আশুরা : সর্দি-কাশি থাকলে ইমামবাড়ায় প্রবেশে মানা
৩০ আগস্ট (রোববার) পবিত্র আশুরা উপলক্ষে রাজধানীর ইমামবাড়াগুলোতে আগত সবাইকে মাস্ক পরে প্রবেশ করতে হবে। এছাড়া সর্দি-কাশি নিয়ে যাতে কেউ ইমামবাড়ায় প্রবেশ করতে না পারে সেজন্য আয়োজক কমিটিকে নির্দেশনা দিয়েছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার মোহা. শফিকুল ইসলাম।
রোববার (২৩ আগস্ট) ডিএমপি হেডকোয়ার্টার্সে আশুরা উদযাপন উপলক্ষে ঢাকা মহানগর এলাকার নিরাপত্তা, আইনশৃঙ্খলা ও ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা সংক্রান্ত সমন্বয় সভায় তিনি এ নির্দেশনা দেন। এ সময় ডিএমপির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাসহ গোয়েন্দা সংস্থা, ফায়ার সার্ভিস, র্যাব, ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের প্রতিনিধি এবং লালবাগ, মিরপুর ও তেজগাঁও বিভাগের শিয়া সম্প্রদায়ের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
এ সময় আয়োজক কমিটির উদ্দেশে স্বাস্থ্যবিধি সংক্রান্ত কিছু নির্দেশনা দেন ডিএমপি কমিশনার। নির্দেশনা অনুযায়ী প্রতিটি ইমামবাড়ার প্রবেশ ও বাইরের পথ পৃথক করা, ইমামবাড়ায় প্রবেশমুখে পর্যাপ্ত বেসিন, পানির ট্যাঙ্ক, সাবান এবং পৃথকভাবে হ্যান্ড স্যানিটাইজার রাখা ও জীবাণুনাশক চেম্বার স্থাপন, ইমামবাড়ার প্রবেশমুখে তাপমাত্রা মাপার যন্ত্র ও স্বেচ্ছাসেবক রাখা, কোনোক্রমেই মাস্ক ছাড়া কাউকে ঢুকতে না দেয়া, ইমামবাড়ায় তিন ফুট সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা, করোনা সন্দেহজনক উপসর্গ যেমন- জ্বর, সর্দি-কাশি, শরীর ব্যথা নিয়ে কোনো ব্যক্তিকে ইমামবাড়ায় প্রবেশ করতে না দেয়া ইত্যাদি।
এছাড়া করোনাকালীন বিশেষ পরিস্থিতিতে শিশু, অসুস্থ ও ৬০ বছরের বেশি বয়সের ইমামবাড়ায় প্রবেশে নিরুৎসাহিত করার নির্দেশনা দেন তিনি।
সভায় ডিএমপি কমিশনার পবিত্র আশুরা উপলক্ষে ডিএমপির নেয়া নিরাপত্তা ব্যবস্থাগুলো ব্রিফ করে।
তিনি জানান, নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পোশাকে ও সাদা পোশাকে পর্যাপ্ত সংখ্যক পুলিশ মোতায়েন থাকবে, অনুষ্ঠানস্থলগুলো ডগ স্কোয়াড ও বোম ডিসপোজল ইউনিট দিয়ে সুইপিং করানো হবে। ইমামবাড়াসহ এর আশপাশে সিসি ক্যামেরা দিয়ে সার্বক্ষণিক মনিটরিং করা হবে। মেটাল ডিটেক্টর দিয়ে ও ম্যানুয়ালি তল্লাশি করে আর্চওয়ের মধ্য দিয়ে সবাইকে ইমামবাড়ায় প্রবেশ করতে দেয়া হবে।
আগামী ৩০ আগস্ট রোববার বাংলাদেশে পবিত্র আশুরা উদযাপন করা হবে।
এআর/এফআর/এমএস