ভিডিও EN
  1. Home/
  2. জাতীয়

করোনায় বাকি বাড়িভাড়া, খোলা আকাশের নিচে গর্ভবতী নারীসহ তিন পরিবার

নিজস্ব প্রতিবেদক | চট্টগ্রাম | প্রকাশিত: ০১:০৪ পিএম, ০৬ সেপ্টেম্বর ২০২০

চট্টগ্রামের আকবরশাহ থানার কৈবল্যধাম আশ্রম গেট এলাকায় বাড়িভাড়া দিতে না পারায় তিন পরিবারকে এক কাপড়েই বাসা থেকে বের করে দিয়েছে বাড়িওয়ালা। এতে দুই শিশু সন্তান ও এক গর্ভবতী নারীক নিয়ে খোলা আকাশের নিচে রাত কাটাচ্ছে পরিবারগুলো।

ঘটনাটি ঘটেছে কৈবল্যধাম আশ্রম গেট এলাকায় মনির ভূঁইয়ার কলোনিতে।

জানা গেছে, বাড়িভাড়া বাকি থাকায় বাড়ির মালিক স্বপ্না বেগম ভাড়াটিয়া মোহাম্মদ মুজাহিদ, আবলা দাশ ও রেখা দাশের পরিবারের সদস্যদের রাতেই জোরপূর্বক ভাড়া বাসা থেকে বের করে দেন। এ বিষয়ে ভুক্তভোগীরা আকবরশাহ থানায় লিখিতভাবে অভিযোগ দিলেও রোববার (৬ সেপ্টেম্বর) দুপুর পর্যন্ত কোনো সুরাহা হয়নি।

ভুক্তভোগী ভাড়াটিয়া মোহাম্মদ মুজাহিদ জাগো নিউজকে বলেন, ‘তিনি পেশায় একজন ট্রাকচালক। করোনায় দীর্ঘদিন বেকার থাকার পরেও নিয়মিতভাবে বাড়িভাড়া পরিশোধ করে আসছিলেন। কিন্তু সম্প্রতি অবস্থার অবনতি হওয়ায় গত দুই মাস বাড়িভাড়া পরিশোধ করতে পারেননি। একইভাবে তার প্রতিবেশি আবলা দাশ ও রেখা দাশও গত তিন মাসের বাড়িভাড়া পরিশোধ করতে পারেননি। তারা পেশায় একজন গৃহকর্মী, অপরজন সুইপার। গত সপ্তাহে আমাদের এক কাপড়েই বাসা থেকে বের করে দেয়া হয়।’

তিনি আরও বলেন, ‘মনির ভূঁইয়ার কলোনিতে আমরা তিন পরিবার গত এক বছর ধরে বসবাস করে আসছিলাম। কিন্তু করোনার এই সময়ে বাড়িভাড়া দিতে না পাড়ায় আমাদের তিন পরিবারকে বের করে দেয়া হয়েছে। গত এক সপ্তাহ ধরে আমরা রাস্তায় রাত কাটাচ্ছি। আমাদের সঙ্গে দুইজন শিশু ও এক গর্ভবতী নারী আছেন। আগামী এক মাসের মধ্যে বাড়িভাড়া পরিশোধ করে দেয়ার ওয়াদা করার পরও বাড়িওয়ালা স্বপ্না আমাদের বাড়িতে প্রবেশ করতে দিচ্ছেন না।’

ctg

‘গতকাল আমার সমিতিতে টাকা দেয়ার কথা ছিল। কিন্তু বাসা থেকে পাস বই বের করতে না পাড়ায় সেই টাকাও জমা করতে পারিন’, বলেন মুজাহিদ।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে বাড়ির মালিক স্বপ্না বেগম জাগো নিউজকে বলেন, ‘একেকজনের ৫-৬ মাস করে ভাড়া বাকি। তাই তাদের বাসা ছেড়ে দিতে বলেছি। বাকি ভাড়া দিয়ে তারা মালামাল নিয়ে যাবে। সেফটির জন্য দরজায় তালা দিয়েছি।’

আকবরশাহ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোস্তাফিজুর রহমান জাগো নিউজকে বলেন, ‘বিষয়টি সিভিল ম্যাটার। পুলিশ কিছু করতে গেলেই নানা কথা উঠবে। সুশীল সমাজ চাইলে বিষয়টি সমাধান করতে পারে। আমরাও দেখছি কি করা যায়।’

এসআর/পিআর