আল্লামা শফীর জানাজায় অংশ নিতে লোকে লোকারণ্য হাটহাজারী
হেফাজতে ইসলামের আমির আল্লামা শাহ আহমদ শফীকে শেষবার দেখতে ও জানাজায় অংশ নিতে চট্টগ্রামের হাটহাজারী মাদরাসার প্রাঙ্গণে জড়ো হতে শুরু করেছেন দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে আসা আলেম, মাদরাসা শিক্ষার্থী ও সাধারণ মানুষ। শনিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) ফজরের পর থেকেই এখানে মানুষের ভিড় শুরু হতে থাকে। সকাল ১০টা নাগাদ হাটহাজারী মাদরাসা ও আশপাশের কয়েক কিলোমিটার এলাকা লোকে লোকারণ্য হয়ে গেছে।
সরেজমিনে দেখা গেছে, কুমিল্লা, লক্ষ্মীপুর, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, নোয়াখালী, রাঙ্গামাটি, খাগড়াছড়িসহ আশপাশের জেলাগুলো থেকে বিপুল আলেম ও শিক্ষার্থীরা জানাজায় অংশ নিতে এখানে জমায়েত হচ্ছেন। এদিকে যানজট এড়াতে ইতোমধ্যেই চট্টগ্রাম-রাঙ্গামাটি ও চট্টগ্রাম-খাগড়াছড়ি মহাসড়কে যান চলাচল সীমিত করেছে স্থানীয় প্রশাসন। এ কারণে হাজার হাজার ভক্ত-অনুরাগীরা চট্টগ্রাম শহর থেকে হেঁটেই হাটহাজারীর দিকে রওনা দিয়েছেন।
এদিকে, চারদিক থেকে আসা মানুষের সহায়তায় রাস্তায় শুকনো খাবার ও শরবতসহ নানা পানীয় নিয়ে বিতরণ করছেন এলাকাবাসী ও শিক্ষার্থীরা। পুরো হাটহাজারীর সব প্রবেশ পথে সব ধরনের যান চলাচল বন্ধ করে দিতে বাধ্য হয়েছে প্রশাসন। এখন শুধু মাইলের পর মাইল হেঁটেই আল্লামা শাহ আহমদ শফীকে শুধু একনজর দেখতে হাজার হাজার ভক্তরা আসছেন। ধারণা করা হচ্ছে- আজকের এই জানাজা সাম্প্রতিক সময়ের সবচেয়ে বৃহত্তম জানাজায় রূপ পেতে যাচ্ছে।
জানা গেছে, হাটহাজারী মাদরাসার দক্ষিণ গেটে দিয়ে শিক্ষক, শুভাকাঙ্ক্ষী ও ছাত্ররা আল্লামা শফীকে শেষবার দেখার সুযোগ পাবেন। এর আগে সকাল সাড়ে ৯টার দিকে শেষবারের মতো আল্লাম শফীকে দেখেন পরিবারের সদস্যরা। এরপর মরদেহটি মাদরাসার আঙ্গিনায় নিয়ে আসা হয়।
৯টার দিকে শাহ আহমদ শফীর মরদেহ মাদরাসা প্রাঙ্গণে পৌঁছায়। এর আগে ভোর ৪টার দিকে রাজধানীর ফরিদাবাদ মাদরাসা থেকে তার মরদেহ বহনকারী গাড়িটি চট্টগ্রামের উদ্দেশে রওনা দেয়।
হাটহাজারী মাদরাসায় শুরা কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, আল্লামা শাহ আহমদ শফীর মরদেহ জোহরের আগ পর্যন্ত মাদরাসার কনযুদ্দাকায়েক শ্রেণিকক্ষে সবার দেখার জন্য রাখা হবে। জোহরের নামাজের পর মাদরাসা মাঠেই তার নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। জানাজা শেষে মাদরাসা ক্যাম্পাসের অভ্যন্তরে বায়তুল আতিক জামে মসজিদের সামনের কবরস্থানে মরদেহ দাফন করা হবে।
উল্লেখ্য, আল্লামা শাহ আহমদ শফী শুক্রবার (১৮ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় রাজধানীর আজগর আলী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। বিষয়টি জাগো নিউজকে নিশ্চিত করেছেন আল্লামা শফীর ভাগ্নে তাউহীদ ও হাটহাজারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রুহুল আমিন।
আবু আজাদ/এফআর/এমএস