মেরিন একাডেমির উদ্ভাবন ‘অটোমেটিক হ্যান্ড স্যানিটাইজার’
নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের অঙ্গ-প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ মেরিন একাডেমি উদ্ভাবন করেছে করোনা প্রতিরোধে সহায়ক বিশেষ যন্ত্র ‘অটোমেটিক হ্যান্ড স্যানিটাইজার’। এর মাধ্যমে সহজে ও কম খরচে অনেক মানুষ হাত জীবাণুমুক্ত করতে পারবে।
‘অটোমেটিক হ্যান্ড স্যানিটাইজার’র সাহায্যে দ্রুত অনেক মানুষ তাদের হাতকে জীবাণুমুক্ত করতে সক্ষম হবে কোনো কিছু স্পর্শ না করেই।
উল্লেখ্য, এর আগে এই একাডেমিতেই করোনা আক্রান্ত রোগীদের শ্বাস-কষ্ট প্রশমনে ‘নিউমেটিক কন্ট্রোল নিয়ন্ত্রিত ভেন্টিলেটর’ ও মাস্কসহ নিত্যব্যবহার্য জিনিসপত্র জীবাণুমুক্তকরণে ‘আল্ট্রাভায়োলেট ডিসইফেক্ট্যান্ট ওভেন’ উদ্ভাবিত হয়েছিল।
একাডেমির কমান্ড্যান্ট ড. সাজিদ হোসেন বলেন, ‘শিগগিরই একাডেমির ক্যাডেট প্রশিক্ষণ চালু হবে। তখন করোনা মোকাবিলায় যে মৌলিক স্বাস্থ্যবিধি মানা, অর্থাৎ ঘন ঘন হাত জীবাণুমুক্ত করা- এটা সব শিক্ষার্থীকে মেনে চলা একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হয়ে দাঁড়াবে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসহ সব অফিস/কারখানায় কর্মরত সবাই যাতে দ্রুত (মাত্র ২/১ সেকেন্ডে), সহজে ও কম খরচে হাত জীবাণুমুক্ত করতে পারে সে ধরনের একটি চিন্তা থেকে আমাদের এ উদ্ভাবন।’
তিনি জানান, ইতিমধ্যে ‘অটোমেটিক হ্যান্ড স্যানিটাইজার’ যন্ত্রটি নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ে উপস্থাপন করে প্রশংসিত হয়েছে। মন্ত্রণালয় যন্ত্রটিতে আরও উন্নতি সাধন ও সহজলভ্য করার নির্দেশনা দিয়েছে।
যন্ত্রের ডিজাইনার ও একাডেমির ল্যাব প্রশিক্ষক খালেদ সালাউদ্দিন জানান, এ যন্ত্রটি হাত জীবাণুমুক্ত করার কাজটি দ্রুত, সহজে ও স্পর্শহীনভাবে করতে সক্ষম। যেহেতু যন্ত্রটি ব্যবহারের সময় কোথাও কোনো স্পর্শ করার প্রয়োজন নেই, তাই এখানে বহু ব্যবহারে সংক্রমণের সম্ভাবনা শূন্য। অর্থাৎ যে কোনো প্রতিষ্ঠানের সবাই এটি ব্যবহার করতে পারবে। যন্ত্রটির কাঠামো নির্মাণে পরিত্যক্ত প্লাস্টিক বোতল ও অন্যান্য জিনিস ব্যবহারের ফলে খুবই কম খরচে এটি তৈরি করা সম্ভব হয়েছে। এছাড়া যন্ত্রটিতে জীবাণুনাশক ব্যবহারে ‘লস-রিডাকশন ফ্লুইড-মেকানিজম’ যুক্ত করায় কোনো ধরনের অপচয় সম্পূর্ণভাবে রোধ করা সম্ভব, ফলে প্রচলিত ম্যানুয়াল হ্যান্ড স্যানিটাইজার থেকে কেমিক্যাল খরচ অনেক কম হবে।
আবু আজাদ/এএইচ/জেআইএম