।
‘এরপরও করোনা মহামারির এ সময়ে ওয়াটার এইডসহ বিভিন্ন এনজিও-সংস্থা নানা কাজ করছে। বস্তির প্রবেশদ্বারগুলোতে হাত ধোয়ার ডিভাইস এবং ঘরে ঘরে মাস্ক, সাবান পৌঁছে দেয়া হচ্ছে। সাধারণ বস্তিবাসী কিন্তু এখন অনেকটাই স্বাস্থ্য সচেতন। এছাড়া ওয়াটার এইডের পক্ষ থেকে বস্তির ঘরগুলোর সামনে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার লক্ষ্যে লিফলেট, স্টিকার, ব্যানার লাগানো হয়েছে।’
প্রায় ৩০ বছর আগে কড়াইল বস্তিতে জন্মগ্রহণ করেন শিল্পী আক্তার। আজও তিনি এ বস্তিতে থাকেন। এখন আলাদা সংসার। কথা হয় তার সঙ্গে। বলেন, ঘরের ভাড়া আড়াই হাজার টাকা। নিয়মিত ভাড়া পরিশোধ করতে হয়। পাশের একটি অফিসে বুয়ার চাকরি করতাম কিন্তু করোনার কারণে চাকরি চলে যায়। এখন সংসার চালানো খুবই কষ্টকর হয়ে পড়েছে। করোনা থেকে রক্ষায় ওয়াটার এইডসহ অন্যান্য এনজিও এখানে কাজ করছে। কিন্তু এখনও আমাদের নানা সমস্যা রয়ে গেছে। পানি, গ্যাস, বিদ্যুৎ, স্বাস্থ্যসম্মত পায়খানা— এগুলো সমাধানে সংশ্লিষ্টদের এগিয়ে আসা দরকার।
ঢাকার বস্তিগুলোতে ওয়াটার এইডের হ্যান্ড ওয়াশিং স্টেশন স্থাপনসহ স্বাস্থ্য সচেতনতা বৃদ্ধির কার্যক্রমে সহযোগিতা করছে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি)। এ বিষয়ে ডিএনসিসির বস্তি উন্নয়ন কর্মকর্তা আনোয়ার হোসেন ভূঁইয়া বলেন, করোনাকালীন আমরাসহ বিভিন্ন এনজিও বস্তিবাসীর স্বাস্থ্য সুরক্ষায় বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণ করি। অনেকেই এগিয়ে আসেন। যদিও বিপুলসংখ্যক বস্তিবাসীর জন্য আমাদের কাজগুলো পর্যাপ্ত নয়। ওয়াটার এইড বেশকিছু বস্তিতে কোভিড-১৯ রেসপন্স প্রজেক্ট নিয়ে কাজ করছে, তাদের পাশে দাঁড়িয়েছে। আমরাও ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের পক্ষ থেকে তাদের কার্যক্রমে পাশে থেকেছি।
বস্তিবাসীদের জন্য কোভিড-১৯ রেসপন্স প্রজেক্টসহ বিভিন্ন বিষয়ে কথা হয় ওয়াটার এইড, বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর হাসিন জাহানের সঙ্গে। তিনি বলেন, ওয়াটার এইড সুইডেন ও সুইজারল্যান্ড অ্যাম্বাসির অর্থায়নে দুটি প্রকল্পের মাধ্যমে প্রায় পাঁচ লাখ বস্তিবাসীর জন্য কোভিড রেসপন্স সহযোগিতা দেয়া হচ্ছে। সহযোগিতার মধ্যে আমরা যেটা করছি সেটা হলো, সাবান দিয়ে হাত ধোয়া। এজন্য বস্তিতে ঢোকা, বের হওয়ার স্থানগুলোতে আমরা হ্যান্ড ওয়াশিং স্টেশন বসিয়েছি। যেহেতু অনেক লোক বস্তিতে থাকে তাই আমরা এ হ্যান্ড ওয়াশিং স্টেশনে যেন হাতের স্পর্শ না লাগে সে ব্যবস্থা করেছি। পা দিয়ে প্যাডেল ব্যবহারের মাধ্যমে হাত ধুতে পারেন তারা। পর্যাপ্ত পরিমাণ সাবানেরও ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।
‘আমরা প্রায় পাঁচ লাখ বস্তিবাসীকে নিয়ে কাজ করি। তাদের সবাইকে এ কার্যক্রমের আওতায় আনতে পেরেছি। তবে আরও অনেক কিছু করা দরকার। শুধু আমরা বা সহযোগী এনজিওগুলোর পক্ষে এত বেশিসংখ্যক বস্তিবাসীকে সচেতন করা সম্ভব নয়। সবাইকে এ বিষয়ে এগিয়ে আসার আহ্বান জানাচ্ছি। এখানে গণমাধ্যমেরও বড় ভূমিকা রয়েছে।’
হাসিন জাহান বলেন, বস্তিবাসীর জন্য আমরা আরও একটি কাজ করছি। বস্তিতে যেহেতু প্রচুর লোকের বসবাস, তাই এখানে কোভিড সংক্রমণের আশঙ্কা বেশি। যে কারণে আমরা বস্তিবাসীর মধ্যে করোনার লক্ষণ চিহ্নিত এবং স্বাস্থ্যসেবা প্রদানের লক্ষ্যে একটি মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন নিয়ে কাজ করছি। যার মাধ্যমে আমরা বস্তিবাসীর মধ্যে সম্ভাব্য করোনায় আক্রান্ত ব্যক্তিকে চিহ্নিত করতে পারব। পরে তার টেস্ট, চিকিৎসা সংক্রান্ত বিষয়ে আইইডিসিআর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারে। ওই মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন নিয়ে আমরা কাজ করছি।
এ বিষয়ে সুইডিশ দূতাবাসের পরিবেশ ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক উপদেষ্টা মো. মাহবুবুর রহমান বলেন, বিশ্বব্যাপী সকলের জীবন ও জীবিকার জন্য ভয়ানক হুমকিস্বরূপ আবির্ভূত হয়েছে কোভিড-১৯। সুবিধাবঞ্চিত মানুষদের দুর্দশা বেড়েছে সবচাইতে বেশি। আমরা বিশ্বাস করি, এমন জনবহুল ও সুবিধাবঞ্চিত জনপদসমূহে মানুষের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্যবার্তা এবং হাত ধোয়ার সরঞ্জামাদি পৌঁছে দেওয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
এএস/এমএআর/এমএস