ভিডিও EN
  1. Home/
  2. জাতীয়

প্রাণিজাত খাদ্যের মান নিয়ন্ত্রণ গবেষণাগার উদ্বোধন

বিশেষ সংবাদদাতা | প্রকাশিত: ১২:৩১ পিএম, ২৮ আগস্ট ২০২০

সাভারে আন্তর্জাতিক মানের প্রাণিসম্পদ উৎপাদন উপকরণ ও প্রাণিজাত খাদ্যের মান নিয়ন্ত্রণ গবেষণাগার উদ্বোধন করেছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম।

বৃহস্পতিবার (২৭ আগস্ট) সাভারে গবেষণাগারের কনফারেন্স হলে প্রাণিসম্পদ অধিদফতর আয়োজিত উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে এ গবেষণাগার উদ্বোধন করেন তিনি।

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ সচিব রওনক মাহমুদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. মো. এনামুর রহমান এবং যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী মো. জাহিদ আহসান রাসেল, অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন যুব ও ক্রীড়া সচিব মো. আখতার হোসেন এবং মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব কাজী ওয়াছি উদ্দিন।

অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন প্রাণিসম্পদ অধিদফতরের মহাপরিচালক ডা. আবদুল জব্বার শিকদার এবং গবেষণাগারের প্রেক্ষাপট উপস্থাপন করেন গবেষণাগার স্থাপন প্রকল্পের পরিচালক ড. মো. মোস্তফা কামাল। অন্যান্যদের মধ্যে মৎস্য অধিদফতরের মহাপরিচালক কাজী শামস আফরোজ, বাংলাদেশ প্রাণিসম্পদ গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ড. নাথু রাম সরকারসহ মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় এবং প্রাণিসম্পদ অধিদফতরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী বলেন, মান নিয়ন্ত্রণ গবেষণাগারের মাধ্যমে বিশ্ব পরিমণ্ডলের একটি নতুন অধ্যায়ে আমরা প্রবেশ করলাম। প্রাণিসম্পদ উৎপাদন উপকরণ এবং প্রাণিজাত খাদ্য মানসম্মত হচ্ছে কিনা এটা নির্ণয় করার জন্য মানসম্মত ল্যাবরেটরি বা কোনো ব্যবস্থা দেশে ছিল না। এ কারণে আমরা ভীষণভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হতাম। ইতিপূর্বে প্রাণিসম্পদ খাত থেকে উৎপাদিত পণ্য রফতানির ক্ষেত্রে আমরা প্রতিকূলতার মুখোমুখি হয়েছি। বিদেশ থেকে আমদানি করা গবাদিপশুর খাদ্য নিয়ে আমরা প্রতিকূল অবস্থায় পড়েছি।

মন্ত্রী আরও বলেন, জনগণের কল্যাণে নিবেদিত হওয়ার জন্য এ প্রতিষ্ঠান। প্রাণিজাত খাদ্যের মান যদি যথাযথ না হয়, সেই খাদ্যের মান যদি নিয়ন্ত্রণ করা না যায় তাহলে খামারিসহ সংশ্লিষ্ট সবাই যেমন ক্ষতিগ্রস্ত হবে, এর সুবিধাভোগী ও ব্যবহারকারীরাও ক্ষতিগ্রস্ত হবে। মানসম্মত দুধ, ডিম ও মাংস না হলে সেটা আমাদের কোনো কাজে আসবে না। আমরা শুধু সংখ্যা বাড়াতে চাই না। সংখ্যাটা হতে হবে মানসম্মত যেটা আমাদের টেকসই উন্নয়ন নিশ্চিত করবে।

এমইউ/এমএসএইচ/এমএস