বঙ্গবন্ধু হত্যার নেপথ্যের কুশীলবদের মুখোশ উন্মোচনের পালা এখন
স্বাধীন বাংলাদেশের মহান স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৫তম শাহাদাত বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস স্মরণে শনিবার বিএমএ ভবনের শহীদ ডা. শামসুল আলম খান মিলন সভাকক্ষে বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশন (বিএমএ) করোনাকালীন স্বাস্থ্যবিধি মেনে এক আলোচনা সভার আয়োজন করে।
সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে অংশগ্রহণ করেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য, সাবেক শিল্পমন্ত্রী, ১৪ দলের সমন্বয়ক, বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের শিল্প মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি আমির হোসেন আমু, এমপি। সভায় সভপতিত্ব করেন বিএমএ সভাপতি ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন।
অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন বিএমএ মহাসচিব ডা. মো. ইহতেশামুল হক চৌধুরী। দেশব্যাপী বিএমএ’র ৬৬টি শাখার নেতৃবৃন্দ জুম অনলাইনের মাধ্যমে সভায় অংশগ্রহণ করেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে আমির হোসেন আমু বলেন, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট খুনিচক্র শুধুমাত্র ব্যক্তি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকেই হত্যা করেনি, তারা হত্যা করেছিল এ দেশের মানুষের আশা-আকাঙ্খাকেও। দেশকে ফিরিয়ে নিয়ে গিয়েছিল পাকিস্তানি ধ্যান-ধারণায়, সংবিধান থেকে মুছে ফেলেছিল বাঙালির হাজার বছরের ঐতিহ্য ও সংগ্রামের ফসল চার মূল নীতিকে, আইন করে রুদ্ধ করা হয়েছিল এই নৃশংসতম হত্যার বিচার। আল্লাহর অশেষ রহমতে বেঁচে যাওয়া বঙ্গবন্ধুর দুই কন্যার অসীম ধৈর্য, সংগ্রাম ও ত্যাগের বিনিময়ে এ জাতি বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারীদের বিচার করতে পেরেছে। আজ সময় এসেছে একটি কমিশনের মাধ্যমে হত্যার নেপথ্যের কুশীলবদের মুখোশ জাতির সামনে উন্মোচন করে তাদেরও বিচার করার। বঙ্গবন্ধুকন্যা ও জননেত্রী শেখ হাসিনা আজ বাংলাদেশের দীর্ঘতম সময়ের প্রধানমন্ত্রী। তিনি বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা বিনির্মাণে কঠোর পরিশ্রম করে যাচ্ছেন। আসুন আমরা সকলে প্রধানমন্ত্রীকে সহযোগিতা করে এ দেশকে উন্নয়নের পথে এগিয়ে নিয়ে যাই।
সভাপতির বক্তব্যে বিএমএ সভাপতি ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন আবেগতাড়িত কণ্ঠে বঙ্গবন্ধুর স্মৃতিচারণ করে বলেন, ৭৫’র ১৫ আগস্ট কালরাত্রে ঘাতকরা শুধুমাত্র বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করেই ক্ষান্ত হয়নি বরং বাঙালির মানসপট থেকে চিরতরে মুছে দিতে নানা হীন ষড়যন্ত্র করেছিল কিন্তু বাংলাদেশের মানুষ খুনিচক্রের সেই ষড়যন্ত্রকে নস্যাৎ করে দিয়ে বঙ্গবন্ধুকে বাঙালি জাতির পিতার আসনে অধিষ্ঠিত করেছেন। অনেক দেরি হলেও আমরা বঙ্গবন্ধুর আত্মস্বীকৃত খুনিদের বিচার করে রায় কার্যকর করতে পেরেছি, এখন নেপথ্যের ষড়যন্ত্রকারীদের বিচার করার পালা।
বিএমএ ভবনের মূল অনুষ্ঠানস্থলে বিএমএ কেন্দ্রীয় কার্যকরী পরিষদ সদস্য, কেন্দ্রীয় কাউন্সিল সদস্যসহ ঢাকাস্থ বিভিন্ন ইনস্টিটিউট, হাসপাতাল ও মেডিকেল কলেজের চিকিৎসকগণ অংশগ্রহণ করেন।
এমইউ/এমএআর/এমএস