ভিডিও EN
  1. Home/
  2. জাতীয়

টাঙ্গাইলে ‘স্বাস্থ্য সুরক্ষা কর্মসূচি’র পাইলট প্রকল্প চালু

প্রকাশিত: ০২:২৬ পিএম, ০১ নভেম্বর ২০১৫

টাঙ্গাইলে দরিদ্রদের জন্য স্বাস্থ্য সুরক্ষা কর্মসূচির পাইলট প্রকল্প চালু করছে সরকার। স্বাস্থ্য অর্থায়ন কার্যক্রমের আওতায় টাঙ্গাইলের তিন উপজেলা-কালিহাতি, মধুপুর ও ঘাটাইলে দরিদ্রসীমার নীচে বসবাসকারী জনগণের জন্য এই প্রকল্প প্রস্তুত করা হয়েছে। পরবর্তীতে তা সারা দেশে বিস্তৃত করা হবে।

রোববার সচিবালয়ে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম এর সভাপতিত্বে স্বাস্থ্য অর্থায়ন পাইলট সংক্রান্ত স্টিয়ারিং কমিটির সভায় এই সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।

বৈঠকে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, জনগণের দোরগোড়ায় স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছে দিতে সরকার নানাবিধ কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। এরই অংশ হিসাবে স্বাস্থ্য সুরক্ষা কর্মসূচি গ্রহণ করতে যাচ্ছে সরকার।

নাসিম বলেন, দরিদ্র মানুষের কাছে মানসম্মত সেবা পৌঁছে দিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার রাজনৈতিক সদিচ্ছার বাস্তবায়ন ঘটাতে স্বাস্থ্য অর্থায়ন কর্মসূচিকে সফল করতে হবে। তিনি বলেন, এই কর্মসূচির টেকসই বাস্তবায়ন করতে এর সাথে সংশ্লিষ্ট সকল পক্ষকে সমন্বিতভাবে কাজ করতে হবে।

সভায় জানানো হয়, এই কর্মসূচির অধীনে নির্দিষ্ট সূচক ব্যবহার করে পাইলট এলাকায় দরিদ্রসীমার নীচে বসবাসকারী পরিবারগুলোকে চিহ্নিত করা হয়েছে এবং এসব পরিবারকে একটি স্বাস্থ্য কার্ড প্রদান করা হবে।

এই কার্ডের ভিত্তিতে পরিবারের সদস্যরা চিকিৎসার প্রয়োজনে হাসপাতালে ভর্তি হতে পারবেন এবং রোগ নির্ণয়, ওষুধ, পথ্যসহ ৫০টি রোগের পূর্ণ চিকিৎসা বিনামূল্যে পাবেন।

এই চিকিৎসা ব্যয় নির্বাহের জন্য পরিবার প্রতি বার্ষিক এক হাজার টাকা প্রিমিয়াম হিসাবে সরকার প্রদান করবে এবং প্রত্যেক পরিবার বার্ষিক সর্বোচ্চ ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত চিকিৎসা সুবিধা লাভ করবে।

পাইলট চলাকালে এই প্রিমিয়ামের অর্থসহ প্রকল্পের যাবতীয় ব্যয় স্বাস্থ্য, জনসংখ্যা ও পুষ্টি সেক্টরের উন্নয়ন কর্মসূচি হতে সংস্থান করা হবে। পরবর্তীতে সরকারি বরাদ্দ এবং স্বচ্ছল পরিবারের নিকট থেকে প্রিমিয়াম সংগ্রহের মাধ্যমে কর্মসূচিটির অর্থায়ন করা হবে।

পাইলটের প্রাথমিক পর্যায়ে এই সেবা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এবং প্রয়োজনে জেলা হাসপাতাল থেকে প্রদান করা হবে। পরবর্তীতে প্রয়োজন হলে সুনির্দিষ্ট মানদণ্ডের ভিত্তিতে বেসরকারি হাসপাতালকে এই কার্যক্রমের আওতায় আনা হবে।

সভায় অন্যান্যের মধ্যে স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী জাহিদ মালেক, স্বাস্থ্য সচিব সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম, প্রধানমন্ত্রীর  কার্যালয়ের সচিব সুরাইয়া বেগম এনডিসি স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. দীন মো. নুরুল হক, পরিবার পরিকল্পনা অধিদফতরের মহাপরিচালক মো. নূর হোসেন তালুকদার, স্বাস্থ্য অর্থনীতি বিভাগের মহাপরিচালক মো. আসাদুল ইসলামসহ মন্ত্রণালয় ও অধিদফতরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

এমইউ/এসকেডি/আরআইপি