ভিডিও EN
  1. Home/
  2. জাতীয়

চট্টগ্রামে করোনা থেকে সুস্থ ৭২ শতাংশ রোগী

নিজস্ব প্রতিবেদক | চট্টগ্রাম | প্রকাশিত: ১০:৩১ এএম, ২৬ আগস্ট ২০২০

সর্বশেষ ৭৬ জনসহ গত পাঁচ মাস চট্টগ্রামে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ১৬ হাজার ৬৮৮ জন। এদের মধ্যে সুস্থ হয়েছেন ১২ হাজার ১২৭ জন। সে হিসাবে চট্টগ্রামে করোনাভাইরাস থেকে সেরে ওঠা রোগীর সংখ্যা ৭২ দশমিক ৬৬ শতাংশ। এই সময়ে করোনা প্রাণ কেড়েছে ২৬৫ জন নারী-পুরুষের।

বুধবার (২৬ আগস্ট) সকালে জাগো নিউজকে এ তথ্য জানান চট্টগ্রামের সিভিল সার্জন সেখ ফজলে রাব্বি।

তিনি জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় চট্টগ্রামে ১০৫ জন করোনা রোগী সুস্থ হয়েছেন। মোট সুস্থ ১২ হাজার ১২৭ জন। তার মধ্যে হাসপাতালে সুস্থ হয়েছেন দুই হাজার ৭২৪ জন এবং বাড়িতে চিকিৎসা নিয়ে সুস্থ হয়েছেন ৯ হাজার ৪০৩ জন।

গতকাল মঙ্গলবার চট্টগ্রামের ছয় ল্যাব এবং কক্সবাজার মেডিকেল কলেজ ল্যাবে ৭৪৬ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ৭৬ জনের করোনা রিপোর্ট পজিটিভ এসেছে। তার মধ্যে নগরের ৫৬ জন ও ২০ জন বিভিন্ন উপজেলার বাসিন্দা।

ফৌজদারহাটের বিআইটিআইডিতে ২৬৯ জনের নমুনা পরীক্ষায় নগরের ১৪ জন ও উপজেলা পর্যায়ের একজন বাসিন্দার করোনা মিলেছে।

চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি ইউনিভার্সিটির (সিভাসু) ল্যাবের ২৮ জনের নমুনা পরীক্ষায় নগরের চারজন ও উপজেলা পর্যায়ের একজনের করোনা শনাক্ত হয়েছে।

চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ ল্যাবে ২০৫ জনের নমুনা পরীক্ষা করে নগরের ২৩ জন ও উপজেলা পর্যায়ের তিনজনের করোনা মিলেছে।

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ল্যাবে ১৮০ জনের নমুনা পরীক্ষায় নগরের ১৬ জন ও উপজেলা পর্যায়ের দুইজন বাসিন্দার রিপোর্ট পজিটিভ এসেছে।

বেসরকারি ইম্পেরিয়াল হাসপাতাল ল্যাবে ১১১ জনের নমুনা পরীক্ষায় নগরের চারজন ও উপজেলা পর্যায়ের একজন বাসিন্দার করোনা মিলেছে।

শেভরন ল্যাবে ৩৫ জনের নমুনা পরীক্ষায় নগরের ছয়জন ও উপজেলা পর্যায়ের দুইজন বাসিন্দার করোনা মিলেছে।

তবে কক্সবাজার মেডিকেল কলেজ ল্যাবে পাঁচজনের নমুনা পরীক্ষায় কারো করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) শনাক্ত হয়নি।

এখন পর্যন্ত আক্রান্ত হওয়া চট্টগ্রামে ১৬ হাজার ৬৮৮ জনের মধ্যে নগরের ১১ হাজার ৮৪৬ জন ও বিভিন্ন উপজেলার চার হাজার ৮৪২ জন বাসিন্দা আছেন। করোনা আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করা ২৬৫ জনের মধ্যে নগরের ১৮৪ জন ও উপজেলার ৮১ জন বাসিন্দা।

প্রসঙ্গত, দেশে করোনাভাইরাস প্রাদুর্ভাব শুরুর পর গত ২৬ মার্চ চট্টগ্রামে করোনা পরীক্ষা শুরু হয়। ৩ এপ্রিল চট্টগ্রামে প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত হয়।

এসআর/জেআইএম